ফাতেমা আক্তার একজন শক্তিশালী, সৃজনশীল ও অনুপ্রেরণা মূলক নারী। তিনি শুধু মা নন, বরং একজন কবি, গীতিকার, সাহিত্যিক এবং নেতৃত্বের প্রতীক। ছোট বয়সে বিয়ে হলেও, তিনি নিজের সাহস ও দৃঢ়তার সাহায্যে স্বামী থেকে স্বাধীনতা নিয়েছেন এবং একা সংসারের সকল দায়িত্ব,রান্না, ঘরের কাজ, সন্তানদের যত্ন,নিজের হাতে সামলেছেন।
তিনি দুই সন্তান এর জননী – আরাফাত রহমান এবং আরফিনা নুহা – এর জন্য সর্বদা উদ্বুদ্ধ। ছেলে নিজের পছন্দ অনুযায়ী জীবন গড়ুক এবং মেয়েকে শক্তিশালী ও আত্মবিশ্বাসী ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে চায়।
ফাতেমা শুধু সংসারের দায়িত্ব পালন করছেন না, তিনি সাহিত্যের জগতে স্বীকৃতি ও প্রভাব ও তৈরি করেছেন। তিনি যৌথভাবে ছয়টি কবিতার বই প্রকাশ করেছেন ইচ্ছাশক্তি প্রকাশনীর মাধ্যমে, আন্তর্জাতিকভাবে একটি যৌথ বই প্রকাশ করতে চলেছেন, এবং তিনটি গানও রচনা করেছেন। তিনি “মায়ের ভালোবাসা সাহিত্য পরিষদ”-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, যেখানে লেখক ও কবিরা একত্রিত হয়ে সৃজনশীলতা ভাগাভাগি করেন।
তাঁর কঠোর পরিশ্রম ও প্রতিভার স্বীকৃতি পেয়েছেন:
এই সমস্ত স্বীকৃতি প্রমাণ করে তিনি কেবল নিজের জীবনের সংগ্রামী মা নন, বরং সাহিত্য জগতে অনুপ্রেরণার উৎস।
শারীরিক ও মানসিক সুস্থতাও তাঁর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতিদিন তিনি ২০ মিনিট পিটি প্যারেড করেন, সাঁতার কাটতে ভালোবাসেন এবং নিজের শরীর ও মনকে সুস্থ রাখেন।
ফাতেমার জীবন প্রমাণ করে যে, ধৈর্য, সংকল্প, ভালোবাসা এবং সৃজনশীলতা থাকলে কঠিন পরিস্থিতিতেও একজন নারী নিজের জীবনকে সুন্দর, অর্থপূর্ণ এবং অনুপ্রেরণামূলক করে তুলতে পারেন।