1. admin@ichchashakti.com : admin :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

নদী রক্ষায় যা প্রয়োজন

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৫৯ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

গোলাম সরোয়ার

 

আমাদের দেশে নদীগুলোর সর্বনাশ হয়েছে চোখের সামনেই। এই সর্বনাশের সঙ্গে প্রধানত জড়িত প্রভাবশালী রাজনীতিক ও দায়িত্বরত সরকারি দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

১৯৫০ সালের প্রজাস্বত্ব আইন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত যত আইন-বিধি করা হয়েছে, সব কটিই নদীর পক্ষে। তারপরও আমাদের নদীগুলো রক্ষা করা যাচ্ছে না। কেবল সামাজিক সচেতনতা আর নাগরিকদের আন্দোলনের মাধ্যমে নদীগুলো মুক্ত হচ্ছে না। দখল কিংবা দূষণ ছাড়াও নদী নিয়ে আরও অনেকগুলো কাজ আছে, যেগুলো করা অত্যন্ত জরুরি।

রাজনৈতিক সরকারের পক্ষে যে কাজগুলো করা কঠিন, তার মধ্যে একটি হলো নদী রক্ষা করা। আমাদের নদীগুলোর বেশির ভাগ দখলদার কিংবা দখলদারদের পৃষ্ঠপোষক হলেন রাজনীতিকেরা। এ কারণে রাজনৈতিক সরকার নদী সুরক্ষায় তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ করতে পারে না।

 

  • নদীর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত একক কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। অনেকগুলো মন্ত্রণালয়, কমিশন, অধিদপ্তর, দপ্তর থাকায় সমন্বয়ের চরম অভাব দেখা যায়।
  • জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন নামেই কেবল নদীর অভিভাবক প্রতিষ্ঠান। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দ্রুত জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে নদী সুরক্ষায় প্রস্তুত করা।
  • নদী ও খালের পরিসংখ্যান একসঙ্গে করতে হবে। কারণ, নদী এবং প্রাকৃতিক খালের মধ্যে বৈশিষ্ট্যগত তেমন কোনো পার্থক্য নেই।

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে নদী উদ্ধার করা কিংবা নদীর জন্য করণীয় যা রয়েছে, তা বাস্তবায়ন করা তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ। এ কারণে বর্তমান সময় নদী সুরক্ষার জন্য ‘সুবর্ণ সময়’।

বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদে যাঁরা আছেন, তাঁদের অনেকেই নদী নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তাঁদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি পিএইচডি করেছেন গঙ্গার পানি বণ্টন ও আন্তর্জাতিক নদী আইনের ওপর। নদীবিষয়ক আইন সংশাধন করতে তাঁর এখন বিশেষ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা করা হয়েছে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে। তিনি দীর্ঘদিন নদী নিয়ে কাজ করছেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী ছিলেন তিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এখন নদী সুরক্ষার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের চেয়ে নদীর সংকট এবং সংকট উত্তরণের উপায় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ব্যক্তি বাংলাদেশে খুব কম আছেন। যত দূর জানা গেছে, পরিবেশ ও নদী নিয়ে তাঁর মন্ত্রণালয় অনেকগুলো কাজ শুরু করেছে। নদীর সংখ্যা, জেলাভিত্তিক একটি করে নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত করার কাজ করা হচ্ছে।

কেবল এসব কাজ করলেই নদী উদ্ধার হবে বলে আমরা মনে করি না। এমন কিছু কাজ করা জরুরি, যাতে নদীগুলোর বেঁচে থাকার পথ রচিত হয়। যে কাজগুলো সরকার করতে পারে, তার একটি সারসংক্ষেপ এখানে হাজির করা হলো:

১. নদী-খাল কিংবা বিলের জমির মালিক ব্যক্তির হওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। দেখা গেছে, এ রকম জমিরও অবৈধ মালিকানা নিয়েছেন অনেক ব্যক্তি, যা মূলত শাস্তিযোগ্য। সেই জমি আবার ব্যক্তির নামে অবৈধভাবে রেকর্ড হয়েছে।

আমরা যখনই এসব নিয়ে আন্দোলন করি এবং জেলা প্রশাসকের দ্বারস্থ হই, তখন তাঁরা বলেন, রেকর্ড সংশোধনের মামলা করতে হবে। সরকারি জমি সরকারের এক নম্বর খাসখতিয়ানে না ফিরিয়ে যখন তাঁরা মামলা করেন, তখন সেই মামলা নিষ্পত্তি হতে ২০ থেকে ৩০ বছর লেগে যায়। তত দিন কে এসব মামলার পেছনে লেগে থাকবে? এ কারণে একতরফা রায় হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

এই বাস্তবতায় অন্তর্বর্তী সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকার জেলা প্রশাসক বরাবর এই মর্মে একটি প্রজ্ঞাপন কিংবা পরিপত্র জারি করতে পারে যে অবৈধভাবে মালিক হলে কিংবা কারও নামে রেকর্ড হলেও তা ‘অবৈধ’ হিসেবেই বিবেচিত হবে। তাই ওই জমি সরকারের এক নম্বর খাসখতিয়ানে নিতে কোনো মামলা করতে হবে না। কিংবা আগে জমি এক নম্বর খাসখতিয়ানে ফেরাতে হবে তারপর রেকর্ড সংশোধনের মামলা করতে হবে।

এই কাজটুকু করা সম্ভব হলে দেশের সব নদী-খাল-বিল উদ্ধারের পথ সহজ হবে। যদি এতে কোনো আইনগত বাধা থাকে, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার আইনটুকু সংশোধন করবে। আমাদের নদীগুলো উদ্ধারে এটি হয়ে উঠবে সবচেয়ে বড় ‘রক্ষাকবচ’। সহজ কাজটির জন্য বেশি দিন প্রয়োজন হবে বলে মনে হয় না।

২. নদী-খাল-বিল-জলাশয়ের অনেক জমি জেলা প্রসাশকেরা (ডিসি) কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিধিবহির্ভূতভাবে ‘কবুলিয়ত’ দিয়েছেন। রেকর্ড হয়ে থাকলেও এই কবুলিয়ত বাতিলের ক্ষমতা যেহেতু জেলা প্রশাসকের আছে, তাই তাঁদের মাধ্যমে বিধিবহির্ভূত সব কবুলিয়ত বাতিল করতে হবে।

রংপুর জেলায় আমাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শালমারা ও খটখটিয়া নদীর কবুলিয়ত বাতিল করেছিলেন সেই সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই জেলা প্রশাসক।

৩. নদীর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত একক কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। অনেকগুলো মন্ত্রণালয়, কমিশন, অধিদপ্তর, দপ্তর থাকায় সমন্বয়ের চরম অভাব দেখা যায়। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন সেই একক কর্তৃত্বধারী প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠতে পারে।

বিদ্যমান আইনে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন কেবল ১২টি ধারায় সুপারিশ করতে পারে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আছে, আইন পরিবর্তন করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে শক্তিশালী করা। অন্তর্বর্তী সরকার এ কাজে এখনো হাত দিয়েছে কি না, আমাদের জানা নেই।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন নামেই কেবল নদীর অভিভাবক প্রতিষ্ঠান। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দ্রুত জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে নদী সুরক্ষায় প্রস্তুত করা।

৪. জেলা প্রশাসকেরা যুক্তিসংগত কারণেই অনেক কাজে ব্যস্ত থাকেন। জেলায় ক্রিয়াশীল তিন শতাধিক কমিটির সভাপতি তাঁরা। তাঁদের এত কাজ যে ইচ্ছা থাকলেও তাঁরা নদীর কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না। ফলে নদী সুরক্ষার জন্য তাঁদের হাত থেকে নদীকে ‘মুক্ত’ করতে হবে; যত দিন জেলা প্রশাসকদের হাতে নদী দেখভালের দায়িত্ব থাকবে, তত দিন নদী রক্ষা হবে না।

৫. আমরা জানি, মাত্র ৫৭টি স্বীকৃত আন্তসীমান্ত নদী আছে। বাস্তবে এই সংখ্যা প্রায় ২০০। অল্প সময়ে এই তালিকা প্রণয়ন সম্ভব। সেই তালিকা নিয়ে ভারত এবং প্রয়োজনে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এর স্বীকৃতির ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. রেকর্ড সূত্রে ও সরেজমিন নদীর অনুসন্ধান প্রয়োজন। সিএসসহ যত রেকর্ড আছে, সব কটি রেকর্ড ধরে নদীর অনুসন্ধান করতে হবে। তাহলে রেকর্ডকৃত নদীর সংখ্যা জানা যাবে।

পূর্বের রেকর্ড থেকে পরবর্তী রেকর্ডে বাংলাদেশের নদীর প্রস্থ কতটুকু কমেছে কিংবা বেড়েছে, তারও পরিসংখ্যান জরুরি। নদী ও খালের পরিসংখ্যান একসঙ্গে করতে হবে। কারণ, নদী এবং প্রাকৃতিক খালের মধ্যে বৈশিষ্ট্যগত তেমন কোনো পার্থক্য নেই।

৭. তিস্তা নদী নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। দেশে এখন সবচেয়ে ক্ষতির মধ্যে আছে তিস্তাপারের মানুষ। উদাহরণ হিসেবে একটি স্থানের কথা বলা যেতে পারে।

কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের গতিয়াশাম এলাকায় গত চার বছরে প্রস্থে চার কিলামিটার, দৈর্ঘ্যে চার কিলোমিটার ভেঙেছে। এ স্থান থেকে উদ্বাস্তু হয়েছে প্রায় এক হাজার পরিবার। এই স্থানে গত চার বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। যদি ওই স্থানের ভাঙন বন্ধ করা না যায়, তাহলে অল্প সময়ে এর চেয়ে দ্বিগুণ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ রকম ভয়াবহ পরিস্থিতি তিস্তার ৩৩ কিলোমিটার ভাঙনপ্রবণ এলাকায়। তিস্তাসহ দেশের আরও কোনো নদীতে যদি এ রকম অবস্থা
থাকে, তাহলে সেগুলোর বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

লক্ষণীয় হলো, ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা’ নামক একটি প্রতারণামূলক ফাঁদে ফেলে গত আট বছরে তিস্তায় কোনো কাজ করতে দেওয়া হয়নি।

৮. ঘাঘটসহ যেসব নদীতে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাতিল করতে হবে। আমরা জেনেছি, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঘাঘট নদে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

বাস্তবে এই প্রকল্পের কোনো প্রয়োজন নেই। এ রকম আরও যেসব অপ্রয়োজনীয় ও লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লীগ সরকার গ্রহণ করেছিল, তার সব কটি বাতিল করতে হবে।

৯. আন্তর্জাতিক পানিপ্রবাহ কনভেনশনে অনুসমর্থন করতে হবে। ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের আয়োজনে আন্তর্জাতিক পানিপ্রবাহ কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়, যা ২০১৪ সালে কার্যকর হয়েছে। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ এটিতে অনুসমর্থন করেনি। অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

১০. আমাদের দেশে নদীর প্রস্থ কৃত্রিমভাবে ছোট করে তার ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়। এটি আমাদের নদীর সর্বনাশের অন্যতম কারণ। মূলত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এসব কাজের সঙ্গে জড়িত থাকেন। ভবিষ্যতে যাতে আর একটি সেতু কিংবা কালভার্টও নদীর প্রস্থের চেয়ে ছোট করে নির্মাণ করা না হয়, সেই বিষয়ে সতর্ক করে পরিপত্র জারি করা প্রয়োজন।

১১. নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ ও অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনে অর্ধলক্ষাধিক অবৈধ দখলদারের তালিকা আছে। সেই তালিকা ধরে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে হবে। যাঁরা নদী অবৈধ দখলের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, প্রভাবশালী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী—দখলদার যেই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া উচিত হবে না।

১২. আন্তসীমান্ত নদীগুলোতে ভারতের পানি শোষণের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে প্রতিকার চাওয়া প্রয়োজন। সেটি কেবল আন্তর্জাতিক পানিপ্রবাহ কনভেশনের মাধ্যমে হতে হবে, তা নয়। আমাদের কৃষি ও পরিবেশের যে ক্ষতি করা হয়েছে, সেই দৃষ্টিকোণ থেকেও প্রতিকার চাওয়া যেতে পারে।

ভারত উজানের দেশ হলেও আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে তারা অন্যায়ভাবে পানি প্রত্যাহার করতে পারে না। কিন্তু ভারত তিস্তার পর ধরলা নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিয়েছে। নদী দুটির একতরফা পানি প্রত্যাহার বন্ধ করা না গেলে ভবিষ্যতে তারা আরও অনেক নদীর পানি প্রত্যাহার করবে।

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন এমনভাবে নদী সুরক্ষার পদ্ধতি সংস্কার করতে হবে, যাতে রাজনৈতিক সরকার এসে সেই পদ্ধতি অনুযায়ী নদীর পরিচর্যা তথা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে বাধ্য হয়। এখন জরুরি হলো পদ্ধতি পরিবর্তন করা।

পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশের স্বার্থে নদীর সুরক্ষা অপরিহার্য। উল্লিখিত কাজগুলো করতে পারলে বাংলাদেশের নদীগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা হয়তো সম্ভব হবে বলে আশা করি।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park