1. admin@ichchashakti.com : admin :
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

পুটি মাছ কথা বলে — আল আমিন সাজ্জাদ

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৩৮৬ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

কবরস্থানের পাশ ঘেঁষে বয়ে চলেছে যমুনা থেকে ডাল নিয়ে আসা ব্রহ্মপুত্র নদীর ছোট্ট শাখা। একদিন স্বাধীন বরশী নিয়ে ছুটে কবরস্থানের কাছে বয়ে যাওয়া সেই খালটার দিকে। সাথে কিছু গরুর ভূষি আর আম্মুর রুটি বানানোর ময়দা নিয়ে যায়।  পানিতে ভূষিগুলো ছিটিয়ে মাছদের আকর্ষণ করতে থাকে।  এক এক করে অনেক মাছ জমতে থাকে। স্বাধীন বরশীতে রুটি বানানোর ময়দা লাগিয়ে পানিতে ছাড়ে। মাছগুলো খাবার মনে করে খেয়ে পালাতে গিয়েয় আটকে পড়ে। এভাবেই চলতে থাকে পাতিল বোঝাই করার কাজ।

 

এবার আসি মুলগল্পে।

 

বরশীতে আদার দেওয়া  খাবার যখন মাছেদের সামনে আসে।  তখন শুরু হয় আসল খেলা। কে কার আগে খেতে পারে এ নিয়ে চলে ধাক্কা ধাক্কি। ধাক্কার মাঝে থেকে দুইটা পুটি মাছের তো ঝগড়াই লেগে গেল। একজন আরেক জনকে বকতে শুরু করলো।

-শালা জীবনে খাস নাই। তাই জন্যে এবা করতাছোস।

– আমি বহুত খাইছি তুই খাস নাই। জীবনে চোখে দেখস নাই। শালা ফকিন্নির জাত।

 

এক দু কথায় বেশ ভালো রকমের ঝগড়া বেঁধে গেল। নাহ বকাতে আর ঝগড়া আটকে রইলো না এখনতো  পুরা হাতাহাতি শুরু হয়ে গেল। এদের ঝগড়া থামাতে গিয়ে এক বুড়ার কেওনা লেগে মোছ য়ি উঠে গেল। বুড়ার কান্না দ্যাখে কেডা।। যাই হোক দুজনকে শান্ত করে।  সমাধান দেওয়া হলো। তুমি আগে খাও আর ও পরের বার খাবে। এদিকে পিচ্ছি পুটিটাকে দেখা যাচ্ছে না। পুটির মা তো বড় চিন্তায় পড়ে গেল। কিছুক্ষণ পর তার সন্ধান পাওয়া গেল পাতার নিচে। ঠোঁট কাটা অজ্ঞান অবস্থায়।

 

স্বাধীন পানি বরশী ছাড়ে। ঝগড়াটের  একজন একজনে বলা হলো।  যাও তুমি খাও।  এরপর ও খাবে।যেমনেই মুখে নিয়ে গিলতে যাবে তখনি।  স্বাধীন টান মেরে উপরে তুলে আনে।

 

এদিকে ময়দাও শেষ।

 

স্বাধীন আর খাবার পানিতে ছাড়ে না।বিশ মিনিট হয়ে গেছে।  পানিতে থাকা পুটিটা, মুরুব্বি পুটিদের বকাঝকা করতে লাগল।

-হ্যা আপনাদের জন্য আমার আর খাওয়া হইলো না। ওরে আগে দিলেন। ও এহনো খাইতেই আছে। আত্মা শান্তি কইরা খাইতাছে। আমি গরীব মানুষ।  আমার দুঃখ কেউ বুঝে না।  স্বাধীন পঁচিশ মিনিট পর।  ময়দা এনে আবারো পানিতে বরশী ছাড়তে লাগল। মুরুব্বি ঘাড়ে ধরে বলতেছে।

 

-যা এবার আত্মা শান্তি করে খা।

 

নাচতে নাচতে গিয়ে বরশী মুখে দিতেই টান মেরে উপরে নিয়ে আসে। উপরে উঠেই দেখে ঝগড়া করা পুটি সহ সবপুটি একটা পাতিলে আটকে আছে।

-ভাই আমি মনে করছি উপরেই তুইলাও খাওয়ায়। এহন দেখি আপনাগো আটকাইয়া রাখছে। চিন্তা করছি উপরে উইঠাই খাওয়া শুরু করমু।

-হ খালি খাওয়াইতাছে। একটু পরেই জন্মের খাওন খাওয়াবো। তহন বেশি কইরা খাইস। মাগনা খাবার আইছস না? খাইসনি এহন।  আগে যদি জানতাম তাইলে আর ও ছাই খাইতামও না। আর আটকাও পরতাম না।

 

-ভাই চলেন লাপ (লাফ)মাইরা পানিতে চইল্যা যাই।

-পারলে যা,  দেহি কত খ্যাম(ক্ষমতা)তোর। লাপ দেওয়ার নগে(সাথে) নগেই তরে টিবি(টিপি) দিয়া গালাইয়া হালাবো।

 

কিছুক্ষণের মধ্যেই ময়দা শেষ হয়ে যায়। পাতিলও মাছে ভর্তি হয়ে যায়।  স্বাধীন বাড়িতে ফিরে আসে।

 

পুটিগুলো শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে।

 

★ পুটি মাছ কথা বলে

★ আল আমিন সাজ্জাদ

 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park