প্রেমে পড়া বারণ—
যেন নিষিদ্ধ কোনো অনুচ্চারিত মন্ত্র,
যার উচ্চারণে হৃদয় জ্বলে ওঠে,
নিঃশব্দে ধ্বংস হয় অস্তিত্বের অন্তর্নিহিত স্তম্ভ।
তোমার স্মৃতি আজও ঘুমের রেখায় আগুন আঁকে,
তবু সে অগ্নিপথে হাঁটা—স্বপ্ন নয়, শাস্তি!
কারণে অকারণে তোমার নাম ঠোঁটে এলে,
ভাষা থেমে যায়—নিষেধের অদৃশ্য কারাগারে।
চোখে তোমার অবয়ব এঁকে ফেললেও,
দৃষ্টির উপর পড়ে আত্মসংযমের কঠিন পর্দা,
ভালোবাসা আজ আর ভালো থাকার নয়—
তা এক বিষময় অভিশাপ,
যা আত্মায় ছড়ায় পুড়ে যাওয়া পাণ্ডুলিপির গন্ধ।
তোমায় মনে পড়ে? পড়ে—
কিন্তু সেই ‘মনে পড়া’ আজ নৈবেদ্য নয়,
বরং নৈরাশ্যের নির্মম শিলালিপি!
প্রেমে পড়া বারণ ছিল,
তবু হৃদয় তো শোনেনি সমাজের ফতোয়া!
আজ আমি প্রেমের পাপগ্রস্ত অভিযুক্ত,
তোমার অস্তিত্বই আমার অনুশোচনার কবিতা।
তবু, এই অপরাধে আমি মুক্তি চাই না—
কারণ, তুমি স্মৃতিতে থাকো বলে
আমি এখনো মানুষ, এখনো ব্যথিত, এখনো বাঁচি।