লেখক পরিচিতিঃ
মোঃ আসিফুর রহমান ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দের ২০ অক্টোবরে ফরিদপুর জেলায় ভাঙ্গা উপজেলার গংগাধরদী গ্রামের একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোঃ মাহাবুব আলম এবং মাতা ময়না বেগম। তার বাবা মায়ের তিনি জ্যৈষ্ঠ সন্তান। তিনি ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে গংগাধরদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়া শেষ করেন। তিনি ২০১৬ সালে জি.এস.সি পরিক্ষা উত্তীর্ণ হন। তিনি ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে শরীফাবাদ হাই স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে সরকারি কাজী মাহবুবউল্লাহ (কে.এম) কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজেন্দ্র কলেজের অর্নাস ২য় বর্ষের বাংলা বিভাগে অধ্যায়ন করছে। তার প্রকাশিত প্রথম কবিতা ‘রক্তচোষা’ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্যে পরিবার থেকে প্রকাশিত হয়। এছাড়া তার বিভিন্ন ম্যাগাজিন এবং পত্রিকায় কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। তার ছোটবেলা থেকে বাংলা সাহিত্যের প্রতি অধিক আগ্রহ। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। তিনি সামজিক ক্রিয়াকলাপ এর সাথে জড়িত এবং অসহায়, বিপদগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করতে পছন্দ করেন।
০১
মা
মোঃ আসিফুর রহমান
এই ভুবনে সবচেয়ে আপন
মা বাদে নেই অপশন।
আঁধার রাতের আলো ফুটে
মা যার হিয়ায় থাকে।
নিঃস্বার্থ ভালোবাসা কেউ দিবে না
এই ভুবনে মায়ের নেই তুলনা।
খোদার এক অশেষ দান
নবীর পরে মা মহান।
কিছুতেই শোধ হবে না
মায়ের দুধের ঋণ।
দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ
শত কষ্ট করছে নিবারণ।
মায়ের আঁচলে আরশের ছায়া
তার মতো কেউ করে না মায়া।
মায়ের চরনতলে জান্নাত যেনো
এই ভুবনে উজাড় করে স্নেহ।
কষ্টে, দুঃখে থাকি যখন
মায়ের কাছে বলি তখন
তার কথায় হিয়ায় তৃপ্তি
মা আমার ভালোবাসার সৃষ্টি।
০২
বাবা
মোঃ আসিফুর রহমান
আমার জীবনের প্রথম নায়ক
বাবা নামের যন্ত্র মানব।
শত দুঃখ কষ্টে দেন ছায়া
বটবৃক্ষের মতো আগলে রাখেন
তার সন্তানদের কায়া।
জীবন যুদ্ধে যত বাজি
বাবা তত কষ্ট করতে রাজি।
সন্তানদের জন্য জীবন করে ক্ষয়
শত কষ্টকে করতে হবে জয়।
বাবা আমাদের করেন শাসন
সঠিক পথে যেতে পর্দাপণ।
জীবনে করতে হবে স্বপ্নপূরন
বাবার মুখে ফুটবে হাসির আগমন।
বাবা আমাদের জীবনের দর্পন
শত চাওয়া আবদার করেন পূরন
অসুস্থতায় আমি যখন কাতর
বাবা দিশেহারা তখন।
বাবা আমাদের বিশাল আকাশ
তার কথাতে থাকেনা অবকাশ।
বাবা দেন স্বপ্নপূরনের আশ্বাস
মুখ লুকিয়ে আড়ালে তার দীর্ঘশ্বাস।
মনের রাজ্যে বেঁচে থাকুক বাবা
তিনি আমাদের জীবনের প্রতাশা।
০৩
শিক্ষক
মোঃ আসিফুর রহমান
শিক্ষক মোদের শিক্ষা গুরু
জাতিকে দান করে জ্ঞান।
অন্ধকারের মধ্যে আলোর দিশা
ফুটিয়ে করে জাগমান।
মাতা-পিতার পরের স্থান
জ্ঞান, দিক্ষা করে প্রধান।
হয়েছি বড়, হয়েছি মহান
এগুলো মোদের শিক্ষকের অবদান।
আজ শুধাইব কীভাবে ঋণ
তার পদে আমি বিলীন।
জগৎ সংসার আলোকিত দ্বার
শিক্ষক জাতি গড়ার কারিগর।
ন্যায়-নীতি, আচার – বিচার
শিক্ষা দেন মোদের শিষ্টাচার।
ভালো-মন্দ, নিয়ম কানুন
শিক্ষক দেখান সঠিক শিখুন।
নিয়ম – নীতি জাতির মেরুদণ্ড
শিক্ষক মোদের সমাজের আদর্শ।
০৪
শিক্ষকের মর্যাদা
মোঃ আসিফুর রহমান
ভেবে ভেবে উঠে ব্যাথা
সমাজে শিক্ষকদের অপমানের কথা।
করেন যদি তিনি ভুল,
আমরা চাইবো না তার শূল।
বিনয়ের সুরে কহ কথা
শিক্ষক আমাদের মহান নেতা।
শিক্ষক আমাদের করেন শাসন
ভালো, মন্দ করেন বিচরণ।
বেয়াদবি করো না তিনি গুরুজন
কষ্ট যদি পান তিনি, কেঁপে উঠবে ভূবণ।
মা-বাবার পরে সম্মান করি যাকে
শিক্ষক বলে সম্বোধন করি তাকে।
দিব সালাম, বিনয় কথা
জাগবে অন্তর বিনয় তথা।
শিক্ষক আমাদের আর্দশ মেরুদণ্ড
এই ভূবণে তার সম্মান অজস্র।
০৫
মুজিব
মোঃ আসিফুর রহমান
হাজার বাঙালির মহান নেতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতির পিতা।
বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ
মুজিব আমাদের করেন দান।
আমাদের দেশের সূর্য সন্তান
জন্ম নেক প্রতিটি ঘরে ঘরে
দুঃখ,নিপীড়নে এগিয়ে আসুক
প্রতিবাদ হোক প্রতিটা মহলে।
তার নেতৃত্বে বীর বাঙালি
অস্ত্র নিয়ে স্বাধীন যুদ্ধে নামে,
ত্রিশ লক্ষ রক্তের বিনিময়ে
দেশকে শত্রু মুক্ত করে।
বাংলাদেশ নাম দেন আমাদের উপহার
মুক্ত করতে পাকিস্তানের দখলদার।
অসীম সাহস, শক্তি তার
একত্রিত করেন বাঙালি জনতার।
লাল, সবুজের পতাকা করেছে দান
তিনি বাঙালি জাতির জান।
পেয়েছি আমরা অখণ্ড মানচিত্র
মুজিব আমাদের প্রতিটা বাঙালির গর্ব।