আমাকে যে সহজ – সাধারণ অংকে মেনে নিতো সে আজ মৃত।
এ যেন এক অলিখিত ইতিহাস।
যার কোনো অস্তিত্ব,
অবস্থান এ ভূবনে নেই।
নেই কোনো প্রমাণ বাহক কেবল আমি ছাড়া।
কেই বা জানে হৃদপিন্ডে বয়ে চলা শীতল আত্মার চিৎকার? মস্তিষ্কের অনাকাঙ্ক্ষিত স্মৃতির ভার।
না আমি কোনো শোকের প্রতীক নই।
এ চোঁখে তাকিয়ে কে’ই বা পড়তে পারে অস্তি শয্যার হাহাকার।
কী এক সুগন্ধে মাতোয়ারা আমি হে, খুঁজে চলি সোনালী সুখের সমাহার।
ফুল ফোটে পাপড়ি ঝরে যায় ব্যাকুল আমি শুধু আমারেই খুঁজে যাই। এ কি অসুখ দিয়ে গেলে তুমি হায়?
দিন পেরিয়ে মাস যায় বছর কুড়িয়ে এলেম ফুরিয়ে, নিঃশ্বাসে শঙ্কা এক প্রবল দাবদাহে। প্রেমহীন তুমি ভুলের পথে, পৃথিবীর একক সমাধিতে।
দেহের চামরার ও নির্দিষ্ট পছন্দের আঙুল থাকে, যে আঙুল ব্যতীত নিজেকেই নিজের স্পর্শ করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ হয় না। আমি কখনোই তোমাদের সেই আঙ্গুল হতে পারিনি।
হতে পারিনি তোমার তোমাদের ব্যক্তিগত, একান্ত অনুগত।
তাই তলব করিলাম কলমকে যে সর্বত্রই কেবল আমার আঙুলের স্পর্শ খোঁজে।
আমার অনুপস্থিতিতে আমার নাম রাখে। জ্বালায় আলো, যে আলো তুমি প্রত্যাখ্যান করে ফিরিয়ে ছিলে মোরে।
তোমরা আমায় নিভিয়ে দিলেও নেভায়নি সেই দীপ্ত” যার কোলে মাথা রেখে নিদ্রায় যাই চিরতরে।
নিরাপত্তা নিরাপত্তা নিরাপত্তা।
তোমার আক্ষেপ শুধাইবে কারে? তল্লাশির জারে জারে।
আমার যে আর ভোর হবে না, মিলিবো কেমন করে।