মাগো আমার লক্ষি মা
ফের দেখো চেয়ে!
আছি আমি অনেক সুখে
পরে খেয়ে দেয়ে।
আগের মতো নেইতো আর
মাগো আমি আজ,
ঝেরে ফেলেছি কান্না মাগো
তাড়িয়ে দিয়েছি লাজ।
চোখের কোনে জমে যেতো
একটু বকলেই পানি,
এসব দেখে করতো তারা
হাসাহাসি আর কানাকানি।
আজ আর এত সহজে
জল আসেনা চোখে,
শক্ত করেছি মন কে
মাগো সুখে দুখে।
সময় আমায় পালটে দিয়ে
চিনিয়েছে মা তারে,
অন্ধ হয়ে মন থেকে
মাগো বিশ্বাসিলাম যারে।
এখন মাগো আমার রাজ্যে
আমিই শুধু রানী,
ভুল করিনি একটু খানি
সুধরেছি মাগো জানি।
মাগো আমি জানি মানি
পানি জীবন নাম,
এ পানি যে দিয়ে দিলো
মরণের আরেক নাম।
দিলো ছেড়ে সবগুলো গেট
বহু দিন পর,
কে বাঁচাবে কাকে মা
কে বলে বা ধর।
সবাই ব্যস্ত সবাই কে নিয়ে
পরিবার তো শেষ,
নেই কোথাও শুকনো মা
অশান্তির সব লেশ।
ঘুম থেকে জেগে দেখি
পানির নিচে বাড়ি,
হারালাম মা বউ জি পুত
হারালাম আরো নাড়ী।
মাগো তুমি বলতে আমায়
সবার বিপদ দেখে,
তুমি বেটা বসে থেকোনা
চুপটি করে সুখে।
আজ আমার বিপদ মাগো
কেউ দেখেনা হায়,
কোথায় যাবো কাকে বলবো
আমি মাগো অসহায়।
ইচ্ছে গুলো মহা সমুদ্রের
উপরে গাঙ্গচিল হয়ে,
উড়ে উড়ে যাচ্ছে ভেসে
আমি পরেছি রয়ে।
সুখ গুলো নীল আকাশে
জমাট মেঘে বাঁধা,
সুপ্ত ভালোবাসায় সিক্ত হতে
চিন্তা গুলো ধাঁধা।
দুঃখ গুলো ভাসিয়ে দিলাম
নীল নদের গায়,
খুঁজ করে ভুলেও যেনো
কেউনা খুঁজে পায়।
অনুভূতি গুলো হীরের মতো
ঝিনুকের মাঝে করে,
রেখে দিলাম এক কোনে
ঘরে বন্দি করে।
নীল আকাশে নীল নদে
যতই থাকি তাকিয়ে,
এলোমেলো হয়ে যাই আমি
ফেলি গোল পাকিয়ে।
সাত সমুদ্র তেরো নদী
সুখে ভেসে ভেসে,
হয়েছি অজানা ফাগুন আমি
কেটে বেড়াই হেসে।
সত্যি
আমি গোলাপ এর কাটা হতে চাই,
যাতে একটু ব্যাথায় কুকিয়ে যাবে।
তবুও
ইচ্ছে করে একটু খানি ছুঁয়ে দিবে গায়।
সৌরভে মুখরিত হবে চারপাশ ঘিরে।
মনে হয়
বাগানের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা ফুটন্ত।
নজরে পড়বে সবার ছিঁড়বে না।
কিন্তু
ইচ্ছে করবে ছিঁড়ে কানের কাছে শুভাশিত করতে।
দাড়িয়ে দেখবে তবুও ছিঁড়বেনা।
যখন
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামবে।
পথযাত্রী তাকাবে আর আফসোস করবে।
আহ
কত সুন্দর শুভাসিত ফুলের সৌরভ।
ঝড়ে যাচ্ছে আহারে!
দিনশেষে
সবার ভালোবাসায় ব্যাকুল হ'য়ে,
ঝড়ে পরবো তবুও ফিরবোনা আর।
কিন্তু
আমার ডালে আরেকটি ফুল।
সৌরভ ছড়াবে যুগের পর যুগ।
এভাবেই
কেটে যাবে জীবন জীবন্ত।
ঝড়ে যাবো আমি।
কিন্তু
আমার ডাল একের পর এক
যুগের পর যুগ সৌরভ ছড়াবে।
ধন ধান্যের দেশটি আমার
ধ্বংস লিলা কেনো?
কে খাবে কাকে মারবেো
এসব ধান্দা কেনো?
দেশের জন্য জীবন দিলে
লুটপাট ধ্বংশ নয়।
শান্তিপূর্ণ দেশ কে চাই
শান্তিই যেনো হয়।
একেরপর এক দল আসবেই
মানুষ কেনো মরবে?
সবাই মিলে ঐক্য হয়ে
দূর্নীতিবাজদের বিপক্ষে লড়বে।
তা-না করে করছে কেউ
ধান্দাবাজী আর চুরি।
তৈরি করছে আনাচে-কানাচেতে
যেনো মৃত্যু পুরী।
চারদিকে আগুনের ধোঁয়া মিলিয়ে
উঠে যাচ্ছে আকাশে।
গন্ধ ছড়াচ্ছে হাজারো লাশের
তীব্র গতিতে বাতাসে।
সরকারি সব দালানকোঠা ভাংলে
যদি শান্তি মিলে।
পরবর্তী সরকার এসে যদি
ধরে শাস্তি দিলে!
দেশের সম্পর্ক সবার জন্য
একা কারো নয়।
একদল গেলে আরেক দল
কিভাবে একার হয়?
দল বিদল থাকবেই দেশে
গনতন্ত্রের যেহেতু দেশ।
সবাই মিলে শান্তি বজায়
রাখলে লাগবেতো বেশ।
রাহাজানি আর হিংসা বিদ্বেষ
ফেলে এক হলে।
কেড়ে নিতে কেউ পারবেনা
এদেশ চলে - বলে।
তাহলে কেনো এক হতে
সবাই এগিয়ে আসেনা।
সত্যি কারের দেশকেই যেনো
কেউ ভালোতো বাসেনা।
যতই করুক টাকা কামাই
তবুও নারী বন্দি।
যতই করুক ভালো আচরণ
করবেই খারাপ ফন্দি।
ভালো কাজের মুল্য যেটা
খারাপ কাজের ও তাই।
পান থেকে চুন খসলেই
বর বলে যাই।
বাবা বাড়ি নিজের নয়
শশুর বাড়িতো নয়ই।
কোন বাড়িই আপন নয়
বুঝদেয় নয় ছয়।
কলিজা কেটে ভুনা করলে
বলবে বিস্বাদ লাগে।
তিলে তিলে শেষ হচ্ছে
কালো ধোঁয়ার দাগে।
জীবন বাজি রেখে যিনি
সন্তান আনেন ভবে।
এ সন্তান কি মায়ের কথা
বলে একবার তবে?
বড় হলে বলবে মাগো
বাড়ি আমার জানো?
বাবা আমার করছে বাড়ি
নাইবা তুমি মানো।
এ বাড়িতে থাকতে হলে
চলবে বউয়ের কথায়।
হয় তোমার ভাত জুটবে না
থাকবে ছেড়া কাঁথায়।
নকশী কাঁথার মতো বুনো
স্বপ্ন গুলো ছিলো।
সংস্কৃতির বেড়াজালে সব কিছুই
শেষ করে দিলো।
বাবার ভাই স্বামী সন্তান
কেবা আপন তার।
কেউ হয়না আপনজন নারীর
প্রয়োজন শুধু যার।
প্রিয়জন নয় নারী কভু
কোন কালে কারো।
ভালো থাকবে ততদিনই সে
যত তুমি করো।
বিনে পয়সার চাকরি যার
সন্ধ্যা বেলায় অসহায়।
কৈফিয়ত দিতে হয় তার
দিনে করছে কি হায়।
কাজের মুল্য হিসেব করে
সময়ের মুল্য বলেনা।
পুরুষ তুমি কত করবে
নারীর সাথে বাহানা।
সকাল থেকে রাতের অর্ধেক
যে নারীর অবদান।
ঘরে ফিরে টাকার গরমে
তাকে করো অসম্মান।
তোমার মতো সময় গুলো
দিলে কোন অফিসে।
কথা কি তার শুনতে হতো
তোমার ঘরেতে বসে।
তোমার সংসারে খাটুনি খাটে
দিন থেকে রাত্রি।
তবু কেনো নারী হয়
তোমার অবহেলার পাত্রী?
সম্মান যদি নাই করো
অসম্মান করো কেনো?
মনে হয় নারী তোমার
বন্দি গোলাম যেনো!
রাতের আঁধারে গরম নিঃশ্বাসে
ভরিয়ে দিয়ে মন।
সকাল হতেই হিসাব কষো
নষ্ট কতো ধন।
ধনের ধনী যার কারণে
তার মুল্যটা না-ই।
মনে করো চাকরি করো
তাইতো বেতন পাই।
দিন রাত যে খাটে নারী
তার বেতনটা কি?
বললে কেউ হক কথা
বলবে পান্তা ভাতে ঘি।
নারী গর্ভে জন্ম তোমার
নারী শয্যা সঙ্গী।
নারীই আবার বোন তোমার
নারীই তোমার জি।
পুরুষ হয়ে চিন্তা করো
আকাশে উড়ার তরে।
নারী বসে তখন ঘরে
কাঁথা সেলাই করে।
যেই কাথাঁটা রাত্রি হলে
তোমার গায়ে ওঠে।
সেই কাঁথাটায় কানায় কানায়
নারীর ছোঁয়া ফোটে।
তবুও তোমরা দোষো নারীকে
এটা তোমাদের স্বভাব।
তোমাদের ভেতরে আছে কভু
সঠিক জ্ঞানের অভাব।
Website: www.ichchashakti.com E-mail: ichchashaktipublication@gmail.com