1. admin@ichchashakti.com : admin :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

গল্পঃ শেষ থেকে শুরু  —- সানজিদুল ইসলাম তুহিন

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৫৯ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

গল্পঃ শেষ থেকে শুরু 

গল্পকারঃ সানজিদুল ইসলাম তুহিন

 

আমি, আজ আমি নেই।ফোনের সফটওয়্যার এর মতো মনে হয় নিজেকে। আর আমার পিতা-মাতা যেনো সেই সফটওয়্যারের আবিস্কারক,পরিচালক। তাদের মতো করে তারা আমাকে সাঝাচ্ছে, চালাচ্ছে, যা দরকার তা দিচ্ছে। তাদের এই সফটওয়্যার কে তারা যখন চায় আপডেট করে।যখন চায় ডিস্ট্র‍য় করে আবার যখন চায় রিসাইকল করে। আসলেই নিজেকে ফোনের সফটওয়্যার মনে হয়, যার ঘরে আছি তার ইচ্ছা অনিচ্ছা ছাড়া কখনো জানতে চাওয়া হয়নি আমি কি চাই!? ছোট বেলায় ২ পরিবার বা মা বাবার দু দিক মুখি সমস্যা জগড়াতেই যেনো কেটে গেলো। সবাই বলে সময় এর সাথে দুঃখ সুখে পরিনত হয়। আর সুখ দুঃখে, কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে আমি শুধু সুখ থেকে দুঃখের ট্রান্সফরমেশন টাই দেখেছি এর বিপরীত কিছু ঘটেনি।নিজের খুব সাধারণ ইচ্ছে ছিলো লেখালেখি, কিন্তু তাকে পায়ের নিছে পিষে ফেলতে হয়েছে আমি নামক সফটওয়্যার এর আবিষ্কারকদের জন্য। তারা তো আবিষ্কারক তাদের কমান্ড ডিমান্ড এই আমার চলতে হবে। পড়াশোনা ছাড়া এই সফটওয়্যারের কাছে নাকি তারা কিছুই দাবি রাখেনা, কিন্তু পড়াশোনাই কি সব? প্রশ্ন থেকে যায়। তবে এই সফটওয়্যার নিজের সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করার পর যখন সামান্য সফলতা আসে।তখন ও সে তার আবিষ্কারক দের মুখে হাসি ফুটাতে পারেনি, যখন সফলতা খুব কম আসে বা আসেইনি,  কখনো এটা দেখলাম না আমি আমার  আবিস্কারকদের যে আমার পাশে বসে আমাকে সান্ত্বনা দিতে, আমাকে উৎসাহ দিতে শুধু দেখেছি আমাকে অন্যের তুলোনায় নিচু দেখাতে আমার দূর্বলতা দেখাতে,অন্যের সাথে আমাকে তুলনা করাই যেনো তাদের আসল কাজ। তারা ভাবে তুলনা করলে নাকি আমরা তাদের মতো হতে চাই তাদের চেয়ে ভালো হতে চাই। কিন্তু তুলনায় তাদের কথায় যে আমি ভেঙ্গে পড়ি তা কখনো দেখলোনা তারা বুজলোনা।

আপসোস *।

কিন্তু এর চেয়ে বড় আপসোস তাদের নিজেদের। তাদের আবিষ্কার এর উপর তাদের আপসোস। এভাবেই যেনো এই সফটওয়্যার এতো অল্প বয়সেই ভাইরাস হয়ে যাচ্ছে তাদের জন্য।

 

তারপর এই ভাইরাসযুক্ত সফটওয়্যার তার আবিস্কারকদের থেকে বাইরের দুনিয়ায় হারিয়ে গেলো। সফটওয়্যার বাইরের জগতে চলতে লাগলো এই সফটওয়্যার সবচেয়ে বেশি দাম দিতে লাগ্লো তার সঙ্গিদের,সহপাঠী দের।তারা নাকি তাকে মানুষ ভাবে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তাদের কাছেও এই মানুষ ভাইরাসযুক্ত সফটওয়্যার হয়ে গেলো। আমি এমন এক সফটওয়্যার যে আসলে মানুষ কে সুখি কর‍তে পারিনি।  এই সফটওয়্যার এ হয়তো এমন কোনো ডাটা নেই কাউকে বুঝার বা বুঝানোর। এই সফটওয়্যার সবার জন্য ক্ষতিকারক।  যেমন নিকোটিন হয়।  তবুও মানুষ গ্রহণ করে ঠিকই কিন্তু নিকোটিন তো নিকোটিনই একদিন না একদিন এই ক্ষতিকারক জিনিস থেকে দূরে পালাতে বাধ্য মানুষ।  আমি ও তেমন। নিকোটিন এর মতো বিষাক্ত ভাইরাসযুক্ত সফটওয়্যার। সবার কাছে যখন এই সফটওয়্যার কে ব্যান করে দেওয়া হচ্ছিলো তখন নিজেকে নিজেই ডিশট্রয় করার সিদ্ধান্তঃ নিলাম,  সৃষ্টি কর্তা মহাপাপ দিয়েছেন এই ডিস্ট্রয়কে।  তবুও হাত কাপেনি কিন্তু আমার আবিস্কারকদের মুখের দিকে চেয়ে যেনো থেমে গেলাম। এরকম একবার না কয়েকবারই হয়েছিলো। অতঃপর  আমি নামক সেই সফটওয়্যার প্রকৃতির কাছে নিজেকে আত্মসমর্পন করলাম, হ্যাঁ তখনই প্রকৃতি আমাকে মানুষ হিসাবে দেখলো।সে বুজলো আমার কষ্ট। সে বুজলো আমি ভাইরাস না, চাঁদ আমার সঙ্গে হাটতে লাগলো ফুল আমাকে মানুষ এ রুপান্তর করতে লাগলো। একমাত্র প্রকৃতির কাছেই যেনো আমি মানুষ নাম পেলাম।

 

কিন্তু এই মানুষ সেই আবিস্কারকদের কাছে ছুটে যেতেই হয়, সেই একি বিষয়ই ঘটে,  রাত যায় দিন যায় এই সফটওয়্যার তাদের কাছে এখন ও একই। তাদের চোখে কখনো এই সফটওয়্যার মানুষ এর মতো লাগবেনা।  ভাবি, ভাবনা যেনো শেষ চুড়ান্তে পৌঁছে, তবুও সমাধান নেই।  বেঁচে আছি,  হেসে আসছি তাই বলে ভালো আছি?? সব যখন শেষ তখন সব সৃষ্টিকর্তার উপর ছেড়ে দিয়েছি। ভাবনা গুলো পাহাড় সমান এক বাক্সে পরিনত হয়েছে। বলা যায় এক বাক্স ভাবনা চিন্তা। যা নিয়েই বেঁচে আছি।

 

দিব্ব্যি দিন কাটাচ্ছি। অপেক্ষায় আছি আমার আবিস্কারক দের চোখে কবে নিজেকে মানুষ বলে মনে হবে। এর পর হেসে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করবো।

 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park