কবি পরিচিতি:
কবি শহীদুল্লাহ হক ভূইয়া, ডাক নাম শহীদুল্লাহ, পিতা/মৃত, আব্দুর রউফ ভূইয়া, মাতা মাজেদা বেগম,স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে তাদের সুখের সংসার। কবি নারায়ণগঞ্জ জেলার,আড়াইহাজার থানার দিঘলদী গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের ভূইয়া বংশে জন্মগ্রহণ করেন। আসলে কবি যখন ২০০১ সালে এস,এস,সি পরীক্ষা দেন তারপর থেকেই তার কবিতা লেখার ইচ্ছে জাগে। তার শৈশব থেকেই শিক্ষা জীবনের প্রায় ৮০ ভাগ সময় নানির বাড়িতে কাটে।তারপর কবির নিজের বাড়িতে স্থায়ি হয়ে নরসিংদী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৯ সালে “ম্যানেজমেন্ট” এর উপর মাষ্টার্স (M.B.S) শেষ করেন। শিক্ষার পরিসমাপ্তিতে একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে হিসাব বিভাগে যোগদান করেন। অবসর সময় লেখা-লেখি এবং গান শুনতে ভাল লাগে।
০১
বাংলার বাণী’
শহীদুল্লা হক ভূইয়া
যে ভাষা আমায় দিয়েছে অফুরন্ত আশা,
সে আমার মায়ের গর্ভের বাংলা ভাষা।
যার স্পর্শে মোর প্রাণ জেগেছে সাবধান,
সে বিশ্ববাসীর সাড়া আমার বাংলা মায়ের দান।
বাংলা ও বাঙ্গালি পূর্নমনে স্মরন হবে আজীবন,
বাংলার বুকে রয়ে গরেছে যে ধ্বংস স্তুপ সে বিশ্বাসপ্রবণ।
প্রেম-প্রীতির পূর্ন যবে নর-নারী গড়ে আত্নবিশ্বাস,
তা শুধু অবণীর বাংলা জননীর মায়া ঝড়ানো আশ্বাস।
অপরের দুঃখে যার চোখে এসে যায় অভিমানের উদক,
বাঙ্গালি মায়ের জাত ছাড়া অন্য দেশে তা অপারক।
০২
‘পুষ্প্য শয্যা’
শহীদুল্লা হক ভূইয়া
জীবনের নাম যদি রাখা হয় ফুল,
তা রয়ে যাবে আজীবন ভুল।
ফুল পবিত্র নেই তার কুল,
মানুষ সবজান্তা তথাপি নেই তার মিল।
পুষ্প্য ফুটে দেখায় ত্রুটিহীন আত্নপ্রকাশ,
মানুষ প্রাণী কলংক একে রাখে তার ভ্রান্তি অবকাশ।
পুষ্প্য তার সৌরভ দিয়ে ডেকে রাখে বসুন্ধরাকে,
দূর্গন্ধরূপী জ্বাল বিস্তার করে মানুষ ধরাকে।
ফুল সারাজাহানের সংকীর্ণ প্রণালী ঘর,
তাকে করা যাবেনা ক্ষনিকের ধরণী পর।
পুষ্প্য ছাড়া ভুলে যেত মানুষ আপন ধন,
মানুষই পারে পুষ্প্যের ন্যায় গড়তে তাজা প্রাণ।
০৩
‘রৌদ্রের শক্তি’
শহীদুল্লা হক ভূইয়া
ভোরের আভায় ভেদ করে উঠল হঠাৎ রোদ,
যা ছিল সকলের কামনা দূর হল যেন আপদ।
রোদ’ত নয় যেন সূর্যের পরম মূকুট,
তার দ্বহণে সকল সৃষ্টির প্রাণ হল রক্তাপ্লুট।
মানব মনের ক্ষনিক প্রাণ তাতে হল অংশীদার,
অন্য সকল প্রাণ তার বিপরীতে বুনল অগ্রাধিকার।
সে প্রাণ রৌদ্র দ্বগ্ধ অগ্রাহ্য করে বুঝে নিল আগামী,
তাই প্রাণ ক্ষুদ্রে গন্ডিবদ্ধ করে মুছে দিল রৌদ্রের গোরামি।
রোদ তার নখদন্ত রূপ গড়ে তোলে আলসে মনে,
সেই তৃক্ষ্ণতা করে দেয় বিলীন সকল পরিশ্রমীগনে।
রোদ বহ্নিতাপ আকার ধারণ করে হতে চায় উচ্চশনী,
তার উত্তাপ ধ্বংস করে সংগ্রামী গড়ে ভবিষ্যৎময় অগ্রণী।
০৪
‘মায়ের ভালবাসা’
শহীদুল্লা হক ভূইয়া
মায়ের ভালবাসা স্বর্গীয় সূধার ন্যায় অম্যৃত,
বিশ্বপতি যিনি তারই নিজ হস্তাক্ষরে লিপিবদ্ধ
সকল সিদ্ধিলাভের উর্ধ্বে জননীর স্নেহ।
জন্মভূমি চিরন্তন সুখ খোঁজে মায়ের প্রীতি ডোরে,
গড়তে চায় স্বর্গ রচনা দিবে অতুলনীয় পূর্ণতা
যদি ‘মা’ও মাতৃভূমি মিতালীতে থাকে চির অক্ষয়।
গর্ভ্বধারিনী বড় সাধ করে গর্ভে ধারন করে সন্তান,
ভূমিষ্ঠ হয়ে পৃথিবীর তরে সে গড়ে জাত-বেজাতের পার্থক্য
মাতা কবু দেখেনা অন্য চোখে বিলায় পাহাড় সমান ভালবাসা।
গাছের ফুল, নদীর জ্বল, জীবন্ত হয় কোনো মায়াবিনীর তরে,
যা শুধু শিক্ষা দেয় মাতৃরূপ নতুন প্রজন্মের ম্লান
কবু ফুরিয়ে গেলে নিজস্বধারা কিন্তু কালোতীর্ণ হয় মায়ের ভালবাসা।
০৫
‘প্রেমালাপন’
শহীদুল্লা হক ভূইয়া
যে দিন থেকে শুনেছি প্রেমের অপর নাম কবি,
সে দিন আমার হৃদয়ে এঁকেছি তোমার ছবি।
যে দিন তোমায় ‘দু’নয়নে পরোখ করেছি,
সে দিন থেকে ধীরে ধীরে ভালবেসে ফেলেছি।
জানি প্রেমের পথে থাকে নরক যন্ত্রনা,
তবুও সেই প্রেমকে গড়তে চাই স্বর্গ রচনা।
প্রেম পবিত্র প্রেমে নেই যে,কোনো কলংক,
সেই প্রেমকে করব মোরা নিষ্কলংক।
প্রেমহীন জীবন মিশে রয় অবুঝ প্রণালীতে,
প্রণয় পিয়াশী মন চায় শুধু ভালবাসতে।
প্রেম মানেনা ধর্ম-জাত মানে না কোনো বন্ধন,
যদি ভালবাসার মানুষ দুটি থাকে স্পন্ধন।