কবি ও কথা সাহিত্যিক ইশরাক আল ইয়াসিফ। পিতা: আব্দুল হালিম ও মাতা: মুক্তা বেগম। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোটো। জন্ম ১৪ এপ্রিল ২০০৭ নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার, গদা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কবি ১৩বছর বয়সে পবিত্র কোরআন হেফজ সম্পুর্ন করেন। বর্তমান দশম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত আছেন। কবি সুকুমার রায় সাহিত্য পুরুষ্কার, সেরা গলা ছেরে গাও পুরস্কার ও ইসলামিক বেষ্ট মিউজিক্যাল অ্যাওয়ার্ড এ ভুষিত হয়েছেন। কবি ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের একজন সক্রিয় সদস্য। ইচ্ছাশক্তি আইডি নং- ০০২০২২০৮৬৪
০১
জাগো এবার জাগো
আমি দেখেছি,
কোল্লোলিত সমূদ্রের শো-শো অশান্ত গর্জন, কোনো এক
নাম না জানা সমূদ্রেই গেছে হারিয়ে!
আমি দেখেছি,
সমূদ্রতটে দাঁড়িয়ে, সমূদ্রের লোনা বালি জ্বল গুলো
হয়েছে ভীষণ ঘোলাটে!
আমি দেখেছি,
চিনি পিপাসু পিঁপড়েল দল-
করে গন্তব্যহীন ছোটাছুটি,
অনন্তকাল ধরে একই পথে যাত্রা।
আমি দেখেছি,
পথ-শিশুদের কান্নার আওয়াজে
ট্রেনাস্ফরমারের বিকট বিস্ফরন,
তবুও ঘুম ভাঙ্গেনি সমাজের নির্লজ্জ
উচ্চবৃত্ত ও রাবিস লিডার গোষ্ঠী’র!
আমি দেখেছি,
মানবতার বূলি আওরানো
নির্লজ্জ মানব গুলোই হয়েছে-
মানবতার ত্রাস!
আর কত দেখতে হবে? মরতে হবে? জ্বলতে হবে?
তাদের অত্যাচারে, কেন নির্বিকার হয়ে থাকতে হবে?
যুগের পরে যুগ,এবার জাগো মাজলুম জনতা-
রুখে দাও যত অনিয়ম, যত অত্যাচার যত নিপীড়ন!
জাগো এবার জাগো।
০২
ছাত্র আন্দোলন
ছাত্র শুধু নয় পড়া লেখা আর কলমে আবদ্ধ
ছাত্র সকল শহীদের বীরত্বের গল্প,,
ছাত্র মহা প্রলয়,মহা উথ্থান,মহা ভয়,
ছাত্র নৃশংস,নির্ভীক,সাইক্লোন, ঝরহাওয়া!
ছাত্র সেতো স্বপ্ন দেখায়, শেখায় বিজয়ের ভাষা!
.
বাংলার ইতিহাস-
বাহান্ন, একাত্তরেও শোনো ছাত্রের জয় জয়কার,জয়ধ্বনি
আঠারো এর ছাত্র আন্দোলনেও শুনেছিণু বিজয়ের বুলি।
চব্বিশে আবার রাজ পথে দেখ ছাত্রের গণ-যোয়ার
শুধু কোটা নয় চাই রাষ্ট্র সংস্কার।
ছাত্র তুমি প্রমান করো-
এদেশ তোমার- আমার এদেশ কৃষক,মজুর, জনতার
নয় কারো বাপ দাদার।
.
ছাত্র ছাড়া হয়না কোনো আন্দোলন, হয়না মুক্তির মিছিল,
বাঁজেনা যুদ্ধ দামামা, সাঁজেনা রনাঙ্গন যুদ্ধের সাঁজে,
হয় না কোনো বিপ্লব, ঘটেনা জালিমের উথ্থান
দেশ জাতি রয়ে যায় চির-কাল পরাধীন!
ছাত্রই যদি না থাকে দেশে হবে না আন্দোলন
ছাত্রই যদি না থাকে দেশের হবে না উন্নয়ন!
ছাত্রের হুংকারে রাজার কাপে সিংহাসন।
ছাত্রের গর্জনে বিজয় হোক দেশ মাতার
ছাত্রের হুংকারে আবার জয় হোক বাংলার
স্বাধীনতা সব্দটি আবার হোক জনতা
০৩
হে! তরুণ
হে! তরুণ……..
জাগিলে তুমি ধরণী কাপে থর, থর
তব পদতলে পিষে মরেছে
কত যে সুপার পাওয়ার।
দুশমন কাঁদে হামাগরী দিয়ে
শুনে যদি তব কালাম
দেখিলে তোমায় মন্ত্রীতো দুর
মৃত্যু জানায় সালাম।
তুমি প্রয়োজনে ছুঁটো
হাতে শামশীর
তুমি সে যুগ নহে, এযুগেও বীর
তুমি সেনানী মোড় মহা নবীর
তার আদর্শ করোনা ক্ষুন্ন।
তুমি বীনে কোনো কওম হয়েছে স্বাধীন
সে নজীর বলো কোথা?
তুমি প্রতিবাদ, তুমি প্রতিরোধ
তুমি দুর্বার, তুমি দুর্জয়
এ জাতীর পথদ্রষ্টা।
ধমনীতে করো আধারের নাঁশ
ফু্ঁটিয়ে তোলো আলো
জুলুম দেখিলে প্রতিবাদী তুমি
জিহাদী মশাল জ্বালো।
তুমি বিপ্লব, তুমি বিদ্রোহ
হে! তরুণ তুমি মহা কাব্য
তুমি নাট্য, তুমি গল্প
রণাঙ্গনে অপ্রতিরুদ্ধ।
০৪
দেখা হবে বিজয়ে
অনেক কিছুই হারাচ্ছি,
আবার কিছু খুঁজে চলেছি,
এ শহর থেকে হারাচ্ছি
হারাচ্ছি নিজের অস্তিত্ব
স্বপ্ন গুলো বিলীন করছি –
আবার গড়ছি নতুন স্বপ্ন!
ভাঙ্গ-গড়ার খেলায় নিজেকেই ভাঙছি
নিজেকে নতুন করে জোড়া লাগানোর চেষ্টা
কিছু প্রদ্বীপ শিঁখা নিভিয়ে ফেলছি,
জ্বালছি অস্তিত্বের নতুন অগ্নি শিঁখা।
নিজেকে নতুন করে প্রমাণের চেষ্টা,
আঁধারকে করে চূর্ণ- বিচুর্ণ-
ফোঁটাচ্ছি নতুন ঊষার আলো।
আবার ফিরবো নতুন করে,
তোমাদের মাঝে।
কালজয়ী সাঁজে।
জীবন যুদ্ধে দিয়েছি ঠাঁই বাস্তবতার,
আমি একজন জীবন যোদ্ধা এই হোক পরিচয়।
দেখা হবে বিজয়ে ইনশাআল্লাহ,
নেই কোনো পিছুটান,নেই হতাশা,নেই কোনো ভয়
জীবন যুদ্ধে আমিই জয়ী, আমারই হবে জয়!
০৫
হে স্বাধিনতা!
স্বাধিনতা তুমি আসবে বলে, যুদ্ধ করি প্রাণ পণ!
অবশেষে তুমি এলে।
স্বাধিনতা তুমি আসবে বলে প্রাণ দিল কত ছেলে
স্বাধিনতা তুমি তাদের কী দিলে?
স্বাধিনতা তুমি বাঁচবে বলে, মায়ের ইজ্জত হানি!
স্বাধিনতা তুমি এলে! তবু মায়ের চোঁখে পানি!
স্বাধিনতা তুমি বছর ঘুরে (২৬) সে আসো ফিরে,
সে’দিন এসে কিছু ছবি আঁকো, তরুণ-তরুনীর গালে।
স্বাধিনতা তুমি গণতন্ত্রের, গণকে পোড়াও ট্রেনে!
স্বাধিনতা এই কী তোমার নীতি?
স্বাধিনতা তুমি স্বাধিন হয়েও ভুলনি পরাধীনতার গ্লানি।
স্বাধিনতা তুমি পাঠ্যক্রমে সাঁজাও নগ্ন শিক্ষা নীতি!
কোমলমতিরা শিঁখছে আজও ভিনদেশি সাংস্কৃতি!
স্বাধিনতা তুমি কতটা লজ্জা এঁনেছো মোদের চোঁখে?
যার কারণে শিয়াল-সকুন তাঁকায়, পর-রমনীর বুঁকে?
স্বাধিনতা তুমি, মিলে-মিশে গেলে রমনীর পোষাক তলে!
স্বাধিনতা তুমি অধিকার নামে নারীর বস্ত্র নিলে খুলে!
স্বাধিনতা তুমি এতোটা মানবতা শেঁখালে ওগো আমাকে?
মানবতাবোধ দেখাতে গিয়ে নাস্তিকও হার মানে!
স্বাধিনতা তুমি মৃত হয়েছো জন্মানোর ঠিক পরে!
পুঃজন্ম নেবার জন্য আর কত প্রাণ নিবে?
স্বাধীনতা তুমি তখনতো ছিলে,
শুধু মিলেটারী শ্বাসনছিল!
স্বাধিনতা তুমি এখনতো আছো,
তবে জালীমের কারা-রুদ্ধ!
স্বাধিনতা তুমি থেকে কী লাভ?
যদি সত্য লেখক হয় কারা-রুদ্ধ!
স্বাধিনতা তুমি থেকে কী লাভ?
যদি সাহসী শিল্পীর করে দেয়া হয় বাক-রুদ্ধ!
স্বাধিনতা তুমি থেকে কী লাভ?
যদি কলামিস্ট হয় টাকার গোলাম!
স্বাধিনতা তুমি থেকে কী লাভ?
যদি সাংবাদিকতায় চলে ঘুষের ছয়লাপ!