তেকিরো টমলিন্স নামক এক তনয় ছিল বিদেশ ভ্রমণে সেইরকম ইচ্ছুক। প্রতি মাসে সেজন্য তাঁর পিতাকে সঞ্চয়ের দিককে তীব্র নজর দিতে হয় স্বীয় সন্তানকে বিদেশের মাটিতে পদার্পণ করানোর জন্য। বিভিন্ন কন্টিনেন্টের বিভিন্ন দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাঁকে মুগ্ধ করে। পর্যটকের ন্যায় প্রতি বছর সে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণে যায়। আর সেজন্য সে বিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি বিষয়ে সবার থেকে বেশি এগিয়ে। বিভিন্ন দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সে এ পর্যন্ত বহু ধারণা লাভ করেছে। ভিন্ন দেশের ভিন্ন সংস্কৃতি দেখে সে অন্য সকলের ন্যায় অবাক ও অভিভূত হয়েছে। মনুষ্যের সবসময়ই ও সর্বকালেই যে ছিল নব কোনো বিষয় জানার ইচ্ছা ও নব কোনো কিছু দর্শন করার ইচ্ছা। ঠিক সেরকমই বালক মনেও ছিল যে নব কিছু দেখার তীব্র ইচ্ছা ও নব কোনো বিষয় সম্পর্কে আনন্দের সহিত জ্ঞানার্জন করা। সবসময়ের মতোই এবার সে ঘুরতে এসেছে এক ভিন্ন দেশে।
যে দেশ কিনা পোশাক উৎপাদন ও এ শিল্পে প্রচুর এগিয়ে। সে দেশের অতীত ইতিহাসও তাৎপর্যপূর্ণ।আর এদিকে টিটিসিইউ হলো টাইম ট্রাভেল কন্ট্রোলিং ইউনিট বা সময় ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। ফোন দেওয়ার সাথে সাথে একজন সার্জেন্ট কল রিসিভ করল। মূলত সময় ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের প্রত্যেকটি সক্রিয় সদস্যকে সার্জেন্ট বলা হতো। পূর্বের দিনের মনুষ্যের বর্তমান দিনকালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্বলিত সমাজে অনেককিছু পুরাতন হিসেবে বোধগম্য হলেও, সেটি সেই সাধারণের মতো আচরণ করলেও, অভ্যন্তরে ও বাইরের নেত্রদৃষ্টিতে নতুনত্বের ধারকরূপে আমাদের নিকট ধরা দেয়। অর্থাৎ বাহিরে তাকে এমন রূপ প্রদান করা হয়, যেন সে মনোরম রূপে সকলের অন্তরাত্নার নিকট ধরা দেয়। কিন্তু একে যখন কাজ করতে দেওয়া হয়, সে যেন তার রূপটাকে আস্তে আস্তে অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। এক অজানা ও অদ্ভুত লজ্জাশীলতার প্রতীক হিসেবে তখন তাকে দেখে মালুম হয়। তেকিরো এদিকে বলে নিজ অন্তরে,”আবোল-তাবোল প্রশ্ন: যদি মহাকাশের হাজার আলোকবর্ষের দূরত্ব সেকেন্ডে পাড়ি দিতে চাই তবে আমি কি জাদুবিদ্যা ব্যবহার করবো নাকি বিজ্ঞান ব্যবহার করবো?
আবোল-তাবোল প্রশ্নের উত্তর: সেকেন্ডে হাজার আলোকবর্ষ পাড়ি দিতে বাহনের ইন্জিনটি হতে হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্রাক এর চেয়েও বড় উচ্চতার ও মাপের। আর এর মধ্যে এক বা একাধিক ইন্জিন থাকতে হবে। ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতা হতে হবে ৯৫ শতাংশের উপরে। তবেই হাজার আলোকবর্ষ পাড়ি দেওয়ার সক্ষমতা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কম সময়ে নেমে আসবে। জাদুবিদ্যা বলে কিছুই নেই। এগুলো মনুষ্য মনে উদ্ভূত অন্ধবিশ্বাস। বিজ্ঞান এসব জাদুবিদ্যা বাস্তবে প্রমাণ করে দেখাতে সক্ষম হয়েছে।”
– সময় ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সার্জেন্ট রবার্ট রন্টজেন গিলমোর বলছিলাম।
– আমি বেন্জারো বলছিলাম। হঠাৎ একটি আলোকরশ্মির কারণে আমি আমার সময় থেকে অন্য সময় চলে এসেছি। দ্রুত আমাকে উদ্ধার করতে আসুন। এখানে তো আমাকে সব ভয়ানক প্রাণীদের হিংস্র মনোভাবে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
– আসলে আমাদের একটি ইউনিট আলোকরশ্মি কোথা থেকে উদ্ভূত হয়েছে সেটা জানার চেষ্টা করছে । কিন্তু আমাদের সফটওয়্যারে সমস্যার কারণে মেশিনগুলো চালু হচ্ছেনা । আর সে কারণে আপনাকে বর্তমানে যেখানে অবস্থান করছেন সেখানে কিছুদিন থাকতে হবে। তবে আমরা আপনাকে উদ্ধার করতে অবশ্যই আসবো। কারণ প্রায় তিনশত জন লোক আপনার সময়ে অর্থাৎ আপনি যে সময়ে বন্দী হয়ে আছেন সে সময়েই তারা একইভাবে বন্দী হয়ে আছে। আপনি তাদেরকে খুঁজে একসাথে থাকার মাধ্যমে সকল বিপদ থেকে রেহাই নিন। ধন্যবাদ।
এই বলে সার্জেন্ট তার অফিসিয়াল ট্রামোফোন কেটে দিল। বেন্জারোও তখন বেরিয়ে পড়ল তার সময়ের মনুষ্যদের খোঁজার জন্য।
অপরদিকে ধরণীতে,
[ ইঞ্জিনিয়ার সরঞ্জাম নিতে গেলে লাইনম্যানের রেডিও হঠাৎ করে অন হয়ে যায়। সেখানে সুনামি সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। আর সময়ের সাথে আবহাওয়া আরও বিরূপ রূপ ধারণ করতে পারে বলে উক্ত এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার এগুলাে শুনে দ্রুত বাইরে যায় সরঞ্জামাদি নিয়ে। ]
– রেডিও শুনলাম। এখানের আবহাওয়া সময় বাড়ার সাথে সাথেই বিরূপ হবে।
– তাহলে তো সমস্যাই হয়ে গেল।
– অহেতুক চিন্তা না করে এখন কাজ করতে হবে দ্রুত।
[ ইঞ্জিনিয়ার ও সিন্দো দ্রুতগতিতে কাজ করায় ট্রেন সংযুক্ত করা দ্রুত শেষ হয়ে যায়। এদিকে সুনামির তাণ্ডব শুরু হয়ে গেছে। সিন্দো ক্যাপ্টেনের কথা ভাবছিল। ইন্জিনিয়ার সিন্দোকে দ্রুত ট্রেন চালু করতে বলল। তাই আর কিছু না ভেবে সিন্দো ট্রেন চালু করল। এদিকে দ্বিতীয় বগির সবাই এখনো অজ্ঞান হয়ে আছে। অন্যদিকে আকাশে-বাতাসে সকল ভৌতিক শব্দ। সাদা আলো বাইরে দেখা যাচ্ছে। আর রক্তাক্ত হাত,পা,মস্তক সুনামির পানির সাথে ভেসে আসছে।]
– (রেল চালু করে) ইঞ্জিনিয়ার এসব কি আসছে পানিতে ভেসে?
– আমার দাদিমা বলেছিল আমাকে ছোটবেলায় এই এলাকার সকল অঘটনপূর্ণ ও ভৌতিক ঘটনার কথা। তখন সেগুলাকে আমি গল্প হিসেবে নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন দেখি সেগুলােই সত্যি।
– ইন্জিনিয়ার, আপনার দাদিমা আপনাকে কি বলেছিলেন?
– তিনি বলেছিলেন যে, এ অঞ্চলের অতীত ইতিহাস প্রচন্ড খারাপ ও এখানে অশরীরীর উপস্থিতি অনেক বেশি।
[ সিন্দো দ্রুতগতিতে ট্রেনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গেল। কারণ একদিকে আর্তনাদ ও চিৎকারের শব্দ, ভয়ানক সকল ডাক, অদ্ভুত সকল আলোর ছড়াছড়ি, সুনামির ফলে লোকালয়ে সায়রের পানির দ্রুতগতিতে প্রবেশ ও আবহাওয়ার তীব্র প্রতিকূলতা। অপরদিকে ট্রেনকে উল্টে দেওয়ার মতো তীব্রগতিতে বায়ুপ্রবাহ। সব মিলিয়ে বিপদ কাটিলে সামনে আগাচ্ছিল ট্রেনটি। পথিমধ্যে হঠাৎ বেগুনি আলোয় চারদিক ঢেকে যায়। ট্রেন দুলতে শুরু করে। চালকদ্বয় ট্রেন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিল না। বরং সেটি লাইন ছেড়ে কোনো এক দিকে সৃষ্ট অজানা পথে অপ্রতিরোধ্যভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল। সিন্দো এসব দেখে বেহুশ হয়ে যায়। পরে রেলওয়ে স্টেশনে সিন্দোর চেতনা ফিরিয়ে আনে একজন লোক।]
– (আঁতকে উঠে) আমি কি কবরে অবস্হান করছি?
– (উপস্হিত সবাই হেসে দিয়ে) আপনি বিমানবন্দরের নিকটে অবস্থিত রেলওয়ে স্টেশনে পড়ে আছেন।
– (চিন্তায় পড়ে) ট্রেন কোথায়?
– (পিছনের দিকে ইঙ্গিত করে) ট্রেন ওখানে থেমে আছে।
– (ট্রেনের দিকে ছুটে গিয়ে) ইন্জিনিয়ার কই? আর শেষ বগির যাত্রীরা কোথায়?
– কোনো ইন্জিনিয়ারকে বা লোককে চালকের আসনে আমরা দেখিনি। শুধু আপনাকে সেখানে অজ্ঞান অবস্থায় পেয়েছি। আর ট্রেনের শেষ বগির যাত্রীরা তো ঘুমিয়ে গিয়েছিল। তাদের জাগানোর পর তাঁরা দ্রুত লাগেজ নিয়ে এয়ারপোর্টে চলে গিয়েছে। আমরা তো ভেবেছিলাম, ট্রেন সায়রের পানিতে তলিয়ে গিয়েছে। যে ভয়াবহ খবর পেয়েছিলাম আমরা এই স্টেশনের সবাই। বারোটি ট্রেন বাতিল করে দিয়েছিলাম আমরা বৈরী আবহাওয়ার জন্য। কিন্তু তার আগে এই ট্রেন যাত্রা শুরু করায় আমরা ভেবেই নিয়েছিলাম যে, ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ট্রেনটা হয়তো সায়রের পানিতে তলিয়ে যাবে। এখন দেখছি যে, উল্টো ঘটনা ঘটেছে। কিভাবে আপনি ট্রেন নিয়ে ফিরে এলেন?
– ট্রেনের একটি যাত্রীবাহী বগি বাদে বাকি সবগুলো বগি পড়ে যায় অকস্মাৎ বিকট এক ধাক্কা খেয়ে। তারপরে এক ইন্জিনিয়ারের সাথে দেখা হওয়ার পর ট্রেনকে মেরামত করে এখানে অব্দি নিয়ে এসেছি। (মনে মনে বিড়বিড় করে) কিন্তু বেগুনি আলোর মধ্যে ট্রেন উল্টাদিকে তো যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণের বাইরে তো চলে গিয়েছিল। তাহলে এখানে সঠিকভাবে আসলো কিভাবে?
– যাইহোক, যা হওয়ার তা তো হয়েই গিয়েছে। ক্যাপ্টেনকে তো পেলাম না। আর আপনি তো সহকারী। আপনি এতদূর পর্যন্ত কয়েকজন যাত্রীকে জীবিত অবস্থায় আনতে পেরেছেন, সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অন্যদিকে ঘটনার আঠারো বছর কেটে যায়। এখন সিন্দো কোম্পানিতে চাকরি করে। প্রত্যেকদিনের মতোই সে আজ বৃহস্পতিবারে কোম্পানিতে যাওয়ার জন্য গৃহ থেকে দ্রুতগতিতে প্রস্হান করলো। পথে দেখা হলো ইন্জিনিয়ারের সাথে। বর্তমানেও চেহারা বিবেচনায় তিনি আঠারো বছর আগের মতোই রয়েছেন।
– (চমকে গিয়ে) ইন্জিনিয়ার সাহেব, আপনি এখানে!
– আমি এখানে তোমার সাথে দেখা করতে এসেছিলাম। তোমাকে একটা সত্যকথা জানাতেই এখানে আমার আগমন।
– কোন সত্যকথা?
– (হাঁফ ছেড়ে) তোমার সাথে দেখা হয়েছিল যেদিন, তাঁর দুবছর আগেই রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটে। সেখানে আমি বৈরি আবহাওয়া থেকে অনেক ট্রেনকে আজও পার করে দিই। রেললাইন মেরামত করি। সেদিন তুমি আমাকে দেখতে পেয়েছিলে একটি কারণেই। আর সেটা হলো তুমি সাহায্যপ্রার্থী ছিলে বলে। কারণ আমি বেঁচে থাকা অবস্থায় বহু মানবের উপকার করেছি। আর তোমাকে সাহায্য করে আমার খুব ভালো লেগেছে। তোমাকে আমি অবশ্যই মনে রাখবো। বৎস তোমাকে আল-বিদা।
[এরপরই হঠাৎ গায়েব হয়ে যায় ইন্জিনিয়ারটি। সিন্দোও বুঝতে পারে আসল ঘটনা। এদিকে কোম্পানির সহকর্মীরা সিন্দোকে দূর থেকে ডাক দেয়। সিন্দোও সহকর্মীদের ডাকে সাড়া দেয় ও তাদের দিকে এগিয়ে যায়।]
মূলত ইন্জিনিয়ার নামক অশরীরী ছিল রেলসেবায় নিয়োজিত এক কর্মঠ ইন্জিনিয়ার। কিন্তু তাঁর ভাগ্য ছিল যেন অধিক পেকে যাওয়া আমের মতোই অধিক মিষ্টি। সে কখনো ভাবতেও পারেনি যে, কর্মস্থলে থাকাকালীন মৃত্যু তাঁর কাছে এভাবে স্বেচ্ছায় চলে আসবে। তাই মৃত্যুকে সে বরণ করে করে ও মৃত্যুর পরেও সে রেললাইন মেরামতে গোপনে কাজ করতো। অর্থাৎ অদৃশ্য হয়ে। যাতে কেউ তাঁকে দেখতে না পায়। আড়ালে থেকে সকল মনোহর কর্ম সম্পাদনে ব্যস্ত ছিল ইন্জিনিয়ারের অশরীরীটি। অকালমৃত্যু নিয়ে তাঁর ছিলোনা কোনো অভিযোগ। বরং কর্মের প্রতি তাঁর ছিল পূর্ণ মনোযোগ।
হকের মনে একুশ শতকে বাংলাদেশ,”দেশে বেশ কিছুদিন পূর্বেই শুরু হয়েছিল ছাত্র আন্দোলন। তাই আমার স্বাভাবিক ও প্রয়োজনীয় কাজগুলোও যেন অকস্মাৎ বদ্ধ হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবে আমি একজন ছাত্র হলেও অন্যদিক দিয়ে আমি একজন স্বভাবলেখকও বটে। ইতিবাচক মস্তকের ব্যক্তির চিত্তেই লেখালেখির নেশা একমাত্র শোভা ও স্থান পায়। অবসর সময় উদযাপন করার জন্য একপ্রকার মনোহর ও সঠিক ভাবনাই হলো সাহিত্যের মনোরমের মধ্যে ডুবে থাকা। অর্থাৎ সাহিত্যে নিজেকে একপ্রকার আত্ননিয়োগ করার মতো মনমানসিকতা। এসকল ব্যতিক্রমী কর্মকাণ্ডে থেকেই অবসর সময়ের এক অবিরাম সৌন্দর্য আমাদের নিকট ধরা দেয়। নিত্য কাজের অর্থাৎ পড়াশোনার সাথে সেই কাজে যুক্ত ছিলাম। কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়া সকল ইনসানেরই বহুদিনের স্বপ্ন। কিন্তু বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা তাঁকে যে চার দেয়ালের মধ্যে বন্দি করে রাখে। এর মধ্যে অন্যতম একটি সীমাবদ্ধতার নাম লোকজনের মন্তব্য। লোকজন বিরূপ মন্তব্য করলে অনেক সম্ভাবনা মূহুর্তের মধ্যে ধুলোয় মিশে যায়। সে সম্ভাবনা আর জাগ্রত হওয়ার অসীম সাহসটা পায়না। কিন্তু দিল তাঁকে সর্বোচ্চ সায় দিতে থাকে সেসকল মনোহর কর্মকাণ্ডে পুনরায় যুক্ত হওয়ার জন্য। কিন্তু লোকজনের একটা বিরূপ মন্তব্যই তাঁকে ভীতির বেড়াজালে আবদ্ধ করে রাখে চিরকাল। সাহস অন্তরাত্নায় আসতে কারও কারও তো লেগে যায় বহুকাল। তবুও আসার সম্ভাবনা অনেক ক্ষেত্রে নগণ্য হিসেবেও ধরা যায়। কিন্তু লোকজনের মন্তব্য আমার মনে সেভাবে আক্রমণ করতে পারেনা বলেই সফলতাকে আমি খুব জমকালোভাবে উদযাপন করি।”