কবি পরিচিতিঃ
কবি শাফায়াত আলী ১৯৯৮সালে ১লা জানুয়ারী সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে গনিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আজিজুর রহমান মাতা মনোয়ারা বেগম তিনি ৬ষষ্ঠ তম সন্তান।তিনি বাল্যকালে মক্তবে পড়তেন এবং ইসলামিয়া হাক্কানীয়া কওমী ওয়েজখালী মাদ্রাসায় পাঞ্জম শ্রেণী উত্তীর্ণ হয়ে মাদানীয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় ৬ষষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যায়ন করেন। সপ্তম শ্রেণীতে এক দুর্ঘটনায় তার লেখাপড়ার অবসান ঘটে। আবার ২০০৯ সালে তিনি সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন বুলচান্দ হাই স্কুল এন্ড মেনেজমেন্ট কলেজে। তখন থেকে তিনি ছন্দ লিখতেন ছন্দে ছন্দে বন্ধুদের সাথে কথা বলতেন। তার সহপাঠীরা তাকে উৎসাহ দিতেন।তিনি দরিদ্র পরিবারের সন্তান কর্মের পাশাপাশি তিনি লেখাপড়া করেন। তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ভর্তি হন সুনামগঞ্জের পৌর ডিগ্রি কলেজে প্রথম বর্ষ লেখাপড়া হলেও ২য় বর্ষ দারিদ্র্যের জন্য পরীক্ষা দেওয়া হয়নি এতে তিনি লেখাপড়া বিদায় দেন।কিন্তু তার কলম থামেনা তিনি কলম সাথী কে চালিয়ে যান। তিনি ২০২২ সালে বিভিন্ন পত্রিকায় সাহিত্যের সাথে লেখালেখি করেন।
ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারে তার লেখা কবিতা “সতর্ক বার্তা” সংগ্রামী বীর” তালের পিঠা” উপেক্ষিত প্রেম”। মাসিক বিদ্রুহী কবি সাহিত্য একাডেমিতে” গানিতিক সূত্র” কবিতা প্রকাশ পায়। তিনি ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের একজন সক্রিয় সদস্য। ইচ্ছাশক্তি আইডি নং- ০০২০২২০১৮৯
কার হুকুমে ধরা-ধামে,
আসলে মায়ের কোল।
পুতুল রূপে ত্রি-ভুবনে,
ফুটে ওঠেছে ফুল।
কার হুকুমে সকাল আসলে,
জগৎ ঘোরা-ফেরা।
কার হুকুমে সন্ধ্যা নামলে,
আবার নীড়ে ফেরা।
কে’বা তোমার মনের ভেতর,
জাগতিক অনু-করণ।
কার হুকুমে ক্লান্ত মনে,
জেগে ওঠে প্রেরণ।
কার হুকুমে ফুটে মুখে,
মধুর ঐ ধ্বনি,
কার হুকুমে কর্ণ দ্বারা,
পাখির গান শুনি।
দিবা-রাত্রি চলে হাওয়া,
মাটির দেহ ঘরে।
খোদার হুকুম হইলে খাঁচা,
শূন্য থাকবে পড়ে।
সুনামগঞ্জ বাংলাদেশ
সুনামগঞ্জ পৌরসভায় ছোট্ট একটি গ্রাম,
সেই গ্রামের নেই মূল্য গনিপুর তার নাম।
সেই গ্রামে বাস করে পাঁচ বংশের লোক,
এক বংশের সহ্য হয়’না আরেক বংশের সুখ।
মুসলিম জাতি হলেও তারা পেশায় চাষি জেলে,
ছয় মাস তারা ফসল ফলায় মেহনত ছয় মাস জলে।
নাই কোন রাস্তা ঘাট শূণ্য শিক্ষার হার,
বাঁশের সাঁকো দিয়ে তারা হয় পারাপার।
সেই গ্রামের মধ্য স্থানে একটি মসজিদ ঘর,
জুমার দিনে এই ঘরে বাপ বেটা সবাই মাতব্বর।
এই ঘরে তে দান করবে সাধ্য নেই কারও পুঁজি,
সবাই ত নুন আনতে পান্তা পুরায় করে অল্প রুজি।
ধীরে ধীরে পরিবর্তন কলির যুগ এসে,
এখনও দেখি প্রতি পক্ষ জ্বলে হিংসার বিষে।
সাম্যবাদ হতো যদি গ্রামের লোকজন,
নিশ্চয়ই সেই গ্রামের হতো উন্নয়ন।
বাংলাদেশের শান্তির জেলা,
সুনামগঞ্জ শহর।
এই শহরের সবাই ঐক্য,
কেউ কারো নয় পর।
বিশাল বিশাল হাওড়ে ঘেরা,
শহরের চারদিক।
কৌমুদীর আলো সুরমার জল,
করে যে ঝিকমিক।
নয়ন কাড়া সে রূপের রাণী,
প্রাকৃতিক বাগিচা।
ভুমি যে তার সবুজ শ্যামল,
যেন শীতল গালিচা।
ফলে,ফুলে,মাছ আরও ধানে,
মনে জাগায় গান।
সুনামগঞ্জ কে হয় যে বলা,
কবি বাউলের প্রাণ।
হাসন,করিম,দুর্বিন গীতি,
যখন শুনি কর্ণে।
এ ধরা ধামে কেমন মানুষ?
প্রশ্ন জাগে এ মনে।
গ্রাম্য বনিতায় নিত্য করে,
রাধা রমণের গানে।
বাউল গানে করছে রাজ,
ক্বারী আমীরউদ্দিনে।
একুশ মানে আমার মায়ের,
শিখানো মুখের ভাষা।
একুশ মানে গর্ভিত মায়ের,
বিরহের প্রহর কষা।
একুশ মানে মোর ভাইদের,
হৃদয়ের মাঝে রাখা।
একুশ মানে বাংলার ভুমি,
ভাইদের রক্তে মাখা।
একুশ মানে ধর্ষিতা নারীর,
হারানো ফের সম্মান।
একুশ মানে পরদেশী দস্যু,
পরাজিত অপমান।
একুশ মানে বাংলার ধ্বনি,
জয় বাংলার জয়।
একুশ মানে বিশ্বের ভাষার,
চতুর্থ স্থানে রয়।
একুশ মানে অসহায় মা’র,
সন্তান হারা চিৎকার।
একুশ মানে শহীদ গাজীর,
রক্তে কেনা উপহার।
একুশ মানে পাঠ্য বইয়ের,
বঙ্গ কবির কবিতা।
একুশ মানে বাংলাদেশের,
মাতৃত্বের স্বাধীনতা।
রিকশা চালক হয়েছে অরা,
তাই বলে কী অসহায়?
আইনজীবীরা করলে এমন,
বিচার পাবে কোন জায়গায়?
দেহে নেই শক্তি বল,
আইনের জোরে ক্ষমতায়।
জোঁকের সমতুল্য অরা,
গরীব চুষে রক্ত খায়।
আইনের হয়ে বেআইনি কাজ,
এতে কী বুঝা যায়?
সুশিক্ষায় নহে গণ্য,
স্বশিক্ষিত থেকে যায়।
জ্ঞানী যারা ধ্যানে তরা,
কথা কাজে হুশ রয়।
বই পুস্তক যতই পড়ে,
অমানুষ কিন্তু জ্ঞানী নয়।