1. admin@ichchashakti.com : admin :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

কবি- মোঃ রেজাউল ইসলাম -এর ৫টি কবিতা

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২৬৮ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

কবি পরিচিতিঃ

মোঃ রেজাউল ইসলাম ঠাকুরগাঁও জেলায় ২০০৪ সালে ডিসেম্বর মাসের ৩০ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোঃ হাফিজুল ইসলাম এবং মাতা মোছাঃ রেহেনা বেগম। তার পৈত্রিক নিবাস ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানার (দুওসুও) আমতলা গ্রামে। তিনি বালিয়াডাঙ্গী থানার বালিয়াডাঙ্গী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি বালিয়াডাঙ্গীর কোন এক কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। অনার্স ১ম বর্ষের (BA) এর শিক্ষার্থী। তিনি ১০ম শ্রেণিতে পড়া কালিন প্রথমে ছন্দ লেখা শুরু করে এবং এই ছন্দের মধ্য দিয়ে তিনি একাদশ শ্রেণিতে তার কবিতা জীবন শুরু করেন। কবিতা দিয়ে তিনি তার স্কুল-কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মন জয় করেন।তিনি ছোট বেলা থেকেই ছিলেন সাহিত্য অনুরাগী। তার কবিতা বিভিন্ন পত্রিকা, ও ফেসবুক গ্রুপ ও ই-ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়, তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য, যৌথ কাব্যগ্রন্থ- শেষ চিরকুট, আকাশ ভালোবাসি, ও অভিমানী, ও কবিদের গল্প, বইয়ে কিছু গল্প ও কবিতা লেখেছেন। তিনি ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের একজন সক্রিয় সদস্য।

 

০১

শিক্ষা

 

শিক্ষা হলো আলোর পথ,

মনের জ্ঞানের সাথে রব।

বিশ্বাস তুলে আনে সময়ের গতি,

জ্ঞান আলোকিত করে মনের তাপতী।

 

বোঝার পথে আলোক জ্বলে,

বিশ্বাসের চালে আগামী বুকের বলে।

পথ হলো শিক্ষার মুক্ত সেতু,

বিশ্বাসের স্নায়ুগুলি রক্তে সেবা দেতু।

 

শিক্ষার আলো নিয়ে চলো,

জ্ঞানের রব দেখানো তোমার আগামীর সূত্র।

শিখুক এই জীবনের সমুচ্চয়,

আলোর সমুচ্চয়ে তুমি থাকো সব সময়।

 

শিক্ষা আলোর জ্বালা, জ্ঞানের পথ প্রদর্শন।

চেতনার অগ্নিস্নায়ু, চিহ্নিত প্রতিচ্ছবি সৃষ্টি করে।

প্রজ্ঞার দীপ্তি সবুজ হাসির ছায়ায় পূর্ণিমা ফুলে,

বিশ্বাসের সারা ভিত্তি শিখা, হৃদয় ধারা জীবনের সূত্র।

 

০২

যুবসমাজ

 

যুবসমাজের আলোর মহান প্রবাহ,

জীবনের পথে আমরা চলছি নির্দিষ্ট পথে।

স্বপ্ন ও উৎসাহে হৃদয় ভরা,

চলো মিলে সম্ভাবনা গড়ার প্রতিশ্রুতি করা।

 

যুবারা আগামীর বিশ্বাসে আলোকিত,

মনের আকাশে উড়ান দিচ্ছে প্রবল ইচ্ছার চিন্তা।

সম্মোহিত বাতাসে সুরের মেলা,

বিশ্বাসের আলোয় চলছে আমাদের হারা।

 

যুবসমাজের শক্তি সৃষ্টির মহান বাণী

সমাজের উন্নয়নে চিন্তার প্রবাহ লালন করি।

আমাদের ভাবনা একটি সৃষ্টির অভিযান,

যুবসমাজের উন্নয়নে সমৃদ্ধির প্রতিবাদ।

 

সমাজের সুরে সমান সমান হতে চলে,

সমগ্র বিশ্বের মাঝে আমরা আলোর মহাশক্তি হিসেবে।

প্রস্তুতি এবং উদ্দিপনা, বিশ্বাস এবং সহযোগিতা

সম্পূর্ণ বিশ্বের জন্য সমাজ নির্মাণ করার এক অপেক্ষা।

 

যুবসমাজের দিকে চোখ ফিরি, দেখি আগামীর আলো,

স্বপ্নের ভিত্তিতে চলা, চলে যাও নতুন পথে।

যুবার হৃদয় ভরা স্বপ্ন ও আশার দান,

সমাজের প্রগতির উদ্দিপনা, একতায় মহাশক্তির প্রবাহমান।

 

 

০৩

মাতৃভাষা

 

মাতৃভাষার সুরে প্রেম ও শক্তি সবার,

জাগে স্বপ্নের মধ্যে সবুজ পথে চলা।

সন্ধানে স্মৃতির হাসি ও স্বর্গের ধারা,

মাতৃভাষা, তোমার প্রতীক্ষার কারা।

 

মুক্তিযুদ্ধের স্বর্ণজয়ে তোমার বাণী,

বাংলার প্রতীক্ষার অশোক বিনোদিনী।

বৃদ্ধি পায় সমৃদ্ধির সময়ের হারানো,

মাতৃভাষা, তোমার কথার প্রেমে পূর্ণিমা।

 

মুক্তিযুদ্ধের বানী ও সমৃদ্ধির বাতাস,

বাংলার লালনে জীবন উত্থানের পাশে হাস।

অবাধ রহস্যের গল্প ও নামের পূরাণী,

মাতৃভাষা, তোমার সময়ের সৃষ্টির কাহিনী।

 

তোমার বাণী সুরের গান আমার অমৃত স্রোত,

তোমার প্রেমে সময়ের বৃদ্ধির পথে চলব।

মাতৃভাষা, তোমার শক্তি আমার সহায়,

তোমার স্পর্শে প্রেমে মুক্তির পথে যাব।

 

মাতৃভাষা, তোমার সুরে নীরব মধুর,

স্বপ্নের স্বর্গে সবুজ পথে আমি চলি হৃদয় উল্লাসের ভরা।

স্মৃতির সন্ধানে মুখে হাসি, চোখে প্রেমের ধারা মাতৃভাষা,

তোমার সৃষ্টি করেছে বাঙালির প্রতীক্ষার অবাধ কারা।

 

মুক্তিযুদ্ধের স্বর্ণজয়ে সবুজের অশোক বানী,

তবু সময় গড়ে তোলে তোমার অবাক রহস্যময়ী গল্প পূরাণী।

জন্মভূমির সমৃদ্ধির কাহিনী লেখা তোমার নামে,

তোমার লালনে বাংলার জনগণ উঠে দাঁড়াবে সবার পাশে।

 

 

০৪

ভালো লাগে তোমাকে 

 

তোমার নিষ্পাপ চোখের দৃষ্টি ভালো লাগে,

সে দৃষ্টির প্রেমে পড়ি আমি বারেবার,

তোমার ছেলেমানুষী আদুরে কথা ভালো লাগে,

তোমাকে নিয়ে ভাবি হাজার বার।

 

তোমার ভুবন ভোলানো হাসি ভালো লাগে,

শত কষ্টের কথাও ভুলিয়ে দেয় যা,

তোমার হাতের চুড়ি ভালো লাগে,

স্পর্শ করতে চেয়েও পারিনা।

 

তোমার হেয়ালি ভালো লাগে,

ভালো লাগে তোমার অবহেলাও,

তোমাকে দূর থেকে ভালো লাগে,

কাছে না থেকে দেখাও।

 

তোমার ছবি ভালো লাগে,

তোমার মিছেমিছি হাসি ভালো লাগে,

তোমার সব ভালো লাগে,

যদিও বা তুমি আমার নও।

 

 

০৫

চিঠি দিবস 

 

চিঠি দিবসের রঙিন সকাল,স্মৃতি নিয়ে আকাশ মেলা,

কলমের সুরে সজীব হয়,মনের আশা।

প্রিয়জনের লিখিত বার্তা, হৃদয় খুলে দেয়,

চিঠির মাধুরী প্রেমে,চিরন্তন স্নেহে গেঁথে দেয়।

 

অক্ষরের আঁকা ছবি,হৃদয়ের অন্দরের গান,

জীবনের পথের বাঁকে,প্রেমের এক সুরেলা গান।

কথার মাধুরী ভালোবাসা, গন্তব্যে পৌঁছে যায়,

চিঠির মোহময় জাদু, দূরত্ব দূর করে দেয়।

 

আজকের এই বিশেষ দিনে,চিঠি হাতে তুলে ধরো,

প্রেম ও বন্ধুত্বের বাঁধন, নতুন এক আলো ছড়াও।

হচিঠির এই সুবাসে, মনের অভিব্যক্তি দিয়ে,

সুখের স্মৃতির সুরে, জীবনকে রাঙিয়ে তোলো।

 

আজকের দিন তোর কথা নিয়ে,চিঠি লেখা শুরু করি,

প্রিয়জনের হাসির ছবি যেন হৃদয়ে ধরি।

চিঠি দিবসের এই সকালে,এক অন্যরূপের মেলা,

ভালোবাসার সুর ছড়িয়ে,চিরন্তন স্নেহ বেলা।

 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park