স্বাধীনতা মানে মুক্ত বিহঙ্গের মতো ডানা মেলা যেখানে কারো হস্তক্ষেপ থাকবেনা। এই স্বাধীনতা পাওয়ার জন্যই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ দিলো কত-শত ছাত্ররা। উচ্ছেদ করা হলো ফ্যাসিবাদি সরকার। কিন্তু কি লাভ হলো? যে স্বাধীনতার জন্য রক্ত দেয়া হলো আমরা কী সেই স্বাধীনতা পেয়েছি? পাইনি। বরং সন্ত্রাস বেড়ে গেছে, বেড়ে গেছে নারীর প্রতি লালসার থাবা। আমরা চেয়েছি মত প্রকাশের স্বাধীনতা, স্বাধীনভাবে চলার স্বাধীনতা। নারী নিরাপত্তা পাচ্ছেনা এ দেশে। বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অতিরিক্ত দাম, সিন্ডিকেট মহল গুলো ফায়দা তুলছে।
ঘর-বাড়ি গুলো পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি ব্যবসায়ী হামলার স্বীকার হচ্ছে। দেশে ডাকাতের উপদ্রব বেড়ে গেছে বিগত বছরগুলোর তুলনায়। রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি বিভাগ বা অঞ্চলে খুন, রাহাজানির তথ্য উঠে আসে। এই স্বাধীনতা কি তবে সন্ত্রাসীদের জন্য আনা? আমরা চেয়েছি প্রতিটি নাগরীক যেন নিশ্চিন্তে তার জীবনযাপন করতে পারে। কিন্তু হলফ করে বলতে পারি বাংলাদেশে প্রতিটি মানুষ আতঙ্কিত, হতাশাগ্রস্ত। ছোট ছোট শিশু গুলোকে গুম করে আবার হত্যা করে ফেলে। কি এক নারকীয় তান্ডব বাংলাদেশে চলতেছে। জুলাইয়ের যেসব যোদ্ধারা বেঁচে আছে তারা এসব দেখে হামেশাই বলে ওঠে এসবের জন্য মৃত্যু হাতে নিয়ে রাজপথে ছুটি নি আমরা। দেশ এক অস্থির সময় পার কারছে উপদেষ্টারা ব্যর্থ হচ্ছেন দেশকে সামাল দিতে।
নারীর ধর্ষণ ঠেকাতে পারছেনা এ দেশ আবার আইন নাকে তেল দিয়ে ঘুমুচ্ছে তাই তারা ধর্ষণের বিচার করতে পারছে তাদের শুধু তদন্তের দরকার, ফলাফল জিরো। স্বাধীনতা দিবসে আমার সরকারের কাছে আবেদন, অনুগ্রহ করে আমাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিন। আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে চাই। আমরা চাই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ যেখানে কোনো অপকর্ম হবেনা। একটা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাই যেখানে কেউ কারো উপাসনালয়ে আঘাত করতে পারবেনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিও আকুল আবেদন আপনারা অনুগ্রহ করে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করুন। মানুষ আপনাদেরকে ভরশা করে। আমরা চাইনা আর কোনো আছিয়ার প্রাণ ঝরুক বা আর কোনো আছিয়ার গল্প তৈরি হোক। এই অবাধে হত্যা, ডাকাতি, গুম, ধর্ষণ, নারী নিপিড়ন এসব বন্ধ হোক। মানুষ ফিরে পাক তার আসল স্বাধীনতা, যে স্বাধীনতায় কোনো অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবেনা।