প্রতিবেদক: মোঃ নূরনবী ইসলাম সুমন
ট-ব্লক উপশাখার কর্মী, দায়িত্বশীল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাজধানীর মিরপুরে অনুষ্ঠিত হলো ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিল। শাহআলী থানার আওতাধীন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এই বিশেষ আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয় মিরপুর ইসলামিয়া হাই স্কুলের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায়। এতে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড, থানা ও মহানগর শিবিরের দায়িত্বশীলগণ, কর্মী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
প্রধান অতিথি ও বিশেষ উপস্থিতি
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
*তানভীর ইবনে মাহফুজ,
ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক, ঢাকা মহানগর পশ্চিম।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
*মোঃ আব্দুল কাদির
সভাপতি শাহআলী থানা( অনুষ্ঠান শেষে এসে যুক্ত হয়েছে)
*মোঃ সাবিত ইবনে জামান, শাহআলী থানা বায়তুল মাল সম্পাদক
*আবু রায়হান
৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি
*আবিদুর রহমান রোমেল
৬ নম্বর ওয়ার্ড সেক্রেটারি
*মোঃ সাঈদ
৬ নম্বর ওয়ার্ড বায়তুল মাল সম্পাদক
উপশাখার দায়িত্বশীলদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন
*মোঃ মাহাদি
সভাপতি, ট-ব্লক উপশাখা
*মোঃ নাহিদ ইসলাম
সেক্রেটারি, ট-ব্লক উপশাখা
*মোঃ নূরনবী ইসলাম সুমন
প্রকাশনা, সাহিত্য ও শিল্প সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক
অনুষ্ঠানের সূচনা ও পরিবেশ
১৫ মার্চ, শনিবার বিকেল ৩:৪৫ মিনিটে কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর ট-ব্লক উপশাখার এক কর্মী সুমধুর কণ্ঠে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন, যা উপস্থিত সবাইকে বিমোহিত করে। অনুষ্ঠানের শুরু থেকেই এক আধ্যাত্মিক আবহ বিরাজ করছিল, যা ধীরে ধীরে আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
সাধারণ সভার গুরুত্ব ও আলোচ্য বিষয়
সাধারণ সভার মূল আলোচনায় বক্তারা ইসলামী আন্দোলনের বর্তমান প্রেক্ষাপট, সংগঠনের আদর্শ ও কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তারা বলেন, রমজান কেবল সিয়াম সাধনার মাস নয়, এটি আত্মশুদ্ধি, সংযম এবং ত্যাগের শিক্ষার মাস। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য রমজানের শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ধৈর্য ও আত্মনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ দেখায়।
বক্তারা আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলনের অগ্রগতির জন্য কর্মীদের চরিত্র গঠনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। ত্যাগ ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে কিভাবে সমাজে ইসলামের আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করা যায়, সে বিষয়ে উপস্থিত কর্মীদের করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।
বিশেষ অতিথির উপস্থিতি
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২৪ জুলাইয়ের শহীদ মিরাজের বাবা। যদিও তিনি কোনো বক্তব্য প্রদান করেননি, তবে তাঁর উপস্থিতি পুরো অনুষ্ঠানে এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করে। শহীদদের স্মরণে উপস্থিত কর্মীরা আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন এবং ইসলামী আন্দোলনের পথচলাকে গতিশীল করার অঙ্গীকার করেন।
ইফতার মাহফিল
সাধারণ সভার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর উপস্থিত সবাই একসঙ্গে ইফতার করেন। ইফতারের মেনুতে ছিল খেজুর, মুড়ি, বুট, পিয়াজু, বেগুনি, জিলাপি, শরবত ও পানি। সাধারণ শিক্ষার্থী, দায়িত্বশীল ও কর্মীরা একত্রে ইফতার করেন, যা ভ্রাতৃত্ববোধ ও সৌহার্দ্যের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
ইফতার পরবর্তী কার্যক্রম ও সমাপ্তি
ইফতারের পর মাগরিবের নামাজ আদায় করা হয়। নামাজ শেষে থানা ও মহানগরের দায়িত্বশীলদের বিদায়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। পুরো আয়োজন জুড়ে ছিল শৃঙ্খলা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশ, যা রমজানের মূল শিক্ষাকে প্রতিফলিত করে।
সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিল ছিল শুধু একটি আনুষ্ঠানিক আয়োজন নয়; এটি ছিল আত্মশুদ্ধির এক অনন্য পরিবেশ, যেখানে রমজানের শিক্ষাকে ধারণ করে সংগঠনের কর্মীরা নিজেদের আত্মনিয়োগের অঙ্গীকার করেছেন। ইসলামী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় শিবিরের কর্মীরা যে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন, তা ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করা যায়।