জাকির আলম
একটা সময় যাদের সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল, এখন আর নেই। কেন নেই সে কথায় পরে আসি। মানুষ সদা পরিবর্তনশীল। পরিবর্তন হতেই মানুষ বেশি ভালোবাসে বা পছন্দ করে। কেউ প্রয়োজনের তাগিদে পরিবর্তন হতে বাধ্য হয়। আবার কেউ প্রয়োজন ব্যতীত পরিবর্তন হয়ে যায়। তবে মানুষের পক্ষে পরিবর্তন হওয়াটাই যেন স্বাভাবিক। মানুষ বড় স্বার্থপর প্রাণী। স্বার্থ ছাড়া কিছুই বোঝে না। যে বলবে আমি স্বার্থপর না, তাহলে সে বড় ধরণের মিথ্যে কথা বলে ফেলল। কেননা প্রয়োজনের তাগিদেই অনেক সময় আমাদের স্বার্থপর হতে হয়। স্বার্থপর হতে বাধ্য করে সমাজ তথা প্রকৃতি। এর বেশি কিছু বলতে চাই না। এবার আসি একসময় যাদের সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল, এখন কেন নেই ? শুরুতেই বলতে চাই, হয়তো সম্পর্ক ধরে রাখার যোগ্যতা বা গুণাগুণ কোনোটাই আমার নেই। এজন্যই হয়তো শেষ পর্যন্ত কেউ আমার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়নি। তাই বলে আমি বিচলিত নই। যেকোনো জিনিস এক আসবে এক চলে যাবে এটাই নিয়ম। আমার সাথে যে সম্পর্ক ছিন্ন করে চলে গেল, তার বিপরীতে অন্য একটা মানুষ নতুন করে সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রত্যয়ে ব্যাকুল। তাই চলে যাওয়া মানুষের জন্য আমার কোনো আফসোস বা আক্ষেপ কোনোটাই নেই। বরং অবাক হয়ে যাই, অতিথি পাখির মতো মানুষও এক সময় উদাও হয়ে যায় জীবন থেকে। হয়তো আমার থেকেও ভালো কাউকে পেয়ে সুখের আশায় যে বা যারা হাসি মুখে দূরে চলে যায়।
আমিও তাকে চলে যেতে বারণ করিনা। বরং হাসি মুখে চলে যাওয়া মানুষটাকে কিছু দূর পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসি। তাকে শেষ বিদায় জানিয়ে আসি। এখানেই শেষ নয়। তার জন্য অকৃত্রিম শুভ কামনাও জানিয়ে আসি। তাকে জীবনবোধের কথাগুলো শেষ বারের মতো দীক্ষা দিয়ে আসি। পৃথিবী ক্ষণস্থায়ী। আজ যা আছে কাল সেটা নাও থাকতে পারে। যা হারিয়ে যায় তা হয়তো সবসময় ফিরে পাওয়া যায় না। যা পাওয়া যায় না সেটা চিরতরে হারিয়ে যায়। অনেকে হারিয়ে ফেলার কষ্ট সহ্য করতে পারে না। তাই অনেক সময় অনেকে অতীতের স্মৃতি আঁকড়ে ধরে কষ্টের মাঝে বেঁচে থাকে। তবে এমন বেঁচে থাকাটা কখনো মঙ্গল বয়ে আনে না। সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হারানো জিনিসের কথা ভুলে গিয়ে নতুন করে আবার সব শুরু করা। মানুষ সামাজিক জীব। তাই সমাজে একত্রে বাস করতে হয়। বন্য প্রাণীর মতো মানুষ বসবাস করতে পারে না। তাই সমাজ বদ্ধ হয়ে আদিকাল থেকেই মানুষ বসবাস করে আসছে। একত্রে বসবাস করতে করতে যাদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে তাদের সাথে কখনো সম্পর্ক ছিন্ন হলে অনেকে কষ্ট পায়। কিন্তু এটা আমার ক্ষেত্রে হলে একদম বিপরীত মনোভাব বিরাজ করে আমার মনে। অনেকে বলতে পারেন আমি হিংসুটে বা অহংকারী।
কিন্তু বিষয়টা মোটেও ঠিক নয়। আমিও মানুষকে প্রবল বিশ্বাস করি। বিশ্বাস করে অনেকবার ঠকেও গেছি। তবুও মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারাই না। বিশ্বাস রেখে নতুন করে আবার ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলি। নিঃস্বার্থ ভাবে মানুষকে ভালোবেসে ফেলি। এর বিপরীতে যারা আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে বা অবহেলা করে তাদের থেকে আমি দূরে থাকি। ইচ্ছে করেই তাদের সাথে ধীরে ধীরে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেই। তাদের থেকে সরে গিয়ে অন্যত্র সম্পর্ক পাতাই। যাদের বন্ধু বলে বিশ্বাস করি, তারা যদি আমার সাথে প্রতারণা করে তখন তাদের সাথে চিরতরে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেই। যারা সামনে থেকে প্রশংসা আর গোপনে বদনাম করে ঘুরে বেড়ায় এদেরকে আমি প্রচণ্ডভাবে এড়িয়ে চলি। কেননা এদের সাথে সম্পর্ক রাখলে একদিন এরা বিপদের মুখে ফেলে ফায়দা নিবে। তখন সেখান থেকে উঠে আসতে আমার অনেক কষ্ট হবে। হয়তো জীবনও চলে যেতে পারে। তাই ওই সমস্ত বন্ধু নামক কালপ্রিটদের সাথে নিজেকে সবসময় দূরে রাখি। এজন্যই হয়তো অনেকে বলতে পারেন আমি অহংকারী বা হিংসুটে। যে যা বলে বলুক, তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। নিজের মান সম্মান বিসর্জন দিয়ে কোনো সম্পর্ক আমি ধরে রাখতে চাই না। প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু এমনি করেই আমার জীবন থেকে ক্রমাগত হারিয়ে যাচ্ছে। এর জন্য আমি থেমে না থেকে বড় আত্মবিশ্বাসের সাথে পথ চলি।
আমার জীবন থেকে যে মানুষটা চলে গেল তার জন্য কষ্ট না পেয়ে অপেক্ষায় থাকি নতুন মানুষের আগমনের। সময়ের ব্যবধানে একসময় আবার নতুন মানুষ চলে আসে জীবনে। তখন হারিয়ে যাওয়া মানুষটার জায়গা নতুন মানুষটাকে দিয়ে ফেলি। পরম যত্নে নতুন মানুষটাকে আগলে রাখি। ভালোবাসার মায়াজালে তাকে জড়িয়ে রাখি। ছোট্ট এই জীবনে অসংখ্য প্রিয় মানুষ সময়ের ব্যবধানে চলে গেছে বা হারিয়ে গেছে। চলে যাওয়ার তাগিদে অনেকে খারাপ ব্যবহার করতেও ভুল করেনি। অকথ্য ভাষার বরখেলাপে অপমান করে চলে গেছে তারা। তাদের সেই ব্যবহারে সাময়িক কষ্ট পেয়েছি ঠিকই কিন্তু ভেঙে পড়িনি। ধৈর্যধারণ করে থেকেছি। ভালো কিছুর অপেক্ষায় থেকেছি। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় পেয়েও গেছি আলহামদুলিল্লাহ।
সৃষ্টিকর্তার প্রতি আমার অগাধ প্রতিম বিশ্বাস৷ তার উপর বিশ্বাস রেখে প্রতিনিয়ত আমি পথ চলি। কাউকে ভালোলাগা থেকে যখন তাকে ভালোবেসে ফেলি তার প্রতি আমি প্রবল দুর্বল হয়ে পড়ি। তার প্রতি পুরোপুরি বিশ্বাস স্থাপন করি। কিন্তু সেটা সে ধরে রাখতে না পারলে আমার কিছু করার থাকে না। মানুষকে কষ্ট দিতে আমার কলিজা কাঁপে। আমি অনেক সংবেদনশীল একজন মানুষ। খুব সহজেই কাউকে বিশ্বাস করে ফেলি। সেজন্য বারংবার ঠকে যাওয়া একজন মানুষ আমি। আমার মতো হয়তো অনেক মানুষ আছেন, যারা কাউকে বিশ্বাস করে বড় নির্মম ভাবে ঠকে গেছেন। বিশ্বাসের দাম খুব কম মানুষই দিয়ে থাকে। কথায় আছে ‘মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ’। তাইতো বারংবার ঠকে যাওয়া সত্ত্বেও মানুষকে বিশ্বাস করি।
বিশ্বাস জিনিসটা আমার কাছে পরম ধর্মের মতো মনে হয়। শেষ যাকে বিশ্বাস করে অনেক কষ্ট সহ্য করে কাছে টানতে চাইলাম, সে যখন আমার বিশ্বাস নিয়ে ছিনিমিনি খেলে তখন আমি হেরে যাই। বিপরীত মানুষটা আমাকে নির্মম ভাবে হারিয়ে দেয়। জিতে যাওয়ার আনন্দে যে মানুষটা আনন্দ উল্লাস করে তার স্থায়ীত্ব বেশি দিন থাকে না। প্রকৃতির নিয়মে জিতে যাওয়া মানুষটাও একদিন কোনো না কোনো মানুষের কাছে হেরে যেতে বা ঠকে যেতে বাধ্য হয়। তখন তাদের উপর কষ্টের আকাশ ভেঙে পড়ে। এটা দেখে আমার কখনো হাসি পায় না। বরং আফসোস করে বলি, মানুষ বড় আজব প্রাণী ! কার কপালে কখন কি অপেক্ষা করছে তা কখনো আগে থেকে বলা যায় না। মানুষের জীবন চিরদিন এক যায় না। যাদের যায় তারা হয় ভাগ্যবান না হয় অভিশপ্ত। তবে চিরদিন এক যাওয়াটা অনেক বেশি কঠিন। সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই পরিবর্তন হয়ে যায়। আমার জীবনে ভালোবেসে থেকে যাওয়া মানুষ খুব কম দেখেছি৷ সবাই চলে যাওয়ার তাগিদে প্রিয় মানুষটাকে কষ্ট দিতে একবিন্দু ভেবে দেখে না।
সময় সময় যাদেরকে আমি প্রিয় মানুষ বলে চিনে এসেছি তারাই একসময় আমার কলিজায় আঘাত করতে ভুল করেনি। কোনোদিন আমি কারো প্রিয় মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি। কিন্তু অনেকের প্রয়োজনে আমাকে ব্যবহার করেছে। আমাকে ঠকিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাকে হারিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই। বরং আমাকে ফেলে যারা চলে গেছে তারা কখনো আমার দিকে ফিরেও তাকায়নি। সুখের পৃথিবীতে তারা অবগাহন করে আমাকে করেছে প্রবঞ্চনা। শেষবার যে মানুষটা আমার জীবন থেকে চলে গেল তাকে সবার থেকে ভিন্ন রূপে চিনেছি। মানুষ চেনা বড় কঠিন কাজ। মুখ দেখে কখনো মানুষ চেনা যায় না। মুখের অন্তরালে থাকে ভয়ানক মুখোশ। যে মুখোশ পরে প্রতিনিয়ত খারাপ কাজ করে থাকে। এরা বড় ভয়ানক প্রাণী। এদের কোনো বুক-পিঠ নেই। এদের দ্বারা কখনোই ভালো কিছু আশা করা যায় না। বরং ক্ষতির সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।
তবুও নতুনকে আঁকড়ে ধরে আমি বাঁচি। তখন পুরনো কষ্ট ভুলে নতুন করে আবার পথ চলা শুরু করি। নতুন মানুষের উন্মাদনায় বেঁচে থাকি। ক্ষণিকের জন্যে তখন ভুলে যাই নতুন মানুষটাও একদিন কষ্ট দিয়ে চলে যাবে। ঠকে যেতে যেতে মানুষের প্রতি আমার একদম বিশ্বাস নেই। তবুও মনের তাগিদে অথবা বেঁচে থাকার তাগিদে নতুন করে সম্পর্ক গড়ে তুলি। বলতে পারেন এটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। সম্পর্কহীন থাকতে পারিনা। তাই খুব শীঘ্রই আবার মায়াজালে জড়িয়ে পড়ি। ভালো লাগুক বা না লাগুক অভ্যাসটাকে প্রাধান্য দিয়েই পথ চলি। আমার বেঁচে থাকার কায়দাটা আমাকেই জানতে হবে। কিসে আমি স্বচ্ছন্দ বোধ করি সেটা আমাকেই জানতে হবে। এটা না জানলে এই পৃথিবীতে বেশি দিন টিকে থাকা যাবে না।
অল্প দিনেই ঝরে যেতে হবে গাছের শুকনো পাতার মতো। বেঁচে থাকার মূল মন্ত্রটা শিখে গেছি বিধায় এখন কোনোকিছুতেই আর কষ্ট পাই না। বরং ধরে নেই ব্যাপারটা স্বাভাবিক ছিল। মনকে সান্ত্বনা দেই আবার নতুন কিছু পাওয়ার প্রত্যাশায়। কষ্ট হলেও একসময় মন মেনে নিতে বাধ্য হয়। আজকাল মনটাও বুঝে গেছে কোনোকিছুই চিরস্থায়ী নয়। তাই এক যাবে এক আসবে এটাই প্রকৃতির নিয়ম। আজ প্রকৃতি যা কিছু কেড়ে নিবে কাল তার থেকে ভালো কিছুর বিনিময়ে প্রকৃতি আমাদের মুখে হাসি ফোটাবে। শুধু একটু ধৈর্য ধরে থাকতে হবে। এটা করলে সাফল্য এক সময় হাতছানি দিয়ে আলিঙ্গন করবেই। এজন্য অবশ্যই আমাদের ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। যে মানুষটা চলে গিয়ে সুখ পায় , আমি তার চলে যাওয়ায় সুখ পাই। এই মন্ত্রটা যে শিখে গেছে সে কোনোদিন কখনো কোনো অবস্থায় বিচলিত হয়ে পড়বে না। কারো জন্যই জীবন থেমে থাকেনা। চলে যাওয়া মানুষের জন্য আমার জন্ম হয়নি।
আমার জন্ম হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য। যখন এটা অনুধাবন করবেন তখন সব না পাওয়া তুচ্ছ মনে হবে। কিছু পাওয়ার থেকে কাউকে কিছু দেওয়া অনেক বেশি আনন্দের। যারা এটা বিশ্বাস করে তারা কখনো ঠকে যাওয়ার ভয় করে না। এরা নিঃস্বার্থ ভাবে মানুষকে ভালোবাসতে পারে। এদের মনটা অনেক বড় হয়। আর সংকীর্ণ মনা মানুষ কখনো ত্যাগ স্বীকার করতে পারে না। একের অধিক মানুষকে এরা ভালোবাসতে পারেনা। সংকীর্ণ মনা মানুষ দিয়ে কখনো সমাজ তথা মানুষের উপকার হয় না। এরা সবসময় পেতে ভালোবাসে। এরা বড় কৃপণ প্রকৃতির। এরা বড় সন্দেহ প্রবণ। অন্যের ভালো কিছু এরা মন থেকে সহ্য করতে পারে না। এরা বহুরূপী স্বভাবের। এদের আচার-আচরণ বড় আপত্তিকর। এদের থেকে দূরে থাকাই নিজের জন্য মঙ্গলকর। এরা চলে যাওয়া দলের আগে আগে থাকে। এরা বিশ্বাস ভঙ্গ করতে পটু। এরা অন্যের জীবন নিয়ে খেলতে অভ্যস্ত। এরা যার জীবনে রেখাপাত করে তার জীবন নরকের সমতুল্য হয়। এদের কাছে কোনো মানসিক সুখ আশা করা যায় না। এরা অল্পতেই রেগে যায়। সংসারে অশান্তি বাঁধাতে এরা বড্ডপরিকর। এদেরকে যে না চিনবে তার জীবনটা ধুকে ধুকে নিঃশেষ হয়ে যাবে। এজন্যই একসময় যাদের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল আজ আর নেই।
তারাও চলে গেছে আমিও তাদের ভুলে গেছি। মন থেকে ব্লক করে দিয়েছি। দ্বিতীয় বার এদের আমার জীবনে আসার কোনো সুযোগ নেই। এদের কোনো ফোন বা মেসেজের অপেক্ষায় থাকি না। ব্লক লিস্টের কাতারে এদের শামিল করে রাখি। এক জীবনে আর এরা আমার জীবনে রেখাপাত করতে পারবে না। সেই সুযোগ তারা আর কোনোদিন পাবে না। এদের ত্রি-সীমানায় আমার কোনো পদচিহ্নও আর থাকবে না। আজন্মকাল এদের এড়িয়ে চলাই আমার স্বভাব। চলার পথে কখনো এদের সাথে দেখা হলে মুখ ফিরিয়ে নীরবে চলে আসি সম্মুখের পথে। কথা বলা তো দূরের কথা, এদের নাম শুনলেও ঘৃণায় আমার অস্থিমজ্জা কেঁপে উঠে। থেকে যাওয়া মানুষটার জন্য আমার আজন্ম সম্মান, ভালোবাসা সব থাকবে। তাকে কষ্ট দেওয়ার আগেই আমার কলিজায় কষ্ট অনুভব করব। এই একটা মানুষ খুঁজে পেতেই হন্যে হয়ে বেইমান মানুষদের দ্বারস্থ হয়েছি বারংবার। যার পরিপ্রেক্ষিতে কষ্টও পেয়েছি বারংবার।
এই একটাই মানুষ পেয়েছি যাকে মন থেক বিশ্বাস করা যায়। তার উপর নির্ভর করা যায়। এই মানুষটা এখনো আমার কল্পনায়। যাকে আদৌ জীবনে কোনোদিন খুঁজে পাবো কিনা জানা নেই।তবুও শেষ পর্যন্ত থেকে যাওয়া মানুষটাকে খুঁজে পেতে আমার চেষ্টার কোনো কমতি নেই। একদিন তাকে খুঁজে পাওয়ার প্রত্যাশায় পথ চলেছি দৃষ্টির সম্মুখে। যদি কোনোদিন সেই মানুষটাকে খুঁজে পাই প্রণয় মালা তার গলেই পরাব পরম সোৎসাহে। তার জন্যই এই পৃথিবীতে এসেছি, জান্নাতের পথে তাকে নিয়ে যেতে হাত ধরে হেঁটে যাওয়ার সুদৃঢ় প্রত্যয়ে। এই স্বপ্ন বা আশা আমার চিরদিনের, চিরকালের।