কেননা এই সময়ে ছেলেমেয়েরা হঠাত্ বেড়ে ওঠে এবং তাদের শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বৃদ্ধি পায়। সে জন্য তাদের প্রতিদিনই যথাযথ পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাদ্য গ্রহণ করা জরুরি। কিন্তু অনেকেই এ বিষয়ে গুরুত্ব দেন না। কেউ কেউ মনে করেন, প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান ও পুষ্টি শুধু দামি খাবার ও ফলমূলেই পাওয়া যায়।
ভিটামিন ‘সি’র জন্য পেয়ারা, আমলকী, আমড়া, জাম্বুরা, কমলা, মাল্টা, লেবু খেতে হবে। প্রতিদিন এক গ্লাস লেবুর শরবত পান করা খুবই উপকারী অভ্যাস জিংক ও ফলিক এসিডের জন্য খেতে হবে সমুদ্রের মাছ, মাংস, ব্রকোলি, লেটুসপাতা, পানি, ডাল, পাতাজাতীয় সবজি ইত্যাদি। কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টি ঠিকমতো হচ্ছে কি না তা জানার জন্য মাঝেমধ্যে তাদের ওজন ও উচ্চতা মাপতে হবে। তারা ক্লান্ত, অবসাদগ্রস্ত ও পড়াশোনায় অমনোযোগী হলে বুঝতে হবে তাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনের অভাব হচ্ছে।
ওজন কমানোর জন্য কখনোই কিশোর বয়সে ডায়েট করা উচিত নয়। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়াসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেবে। সুষম ও পরিমিত খাবার এবং ব্যায়ামই পারে ওজন আদর্শ ও পরিমাপে রাখতে।