1. admin@ichchashakti.com : admin :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

কবি- মোঃ আসিফুর রহমান -এর কবিতা

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৬৬ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

লেখক পরিচিতিঃ 

মোঃ আসিফুর রহমান ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দের ২০ অক্টোবরে ফরিদপুর জেলায় ভাঙ্গা উপজেলার একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।  তার পিতা মোঃ মাহাবুব আলম এবং মাতা ময়না বেগম। তার বাবা মায়ের তিনি জ্যৈষ্ঠ  সন্তান। তিনি ২০০৯ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন।  তিনি ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে শরীফাবাদ হাই স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে সরকারি কাজী মাহবুবউল্লাহ ( কে.এম ) কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হন।  তিনি বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজেন্দ্র কলেজের অর্নাস ২য় বর্ষের বাংলা বিভাগে অধ্যায়ন করছে। তার প্রকাশিত প্রথম কবিতা ‘রক্তচোষা’ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্যে পরিবার থেকে প্রকাশিত হয়। তার ছোটবেলা থেকে সাহিত্যের প্রতি অধিক আগ্রহ। তিনি সমাজসেবামূলক কাজে অসহায়দের সাহায্য করতে পছন্দ করেন।

 

০১

অপরূপা 

 

পৃথিবীর সমুদয় সৌন্দর্য খুঁজে পাই তোমার মাঝে অপরূপা।

তুমি যেন বিধাতার নিজ হাতে সৃষ্ট এক আলপনা।

তুমি অপূর্ব অনন্যা,তোমার সাথে নেই কারো তুলনা।

 

তোমার হাসি যেন সকালের রোদ্দুর

যা পুরো দিনকে আনন্দে করে দেয় ভরপুর।

তোমার হাসিতে দূর হয়ে যায় দুঃখ – ক্লান্তি

তখন যেন বুঝি দুনিয়াটা শান্তি।

তোমার হাসি আমার কাছে শেষ্ঠ উপহার,

যা কখনো নয় ফুরাবার।

 

তোমার চোখ দুটো যে পদ্ম ফুলের মতো

যতবার তাকাই ততবার হই মুগ্ধ।

তোমার চোখ যেন সাত সমুদ্রের ঢেউ খেলে,

এই ঢেউয়ে যেন হারিয়ে যাই কূল নাহি পাই খুঁজে।

 

তোমার দীর্ঘ মনোহরি কেশ,

দেখতে লাগে বেশ।

তোমার খোলা চুলে খোপা বেধে

দাড়ালে মনে হয় রাজকন্যা

তোমার কেশের সুগন্ধে মনে বয়ে

যায় আনন্দের বন্যা।

 

তোমার কন্ঠ নয় যেন কোকিলের সুর

মনের মাঝে বসন্তের ঝড় তুলে,

তোমার মায়াবী কণ্ঠে হারিয়ে যাই অজানার দেশে।

কোকিলের সুরে তুমি বলো কথা

মুছে যায় হৃদয়ের আজীবনের ব্যাথা।

 

সেলাই বিহীন ছয় গজ শাড়ীতে

অপরূপ লাগে তোমাকে।

শাড়ীতে তুমি পরির চেয়ে সুন্দরী

আহা কী যে লাগে অপরূপা তুমি!

 

অপরূপাকে নিয়ে লেখা হবে না

কোনোদিন ইতি, তাই আজ এই পর্যন্তই শেষ  তোমার সৌন্দর্যে আমি মুগ্ধ বেশ।

 

০২

ভালোবাসা

 

ভালোবাসা পবিত্র!

তবে স্পর্শ করার কার সাধ্য!

ভালোবাসা দিয়ে জয় করা যায় পাহাড় -পর্বত, প্রাচীর দুর্গ

তাইতো এই ভুবনে ভালোবাসা সবার ঊর্ধ্ব।

 

ভালোবাসার রঙে রাঙিয়ে করা যায় মহান কীর্তি ;

তাইতো আমাদের ভালোবাসা স্পর্শ করার একমাত্র অনুভূতি।

স্বার্থের বিলাসিতায় হেরে যায় ভালোবাসা,

যতটুকু আমরা পাই তা করি অবহেলা।

তবুও আমাদের হিয়ায় স্পর্শ করার তীব্র বাসনা।

 

এই পৃথিবীতে ভালোবাসা নয় রয়েছে তীব্র অভিশাপ!!

ভালোবাসা নামক নক্ষত্রটাকে স্পর্শ করার সাধ্য নেই কারো আজ।

অর্থ-বিত্ত,সৌন্দর্য, কন্ঠ,স্মার্টনেস পারেনি কারো হিয়া স্পর্শ করতে,

তাইতো আমাদের হিয়া ভালোবাসার হাহাকারে চিৎকার করে কাঁদে।

 

স্বার্থের নিশাচারে হয়েছি আমরা উন্মাদ

ভালোবাসা নামক নক্ষত্রটাকে কাছে পেয়ে ও সড়িয়ে দিতে কার্পণ্য করি নাই আজ।

 

০৩

তোমাকে চাই

 

আজ না হয় আগামীতে তোমাকে চাই

এই দুনিয়ায় না হয়,পরপারে তোমাকে চাই।

প্রতিটা ন্যানোসেকেন্ড ই তোমাকে চাই,

আমি শুধু তোমাকে চাই।

 

হৃদয়ের কল্পরাজ্যে, ভালোবাসার গভীরে তোমাকে চাই।

ঐতিহাসিক প্রেমিক যুগলের প্রেমে, জীবনানন্দের মায়াবী কবিতায় তোমাকে চাই।

অচেনা শহরের ভিরে তোমাকে চাই

নীরবতায়, বিষাদে তোমাকে চাই

স্পর্শে,গন্ধে, অনুভবে তোমাকে চাই

আদরে – আবদারের- আবেগে – অভিমান,  সুখে – দুঃখে, জীবনে – মরনে,

হৃদয়ে প্রতিটি আলোড়নে,সংগ্রামে

আমি শুধু তোমাকে চাই।

 

জীবনের প্রতিটি ভাবনায় আমি তোমাকে চাই

এই পারে না হয়, অনন্তকালের জন্য ঐ পারে চাই।

আমি শুধু তোমাকে চাই, তোমাকে চাই!

 

০৪

মায়া

 

মানুষের পিছনে হাঁটে ছায়া

আর মানুষ যার পিছনে হাটে তার নাম মায়া।

শুধু নিকোটিনে থাকে না নেশা

মায়া এমন এক নেশা

যা কখনো যায় না ছাড়া।

মানুষ হারায়, সম্পর্ক বদলায়,

অভ্যাস পরিবর্তন হয়

শুধু থেকে যায় মায়া।

 

মায়া এমন একটি বিষাক্ত রোগ

কেড়ে নেয় জীবনের সব বিয়োগ।

ইটের ভাটার ন্যায় পুড়ছে মোর হিয়া

মায়ায় জড়াইয়া।

অসময়ে কাপছে মোর হিয়া

মায়ায় জড়াইয়া।

অশুভলগ্নে চক্ষুবৃষ্টির অশুভদৃষ্টি

এটাই মায়ার প্রতিফলন বুঝি।

যার জীবনে মায়া যত বেশি

তার জীবনে বিষাদ ততো বেশি।

 

০৫

আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি

 

ভালোবাসা এমন এক অনুভূতি!

পরিমাণ বা আকার দিয়ে

নির্ধারণ করা যায় না এর নীতি।

ভালোবাসা সৃষ্টি হয় অন্তহিয়া থেকে

তাইতো মানুষ উন্মাদের মতো ছোটে।

 

আমার নিদ্রাহীন বিষন্ন রজনী জানে

আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।

আমার চোখের নোনা জলে ভেজা বইয়ের পাতা,  ভেজা বালিশ জানে

আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।

চোখের নোনা জল স্বাদ নেওয়া জিহ্বা,

ইটের ভাটার ন্যায় পুরা অন্তর জানে, জানে উপরওয়ালা

আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।

 

তোমাকে দেখার তৃষ্ণায়,

হৃদয়ে উঠে ব্যাকুলতার ঝর!

এক পলক দেখায় হৃদয় হয় স্নিগ্ধ

আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি

বুজে নিও প্রিয়।

ডায়েরির পাতাগুলি জানে তোমাকে না বলা কথা;

আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।

 

০৬

সুখপাখি

 

তোমার সুখের জন্য ছেড়েছো নেটওয়ার্কের জগৎ,

তবুও তোমার অপেক্ষায় আমি হই বোর।

তুমি হীনা এই পৃথিবী অসহায়ের মতো লাগে,

তুমি আমার থাকিলে পৃথিবীর সকল আধার মিটমিট করে জ্বলে।

তুমি হীনা লাগে অসহায় সাগরের মতো,

এই বুঝি ডুবে প্রান চলে গেলো।

 

তোমাকে ঘিরে বুনেছি স্বপ্ন,

তুমি সকল সুখের  আধার

তোমার অনুপ্রস্তিতে বুঝি চলে এলো পরপার।

ভিষণ্ণ দিন পার করিয়ে রয়েছি

সুখের অপেক্ষায়, ভিষণ্ণতা কাটিয়ে

সুখের হাত ধরিবো দুজন – দুজনার।

 

০৭

তোমার অপেক্ষায় 

 

তোমার সুখের জন্য করেছি সবখানি,

কখনো বলতে পারবে না তুমি!

তোমার বারণ শুনিনি আমি।

তবুও জানতে ইচ্ছে হয়,

তুমি কী একটু স্বার্থহীন নয়!

 

তুমি বলেছো আমায়, তোমার সুখের জন্য

থাকতে হবে আমার প্রতিক্ষায়।

তাইতো আমি প্রত্যহ হিসাব করে রয়েছি তোমার অপেক্ষায়।

তোমার জন্য আমার অন্তর শিউরে ওঠে তা বুঝানো বড় দায়!

আমি তোমার অপেক্ষায়, আমি সেই দিনের অপেক্ষায়।

 

০৮

বিষন্ন বেলা 

 

তোমার খোঁজে হন্য আমি,

পাইনা তবুও দেখা

তোমার জন্য অন্তর কাঁদে

আমি যে বড় একা।

 

আমার বিষন্ন কবিতায় হয়েছো ঠাই

তোমার মনে কী একটু জায়গা নাই!

আমি রয়েছি তোমার অপেক্ষায়,

সেদিন থাকবে আমাদের বিষন্নতার ঠাই।

 

তোমার বীহনে কাঁদায় আমায় প্রতি মূহুর্তগুলী,

তাইতো এই পৃথিবীতে ছন্নছাড়া আমি।

তুমি ছাড়া এই পৃথিবী বিষন্ন লাগে,

তাইতো কল্পনাতে আঁকি ছবি

কোনো এক চাঁদনি রাতে।

বিষন্নতা ঝেড়ে মাখাবো ভালোবাসার রঙ

সে দিন থাকবে না আর বিষন্নতার জল!

 

০৯

আমার অপেক্ষা 

 

আমার অপেক্ষা  টা হয়েতো

তোমার কাছে হাস্যকর

আমার কলিজা পুরে

কত রাত হয়েছে ভোর!

রাখনি তার খবর।

 

জানো, কত ফোঁটা চোখের জল

বই-বালিশে আলপনা আঁকে

আমার কতগুলো অনুভূতি

তোমায় চিৎকার করে ডাকে।

চোখের জলের বলার মতো

কোনো ভাষা থাকতো!

তোমার পাষাণ হৃদয়ে

ভালোবাসার ছবি লিখতো।

 

১০

মানষিক যন্ত্রণা

 

হারানোর ভয়ে কাপছে মোর হিয়া

অবুঝ পাখিটি দেয় মানুষিক যন্ত্রণা বাড়িয়া।

ভেবে ভেবে বেরে যায় হারানোর ভয়ের যন্ত্রণা, হৃদয়ে তত রক্তক্ষরনের বন্যা।

 

যদি কখনো শুনতে পাও,

অকালে ঝড়েছে প্রান তাহলে বুঝে নিও,

ভেবে নিও কোনো ভয়ঙ্কর অসুখে নয়

শুধু মানষিক যন্ত্রনায়।

তিলে তিলে কষ্টের মোহনায়

তলিয়ে গেছি- হারিয়ে গেছি

কোনো এক অজানায়!!!!

 

১১

অসমাপ্ত ভালোবাসা 

 

পরপারে শুরু আছে শেষ নেই

তেমনি তোমার জন্য আমার ভালোবাসার শুরু আছে শেষ নেই।

হয়তো তোমাকে পাবো না ফিরে,

তোমার জন্য ভালোবাসা ফুরাবে না কোনোদিনে।

যেমনটি বেসেছিলাম প্রথম প্রহরে।

 

তুমি আমায় দুঃখ দাও,কষ্ট দাও,দাও বিষাদ,

কোনোদিন ফুরাবে না তোমাকে ভালোবাসার সাধ।

আমার জীবনের পুরো শহর জুড়ে

তুমি আষ্টেপৃষ্টে নিয়েছো ঘিরে।

তুমি আমার এমন এক পৃথিবী

এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের সবটাই তুমি।

তোমাকে কখনো নাই বা পাই

কখনো ভালোবাসা ফুরাইবার নয়।

 

১২

তোমার অসুখে অসুস্থ আমি

 

যখন শুনি তুমি অসুখে পড়েছো

জ্বর – ঠান্ডা বা কাশিতে,

অথবা অন্য কোনো রোগে,

তখন বুঝি অসুখ তোমার নয়,

হয়েছে আমার!

জানিনা এ কেমন হৃদয়ের টান।

 

আমার দেহটা দূরে থাকলেও

মনটা থাকে তোমার কাছে,

এ কেমন অনুভূতি আমার হিয়ায় জাগে।

তোমার অসুস্থতায় যতটুকু কষ্ট পাও তুমি,

তার থেকে বেশি পাই দূরে থেকে আমি!

তোমার অসুখে লাগে এ দুনিয়া কালো,

সুস্থ হওয়া না পর্যন্ত লাগে না আর ভালো।

বিধাতার কাছে করি মিনতি

সুস্থ করে জানি তুলেন তিনি।

 

১৩

নারী

 

নারী তুমি মহান

যদি হও উত্তম চরিত্রের অধিকারী।

নারী তুমি পবিত্র

যতক্ষণ পর্যন্ত অবৈধ সম্পর্কে না জড়িত।

নারী তুমি দ্বীনদারী

যদি হও ইসলামের পথে অনুসারী।

 

নারী তোমাকে দেওয়া হয়েছে

অসীম ক্ষমতার অধিকারী,

তুমি আবেগ,মমতার ভান্ডারী।

তবে বিশ্বাস ভাঙ্গার কান্ডারী।

 

বিশ্বাস দিয়ে করতে পারো

পুরুষের মন জয়কারী।

আবার বিশ্বাস ভেঙে করতে পারো জীবন্ত লাশ,

তাইতো পুরুষের কষ্ট হয় নিতে নিশ্বাস।

লোভে পরে তুমি করেছো রঙ্গ,

একদিন তুমি শেষ হবে দিবে না কেউ সঙ্গ।

 

১৪

শেষ ঠিকানা 

 

এই দুনিয়ার রঙ্গমঞ্চে করিছো তুমি খেলা;

একদিন তুমি হারিয়ে যাবে

করবে না তো কেউ আর মায়া।

চল্লিশ দিন যেতে যেতে সবাই যাবে ভুলে

সেদিন তোমার কায়া পরবে না কারো মনে।

 

কার জন্য করেছো রঙ্গ, করিতেছো বাহাদুরি

পরপারে এর হিসাব কী দিবে তা নাহি জানি।

 

এই ভূবনে করিবে যেমন

পরপারে এর প্রভাব ভোগ করিবে তেমন।

এই দুনিয়ায় করিবে যত পাপ

পরকালে এর দিতে হবে জবাব।

এই পারে যতই করিবে ফুর্তি

ঐ পার ততই ধরিবে অগ্নিমূর্তি।

 

এই ভূবনে বিধাতার জন্য যতই করিবে ত্যাগ,

পরকালে অন্ধকার  দরজা তোমায় করবে পরিত্যাগ।

 

১৫

নিয়তি

 

স্বপ্ন দেখেছিলাম দুজনে

ভালোবাসার মিলনে।

চেয়েছিলাম দুজনে

হাজার পথ পাড়ি দিবো হাতে হাত রেখে।

জীবন, যৌবন, বার্ধক্যে

পাশে চেয়েছিলাম দুজন দু’জনকে।

 

স্বপ্ন বুনেছিলাম বাধবো ঘর

সেখানে কেউ করতে পারবে নাকো আমাদের পর।

গড়ে উঠবে আমাদের ছোট্ট সংসার।

তোমার আমার খুনসুটিতে

আনন্দ ভরে উঠবে সংসারেতে।

সংসারের যত জটিলাদি

ভাগ করে নিবো জীবনের শেষ অব্দি।

সংসারেতে জন্ম নিবে রাজকুমার আর রাজকন্যা ;

তাদের নিয়ে বয়ে যাবে আনন্দের বন্যা।

 

রূপকথার মতন কেটে যাবে জীবন

শখ, ইচ্ছে অপূর্ণতা থাকবে না তেমন

সুখ -দুঃখ  ভাগ করে নিবো যেমন।

ভালোবাসার কমতি থাকবে না এমন।

বুকে মাথা রেখে ভেবে যাব জীবনের ভাবনা;

সব দুঃখ, কষ্ট উড়িয়ে দিয়ে

বয়ে যাবে আনন্দের বন্যা।

 

কোনো এক পূর্ণিমা রাতে,আকাশের পানে চেয়ে  গল্পে মিলিয়ে যাব চাঁদের দেশে।

কোনো এক বৃষ্টি ভেজা রাতে

তোমার স্নিগ্ধ ভেজা চুলে,

এক গাদা কদমের ঘ্রানে

তোমাকে নিয়ে হাড়িয়ে স্বপ্নের দেশে।

নীল সাগরের পাড়ে দুজনে

মিলিয়ে যাব বাতাসে, ঢেউয়ে।

কোনো এক পাহাড়ের চূড়ায়

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে দুজনায়।

 

সময়ের ব্যাবধানে নেই আমাদের ভাবনার গতি, এগুলো এখন নিরর্থক ভাবনা।

কথা হয় না,দেখা হয় না

এটাই আমাদের নিয়তি।

 

১৬

সঠিক সময় 

 

ভেবেছো কী? নিজেকে বড় মস্ত খেলোয়াড়

কেউকে প্রতরনার বাধে ফেলিয়ে

ভাসছো আনন্দের জোয়ারে।

তোমার ভাবনাটা নিতান্ত ভুল

সেই প্রতরনার দুয়ারে পরবে তুমি

অপেক্ষা করো সঠিক সময়ের।

 

কারো স্বপ্ন নিয়ে করিছো খেলা

করিছো জীবন্ত লাশ

আজ তাহার হৃদয়টাকে ভেঙে দিয়ে

ভাঙা কাচের ন্যায় করিছো চুরমুর

একদিন এর ফল ভোগ করতে হবে

সেদিন থাকবে না উৎফুল্ল রূপ।

মনে রেখো শেষ চাল তোমার নয়

ঐ চালের জন্য অপেক্ষা করো উপরওয়ালার।

 

কারো বিশ্বাসে ছুড়ি মেরেছো

পিছন থেকে ; তোমাকে একদিন সেই স্বাদ গ্রহন করতে হবে দিনগুনো আজ থেকে!!

 

১৭

বিষাক্ত ধোঁয়া 

 

গরম পড়ছে তীব্র মনে

বৃষ্টি ঝড়েছে চোখে,

তীব্র গরমে হৃদয় কালো

বিষন্নতার ছলে।

হৃদয়হীনার রূদ্ধরূপ

মোর অন্তহিয়ায় জ্বলে

তবুও অবুঝ মন

তার মায়ায় কাঁদে।

 

ছলছল ছন্দবেশি চক্ষুহীনা

একদিন বুঝবি মোর হিয়া

চক্ষুখুলে দেখবি সেদিন

ততদিন যাবে সময় ফুরিয়া

বিষাক্ত ধোঁয়া ধরবে ঘিরে

তখন পালাবি কোন পাঁজরে।

 

১৮

তুমি আছো তুমি নেই 

 

খুঁজেছি তোমায় বাস্তবতায়

পেয়েছি তোমায় কল্পনায়।

আমার কল্পনা জুড়ে তোমার বসবাস

বাস্তবতায় রয়েছো তুমি এর বিপরীতপাশ।

 

স্মৃতির মাঝে আছো তুমি

বর্তমানে নাই।

বুকের মাঝে আছো তুমি

বুকের বাহিরে নাই।

আমার স্বপ্নে আছো তুমি

বাস্তবতায় নাই।

কল্পনায় দেখি তোমায়

ছুঁইতে গেলে নাই।

 

তুমি রয়েছো আমরা কবিতার চরণে,

দখল করে নিয়ছো তুমি

আমার পুরো লেখা জুড়ে।

আমার হৃদয়ের প্রতিটা ভাবনা জুড়ে,

সুখে- দুঃখে বিচরণ করছো আমার স্বপ্নে।

 

১৯

সেই তুমি 

 

হৃদয়ের গহিনে এঁকেছিলে স্বপ্নলতা

দুটি মনে প্রবাহিত হয়েছিল ভালোবাসার বুনোলতা।

রঙিন স্বপ্ন নিয়ে কেটে গেছে প্রহর

রাখে নি কারো খবর।

যেন দুটি দেহ একটি প্রাণ

ভালোবাসার জলে ডুবন্তয়ান।

বলেছিলে তুমি, সবার মতো আমি না

হাতে হাত রেখে পাড় হবে জীবনের শেষ প্রহরতা।

দিয়েছিলে ওয়াদা আমায় কখনো যাবে না ছেড়ে,

সেই তুমি কোথায় আছ আমারে একাকি করে।

বদলে গেছো তুমি, মনে পড়ে না আমাদের সেই স্মৃতিকথা,

হাজার পথ পাড়ি দিয়ে ভুলিনি আমি!

তবে কেন ভুলে গেলে আমার সেই তুমি!

 

২০

বেদনার নীল চিঠি 

 

সেই স্বপ্নিল প্রহর অক্ষয় হৃদয়ে

কতদিন হয়ে গেল সেই স্মৃতি যায়নি ক্ষয়ে।

হৃদয়ের অন্তিম মেঘের ছায়া কাটিয়ে

চলে আসো মনের কেবিনে।

 

টেবিলের সমতলে আছড়ে পড়ে স্মৃতির ঢেউ

কলম খাতার স্পর্শতা দেখে না কেউ।

অনিদ্রায় কেটে যায় বেলা

তুমিহীনা মন পাখি দিশেহারা।

বেদনার নীল চিঠির আঘাতে

অশ্রুবৃষ্টি ঝরবে না দুইনয়নে!

কাতরে উঠবে তুমি শোকে

পারবে কী থাকতে দূরে!

 

বেদনার মেঘে কাঁদছে আকাশ

নিভে গেছে তারা

তুমিহীনা এই পৃথিবী

শোকগুলো দিচ্ছে পাহাড়া।

হৃদয়ের আলোছায়ায় ফিরে এসো প্রিয়তমা

হৃদয়ের ক্যানভাসে শুধু তোমারই ছবি আঁকা।

 

২১

ফিরে পেতে চাই 

 

নীল আকাশের তরে

আমায় একাকি করে,

নতুন জীবন করছো গঠন

নিজেকে আড়াল করে।

 

চোখের আড়াল হয়েছো তুমি

হওনি মনের আড়াল

হৃদয়ে গেঁথে গেছে,

তোমার ই নাম।

 

নিজেকে করছো আড়াল

দিচ্ছো না দেখা,

কোথায় তোমায় খুঁজে পাই

ওগো প্রিয়তমা।

 

নতুন করে পেতে চাই

করো না বারণ

আপন আলয়ে ফিরে আসো

খুঁজো না কারণ।

 

২২

নিখোঁজ তুমি 

 

হৃদয়ের গহিনে দখল করিয়াছ কোকিল পাখি

তোমার সুমিষ্টি সুর কান পেতে শুনি।

হঠাৎ বজ্রঝড়ে নিয়েছো গুটিয়ে

এই হৃদয় তোমায় হন্য হয়ে খোঁজে।

 

নীল আকাশের নিচে তোমায়

দেখতে পাই ভ্রান্তির ছলনায়।

প্রতিটি ধূলিকণায় যেন মিশে আছো তুমি

তোমারই সুভাষ ছরিয়াছে অপরূপ লীলাভূমি।

তোমার কথা ভাবি বিরলে,

সেই মিষ্টি সুর কানে বিধে আছে।

 

সারাবেলা আমায় যে পাখিটি ভালোবাসতো

সে এখন কী নিয়ে ব্যাস্ত!

যে পাখি প্রতিনিয়তো রাখতো খোঁজ

হঠাৎ করে হয়েছে নিখোঁজ!

পাখিটির অপেক্ষায় পথের পানে চেয়ে

কবে ফিরবে তুমি আপন নীড়ে!

 

 

 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park