প্রাণের মানুষ ছেড়ে এলাম দেশের টানে,
মাটি, মা, সন্তান, সব ছেড়ে গেলাম জীবনের মানে।
ঘাম ঝরে এ বিদেশে, গলিত শরীর ক্লান্ত,
তবুও বুক ভরে বলি— “আমি প্রবাসী, আমি শান্ত।”
মনে করি, পাঠাই টাকা, হাসবে আমার ঘর,
ছেলে-মেয়েরা পড়বে, গড়বে আগামীকাল নতুন পর।
স্ত্রী রাখবে পর্দা, রাখবে ইজ্জত, নাম,
আমার ত্যাগে গড়বে সুখের সংসার, হাসবে সকল Gram।
কিন্তু হায়!
যে ছবি দেখি ভিডিও কলে, তা নয় আমার স্ত্রী,
অপরের হাত ধরে হাসছে, লজ্জা নেই, নেই কোন ভীতি।
ভুলে গেছে সে আমার ঘাম, আমার স্নেহ, আমার নাম,
ভুলে গেছে সে প্রবাসীর ত্যাগ—ভুলে গেছে সব দাম।
এ কেমন প্রাপ্তি, এ কেমন বদলা?
আমি দেই ভালবাসা, ফিরে পাই কাঁটা-খোলা।
আমি গড়ি ভবিষ্যৎ, ওরা ভাঙে ঘর,
আমি পাঠাই টাকা, ওরা বিলায় চরিত্রের মহারথে পর।
সবাই নয়, তবুও কিছু মুখ আজ করে কলঙ্ক,
তাদের জন্যই প্রবাসীর বুকের ভিতর বাজে শোকের ঢংক।
প্রেম নয়, দায়িত্ব নয়—শুধুই লোভ আর মোহ,
এদের দেখে কাঁদে হৃদয়, হাসে পাপের দলিত গোহ।
তবুও থামবো না আমি, এ মন করবো না ভেঙে,
দেশের মাটির জন্যই তো জীবন কাটছে রক্ত ঢেলে।
সন্তান একদিন বুঝবে, মা একদিন বলবে– “তুইই সত্যিকারের বীর,”
তখন এই ত্যাগে মিলবে শান্তি, চোখে আসবে না আর নীর।