কবি পরিচিতিঃ
এস এম জাহিদুল ইসলাম টাঙ্গাইল জেলায় নাগরপুর উপজেলার, ভাদ্রা ইউনিয়ন এর চাষাভাদ্রা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৯৮ সালের ০৯ই আগষ্ট জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মোঃ ময়নাল হক এবং মাতা জুলেখা বেগম এর তিনি কনিষ্ঠ পুত্র। তিনি ২০১৫ সালে এসএসসি, ২০১৭ সালে এইসএসসি, ২০২০ সালে বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এখন সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ মানিকগঞ্জ এ মাস্টার্সে পড়েন। ২০১৫ সাল থেকে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। তার লেখা যৌথ কাব্যগ্রন্থ “আকাশ ভালোবাসি” চব্বিশের গণবিস্ফোরণ,গোধূলি বেলা,কবিতার মেলা,অপূর্ণ ভালোবাসা, শ্রাবণ সংখ্যা, রক্তে ভেজা জুলাই, ইত্যাদি। তিনি ইচ্ছাশক্তি সাহির্য পরিবারের একজন সক্রিয় সদস্য। ইচ্ছাশক্তি আইডি নং- ০০২০২২০৯০৯
০১
পরিচয়
বাড়ি আমার টাংগাইল জেলা,
নাগরপুর থানা।
নিজের পরিচয় দিতে,
নেই কোনো মানা।
পল্লীগাঁয়ে জন্ম আমার,
কৃষক বাবার ঘরে।
মাঠে ঘাটে সময় কাটে,
পরিশ্রম করে।
মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে বলে,
কাজ করে খাই।
এক যুগ আগে থেকে,
বাবা দুনিয়াতে নাই।
পড়ালেখা করছি একটু,
মাস্টার্স এ পড়ি।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে,
লেখালেখি করি।
লেখালেখি করে যেদিন,
হবে আমার নাম।
ঠিক তখনই মানুষ,
দিবে আমায় দাম।
০২
মাতৃভাষা
মায়ের মুখে প্রথম শুনি,
মাতৃভাষায় কথা।
জড়িয়ে আছে এই ভাষাতে,
আবেগ আর ব্যথা!
ভাষার জন্য দিয়েছে যারা প্রাণ,
অমর তাঁদের আত্মত্যাগে!
সারা- বিশ্ব দিলো,
বাংলা ভাষার মান।
শহীদদের স্মরণে লিখলাম,
আমার মনের ভাষা।
স্বাধীন ভাবে কথা বলবে,
বাঙ্গালীর ছিলো আশা।
সবজাতিকে চিনিয়ে দিলাম,
বাংলা মোদের মাতৃভাষা।
০৩
মায়া
মায়ার বাঁধনে,
বাঁধিয়াছো মোরে,
ভালোবেসে ঘর বাঁধবে বলে,
বুকের মাঝে সে কথা আজও কেন কয়?
আশাতে মানুষ বাঁচিয়া থাকে,
নিরাশায় হয় ক্ষয়!
তোমার মনের বাগানে ফুল নিয়ে,
একটা মালা গেঁথে রেখে ছিলাম।
তোমার দেওয়া ছোট্ট কুঁড়ে ঘরটা,
মনের মত সাজিয়ে দিলাম।
তুমি আসবে বলে,আসোনিতো!
তিন জনকে বাড়ির ঠিকানা দিয়েছিলে,
দু-জন পথেই হারিয়ে গেছে।
একজন আমার সঙ্গে থাকে,
রোজ রাতে পাশে।
স্বপ্নের মাঝে পাই তাকে,
আমার অনেক কাছে।
সুখ-দুঃখের কথা বলি,
ওর জন্যই আছি বেঁচে।
তবুও মনে হয় মিছে
আশায় বেঁচে আছি,
সে’তো আমার —
আপন কেউ নয়?
০৪
রক্তে ভেজা জুলাই
চব্বিশের ১৫ জুলাই
রক্তের ঘ্রাণ পাই,
অধিকার আদায়ে জীবন দিলো
আবু সাঈদ ভাই।
কি দোষ ছিলো আমাদের
করলো বুকে গুলি?
মেধাবী হয়ে চাকরি পাইনা
মুখে কোটা সংস্কারের বুলি।
রাজপথে ঝরবে আর কত রক্ত
নিমিষেই শেষ হচ্ছে তাজা প্রাণ,
হাজারো মায়ের বুক খালি হয়েছে
বাতাসে ভেসে আসে রক্তের ঘ্রাণ।
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
পুরো জুলাই মাস,
কত শত মানুষ গুম হয়েছে
পাইনা খুঁজে লাশ।
আর কতকাল সইবো মুখ বুঝে
স্বৈরাচারী শাসকের অত্যাচার,
দেশকে নতুন করে স্বাধীন করবো
এই আমাদের অঙ্গীকার।
০৫
আয়না ঘর
অনেক মানুষ হতো গুম
খুঁজে নাহি পাই,
তারাও যে দেশের মানুষ
কারো না কারো ভাই।
আয়না ঘরের সন্ধান পেলাম
কোটা আন্দোলন করে?
মধ্য যুগের সেই নির্মম নির্যাতন
প্রশাসনের টর্চারে মরে।
আয়না ঘরের ভিতরে হয়েছে
হাজারো মায়ের বুক খালি,
সেই স্বৈরাচারী শাসকের ভাষণে
কেমন করে দেই তালি।
এসব খবর জনগণের
ছিলো না জানা,
বিশেষ লোক ছাড়া
ভিতরে প্রবেশ মানা।
আয়না ঘরের দৃশ্য দেখলে
চোখে জল আসে,
অত্যাচারিদের ফাঁসি চাই
আমার বাংলাদেশে।