মোজাম্মেল হক
একুশ শতকে শেষভাগে পৃথিবীতে দেখা দেয় ভয়ংকর সব যুদ্ধ ও বিপত্তির। যেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দিক দিয়ে সমগ্রবিশ্ব তখন ছিল বর্তমানের তুলনায় উচ্চসীমায়। ফলে শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো দুর্বল রাষ্ট্রকে ভারী সব অস্ত্র দিয়ে হামলার মাধ্যমে প্রতিহত করে দখলের চেষ্টায় ও উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় রত কিংবা সম্পৃক্ত ছিল। এসময় আবহাওয়া ও জলবায়ুর উল্লেখযোগ্য হারে পরিবর্তন দেখা দেয়। বর্তমান দিনে যেটি কল্পনার বাইরে; সেটি সংঘটিত হতে দেখা যায় একুশ শতকের শেষভাগে। ২০৭০ সালে আফ্রিকায় হঠাৎ করে তীব্র বন্যা ও ভারী বৃষ্টিপাত দেখা দেয়। এর পরিমাণটা এতই বেশি ছিল যে, সে পরিমাণ বন্যা কিংবা বৃষ্টিপাতের পরিমাণ একালে দক্ষিণ আমেরিকা কিংবা এশিয়া মহাদেশেও পরিলক্ষিত হয়না। আফ্রিকার আবহাওয়া ও জলবায়ুগত দিক দিয়ে এ গণজাগরণে কোনো অপূর্ণতা তখন পরিলক্ষিত হয়নি। বরং দশ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরই জরিপে পরিলক্ষিত ও দর্শিত হয় এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আফ্রিকা মহাদেশে তখন খাদ্যভান্ডারের পরিমাণ ছিল আফ্রিকা মহাদেশকে বাদ দিয়ে সমগ্রবিশ্বের বাকি মহাদেশগুলোর মোট শতভাগের সত্তর ভাগের সমপরিমাণ। এমন উন্নতি পরিদর্শন করে মোটেও স্বাভাবিক মনোভাব বহন করেনি উন্নত দেশগুলোর ঘৃত।
দেশীয় ও আমদানিকৃত বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে পরিপূর্ণ হতে শুরু করে আফ্রিকা মহাদেশের রাষ্ট্রগুলো। বিশেষ করে আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের রাষ্ট্রগুলো ছিল তৎকালীন উন্নত দেশগুলোর জিডিপির সমপরিমাণের প্রায় অনুরূপের মতো৷ শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও তৎকালীন বিভিন্ন মহাদেশীয় ভিন্নসকল রাষ্ট্রের যুদ্ধ বন্ধ করতে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলীয় আফ্রিকা মহাদেশের রাষ্ট্রগুলো একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। জাতিসংঘের নিকটে সে প্রস্তাব গৃহীত করলে জাতিসংঘ তা গ্রাহ্য করে। কারণ জাতিসংঘকে তখন যুক্তরাষ্ট্রের পর সর্বোচ্চ আর্থিক দিক দিয়ে সহায়তা প্রদান করতো আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাষ্ট্রগুলো। ২০৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় ডব্লিউপিআরপি। যার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি রাষ্ট্রের নাগরিক জনাব মেন্ডিলোস ডু হেইনসডিনারক। ডব্লিউপিআরপির পূর্ণরূপ হলো ‘ওয়ার্ল্ড’স পারমিটেড এন্ড প্রোফেশনাল রেসকিউ প্রেজেন্টেশন’। অর্থাৎ বর্তমান শান্তিরক্ষী বাহিনীর অনুরূপই ছিল এই সংস্থাটি। তবে তাদের কাজ ছিল একটু ভিন্ন। তাদের ছিল যেকোনো রাষ্ট্রের সীমানা টপকানোর বৈধতা ও শত্রুপক্ষের লোকজনকে নিধনে সম্পূর্ণ বৈধতা এবং অত্যাধুনিক ও শক্তিশালী যেকোনো অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি। বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনী যেমন নিয়মিত স্বীয় রাষ্ট্রের অম্বরসীমায় টহল প্রদান করে; ঠিক তেমনি এই বাহিনীটিও নির্দিষ্ট এলাকা ভাগ করে নিয়ে সে দেশের সীমানায় নিয়মিত টহল প্রদান করতো। এজন্য তাদের কোনো বিধিনিষেধের আওতায় পড়তে হতোনা। হোক সেটা রাষ্ট্রগত কিংবা এলাকাভিত্তিক।
বিভিন্ন স্থান, দেশ ও সৈন্য এ প্রেজেন্টেশনটিতে অংশগ্রহণ করে। তিনমাসের সামরিক প্রশিক্ষণের সমাপ্তি রচনা করে সর্বপ্রথম তাঁরা বিভিন্ন ব্যাটালিয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করতো। কিন্তু সেখানে প্রদান করতে হতো আরেকটি পরীক্ষার। পরীক্ষাটি হলো নিজের অস্ত্রগত, শারীরিক ও মানসিক দিক দিয়ে সর্বোচ্চ সক্ষমতার। এক্ষেত্রে বিভিন্ন মানসিকতার ব্যক্তিদের প্রথমদিকের ব্যাটালিয়নদের গ্রুপে সম্পৃক্ত করে দিতো সিপাই হিসেবে। এরপরে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ব্যাটালিয়নে প্রবেশের যোগ্যতা অনুযায়ী ভিন্নসকল ব্যক্তিবর্গকে প্রেরণ করে দেওয়া হতো সেখানে সিপাই হিসেবে। এদের মধ্যে আবার অভিজ্ঞ ও সাহসী সিপাইকে প্রদান করা হতো সর্বোচ্চ সম্মান। অর্থাৎ তাঁরা কমান্ডার হিসেবে স্বীয় ব্যাটালিয়নে প্রবেশের অনুমতি লাভ করতেন। যেখানে তাঁরা সহজে পরিচালনা করতে পারতেন তাঁর সহকর্মী বাকি সকল সিপাইদের। কাজটা কোনোভাবে ও কোনো অংশেই সহজ নয়। যুদ্ধক্ষেত্রের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো গুরুদায়িত্ব তাদের নিকট অর্পিত থাকতো সর্বসময়। বিভিন্ন মিশনে সহকর্মীদের সঠিক পথপ্রদর্শন তাদের অন্যতম একটি নিত্যদিনের কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল। ফলে পদটি রক্ষা করা তেমন কোনো সহজ বিষয়াবলী হিসেবে এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট বিচরণ করতো ভিন্নসর্ব পরিচিতিতে। সংস্থাটির এশিয়া জোনের একটি রাষ্ট্রের উপর নজরদারি করতো সংস্থটির উনপঞ্চাশতম ব্যাটালিয়ন।
রাষ্ট্রটি এশিয়া মহাদেশের সর্বপূর্বে অবস্থিত একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত থাকলেও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে দেখা দিয়েছিল তীব্র সংশয়। কারণ অভ্যন্তরীণ গোলযোগ কিছুদিন পূর্বে শিথিল হয়ে গেলেও উত্তরের রাষ্ট্রটি সীমানায় জোরদার ব্যবস্থা নিয়েছিল। মূলত দেশটি উত্তরভাগ থেকে বাড়িয়ে নিয়েছিল ইউরোপ অব্দি তাদের সীমানা। সেখানে বেশিরভাগই পৃথিবীর বাহিরের গ্রহের সব অধিবাসী মানুষ ছিল। মূলত ২০৫০ সালে মঙ্গলগ্রহে বসবাসের প্রারম্ভ করা অধিবাসীরাই মূলত এরা ছিলেন। মঙ্গলে দর্শিত সকল প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও পৃথিবীর মতো কিছুক্ষেত্রে সুবিধা লাভ না করায় তাঁরা পুনরায় জনসংখ্যাগত দিক দিয়ে কমে যাওয়া ধরণীর বুকে পুনরায় প্রত্যাবর্তন করেন। মূলত এসকল জনগণের পৃথ্বী হিজরতের মূল কারণ ছিল পৃথিবীর পরিবেশের চরম ও আশঙ্কাজনক হারে বিপর্যয়। কিন্তু মঙ্গল গ্রহে অভিযোজন করতে ব্যর্থ হওয়ায় বহু মনুষ্যের স্বীয় গ্রহে প্রত্যাবর্তন দুর্ঘটনার খবরের মতো তাজা হয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে দক্ষিণে টহলপ্রদান কার্যে লিপ্ত ছিলেন ডব্লিউপিআরপি সংস্থার পাঁচ সদস্য এবং একজন কমান্ডার। সদস্যরা হলেন নিহনগো বা বর্তমান জাপান নামক দ্বীপরাষ্ট্রটির একজন বিশেষ প্রতিনিধি জনাব কামাকুরা ফুজিকো, লায়ন সিটি বা সিঙ্গাপুরের লি সাইমন্ডস, তাইওয়ানের ডাইজো ইয়াবাতো, কোরিয়ান রিপাবলিক-এর ডাইইউন রিউম বার্নার্ড এবং ফিলিপাইনের জোসেপ মার্লিনজে। দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়েছিল তারও ওপর বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের অতিমাত্রা। ফলে অল্পতেই ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যাওয়া নিত্যনতুন কোনো বিষয়বস্তু ছিলনা।
তার ওপর আবার মঙ্গল গ্রহ থেকে আগত অনুপ্রবেশকারীদের প্রকোপে অস্থির ও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল জনজীবন। অনুপ্রবেশকারীদের দাপটে কতকটা সর্বস্ব হারানোর ন্যায় ভীতিতে জনপদকে একটি কঠিন অধ্যায়ের মধ্যভাগে দিনাতিপাত করতে হতো। বর্তমানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী হিসেবে সেনারা যেমন আফ্রিকা মহাদেশের ভিন্ন কয়েকটি রাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাস ও তাদের অতি দারিদ্র্যতার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠাকরণের কার্যে লিপ্ত থাকে; কতকটা সেসময় ডব্লিউপিআরপি সংস্থার সদস্যদের কাঁধে অনুরূপ দায়িত্ব প্রদান করা ছিলো। বিভিন্ন এলাকাভেদে তাদের শান্তি প্রতিষ্ঠাকরণের ভ্রমণ ও উদ্দেশ্য সফলতার মুখ দর্শন করছিলো। অন্যদিকে নিত্যদিনের মতোই দক্ষিণে টহলদান করছিলো ডব্লিউআরপির প্রতিনিধিরা। এদিকে আকস্মিকভাবে ভূমিতে কম্পন শুরু হয়। প্রথমে এটিকে সবাই ভূমিকম্প হিসেবে দিলে প্রতিষ্ঠিত করলেও; তা বেশিসময় ইনসানগুলোর স্বীয় অন্তরাত্নায় স্থায়িত্ব লাভে ব্যর্থতা প্রকাশ করতে রীতিমতো বাধ্য হয়। আসলে ব্যাপারটা ছিল মূলত বিভিন্ন উল্কাপিণ্ড ও পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরে অবস্থিত বিভিন্ন স্থানে জেগে ওঠা আগ্নেয়গিরির গণজাগরণ।
বিষয়টা জনপদের হিতাহিত জ্ঞানে স্থান করামাত্রই সকলে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিতে শুরু করে। অনেকে তো আবার দ্রুত তৈরি হয়ে নিয়ে কতকটা দৌড়বিদের ন্যায় দৌড়ের চিত্তের বিপরীতে পদখানি দ্বারা আয়োজন সম্পন্ন করে। কিন্তু গন্তব্যের কথা বলতে গেলে সকলের নিকটই সেটি ছিল অজানা। অন্যদিকে কমান্ডার সুরক্ষিত স্থান খুঁজতে লেগে যান। কিন্তু উল্কার পরিমাণ এত ছিল যে, তা যে কোনো মুহূর্তে পৃথ্বীকূলের মানববর্গকে পঞ্চত্বপ্রাপ্তি লাভ করে দেওয়ার জন্য পূর্ণমাত্রায় সক্ষমতার সহিত হাজির হয়েছিল। ইতিমধ্যে এ বিপর্যয়ে বহু মনুষ্য প্রয়াণস্বাদ পেলেও, পরবর্তীকালে যাতে কেউ এ ভিন্নমাত্রার স্বাদের নিকট অব্দি পৌঁছাতে না পারে, সে লক্ষ্যে কমান্ডার পৃর্থ্বীর সুরক্ষিত স্থান চয়ন ও অবশিষ্ট অংশগুলিকে খোঁজার কাজে লেগে পড়েন। সুবিধাজনকভাবে সেসকল স্থান চয়ন করতে অনাকাঙ্খিত ব্যর্থতায় হতাশার পরিবর্তে কমান্ডার সোজা মহাকাশের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। যেখানে আজ পর্যন্ত ডব্লিউপিআরপি সংস্থার কোনো ব্যক্তিবর্গ গমনের সাহস করেনি। কিন্তু কমান্ডারের অসীম সাহস দেখে বাকি সকল সদস্যবৃন্দ বায়ুমন্ডলে গমনে দ্বিমত পোষণ করেনা স্বীয় অন্তরাত্নার নিকট থেকে। একযোগে সকলে বায়ুমন্ডলে অবস্থান নেয়।
উদ্দেশ্য উল্কার গতিপথ পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি প্রশমিত করার মতো মানবিকতার ও দায়িত্ববোধের সম্মানিত এক কর্মযজ্ঞ। কর্মযজ্ঞটিতে প্রাণহানির মতো ঘটনা থেকে নিস্তারের আশা ও প্রত্যাশা ক্রমশ নিবু নিবু ডব্লিউপিআরপি সংস্থার সদস্যদের ক্ষেত্রে হলেও মনুষ্যবর্গের ক্ষেত্রে তা নেত্রের পলকে নিখোঁজ হওয়ার মতোই অপ্রতিভ ও রহস্যময় এক ঘটনার সূত্র। যাহোক নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিতি পোষণ করে সকল সদস্যবৃন্দ পৃথিবীর নিরাপত্তার কার্যে স্বীয়কে উজাড় করে দিতে মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়। পরক্ষণেই একটি মহাজাগতিক শিলা অগ্নিগোলকের এক বিস্তীর্ণ রূপ ধারণ করে। এটি সৌরজগতের বহির্ভাগের অজ্ঞাত এক স্থান থেকে উদ্ভূত হয়ে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হয়। তৈরি হয়ে যায় তৎক্ষনাৎ ব্যক্তিবর্গরা। দ্রুতগতির বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র গোলকটির দিকে নিক্ষেপ করলেও কাজের কাজ ও সুবিধা বদায় বলতে তেমন কিছু পরিলক্ষিত হয়না।
এসময় কমান্ডার স্বীয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গোলকটির দিকে অগ্রসর হয়। উভয়েরই গতি ছিল বহুগুণে। কমান্ডার যেহেতু উন্নত প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, সেহেতু তিনি তাঁর সর্বোচ্চ জ্ঞানকে ও দক্ষতাকে সেখানে কাজে লাগিয়ে দেন। অর্থাৎ প্রশিক্ষণের সময় মনোহরভাবে রপ্ত করা আলোর চেয়েও দ্রুতগতিসম্পন্ন সংঘর্ষ কমান্ডার ব্যবহার করতে বাধ্য হন। যেখানে তাঁর ঘৃতে সুরক্ষাব্যবস্থার জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে হেলমেট খুলে যায়। যাহোক বাকি সদস্যগণের মুখমন্ডলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ধরণীকে রক্ষা করার মনোরম এক উদ্দেশ্যে সদস্যগণের নেত্রের পলক নিম্নে গমনের পূর্বেই কমান্ডার সেই ভয়ংকর অগ্নিগোলকের সহিত মর্মান্তিক সংঘর্ষে লিপ্ত হন। ফলে কমান্ডারের শারীরিক কোনো ক্ষতি হয়না। তবে ভঙ্গুর অবস্থায় নিমজ্জিত হয়ে যায় তাঁর গর্বের হেলমেটটি। যেটি কিনা সংস্থাটির সকল কমান্ডারের গর্ব, শক্তিমত্তা প্রদর্শন ও যুদ্ধে সম্পূর্ণরূপী আত্মনির্ভরশীলতা এবং স্বীয় নিরাপত্তার প্রতীক। কোনো মহাজাগতিক শক্তি ব্যতীত এর স্বীয় ধ্বংসলীলা নিশ্চিত করা অসম্ভব বক্তব্যেরও অসম্ভব বিষয় বৈকি। লোচনের অন্তরালে চলে গিয়েছিল কমান্ডারের দেহাবশেষ। সদস্যবৃন্দের খোঁজপূর্ণ মস্তকে জানতে কমান্ডারের সঠিক অবস্থান। তবে সেটি চিরায়ত অসম্ভব।
কারণ মহাবিশ্বের পরিধি ব্যাপক। যেখানে কোনো জীব কিংবা জড়ের নিখোঁজ হওয়া সেকালেও নিত্যনব কোনো ঘটনা ছিলনা। বরং পৃথক অভিযানে ও উদ্দেশ্যে মহাকাশের এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে গমনকালে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা সেকালে মহাজাগতিক দুর্ঘটনা হিসেবে জনমনে স্থান লাভ করে নিয়েছিল। কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে স্বীয় উন্নতি লাভের উদ্দেশ্যে সেসময় প্রায় বেশিরভাগ বিক্রেতা ধরণী স্বল্পসময়ের জন্য ত্যাগ করে বিশেষ যানের মাধ্যমে এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে স্বীয় উৎপাদিত পণ্য রপ্তানিকার্যে স্বতন্ত্রভাবে কিংবা স্থিতিশীল অবস্থার জাগরণে একপ্রকার বাধ্য হয়েই নিয়োজিত থাকতো। যা কিনা দারিদ্র্যতা দূরীকরণের ক্ষেত্রে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল ও অনবদ্য ভূমিকায় উপস্থিত ছিল।