কবি পরিচিতি:
কবি ইয়াছিন আরাফাত , তিনি ২০০৩ সালের ৯ই নভেম্বর , বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার জেলার অন্তরগত পেকুয়া উপজেলার আদর্শ ইউনিয়ন শিলখালী,পেঠান মাতবর পাড়া গ্রামের এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম ফিরোজ আহমদ , মাতার নাম রওশন আরা বেগম । কবি শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে নিম্ন মাধ্যমিক, চট্টগ্রাম, সরকারি সিটি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং বর্তমানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে, অর্থনীতি বিভাগে অধ্যায়ন করছেন । তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। কবির বাংলা সাহিত্য, কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস যেন ছোট বেলা থেকে আত্মার খাদ্য। তিনি ছোটবেলা থেকেই ছিলেন সাহিত্য অনুরাগী। কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘জীবন বড় কল্পনাময়’। কবির বেশিরভাগ কবিতা ই “আজকের কুমিল্লা” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি বেশ কিছু গল্প, প্রবন্ধও লিখেছেন। দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক জনকন্ঠ, দৈনিক যায়যায়দিনের মতো দৈনিক জাতীয় পত্রিকা গুলোতে তার লিখা কলাম প্রকাশিত হয়েছে।
০১
অদ্ভুত লাগে
ইয়াছিন আরাফাত
তোমাকে আমার খুব অদ্ভুত লাগে।
এমন করেও কোনো মেয়ে আমাকে ভালোবাসতে পারে সেটা বিশ্বাস হয়নি কখনো আগে।
কখনো তোমার মতো চেনা পরিচিত মানুষকেও আমার খুব অচেনা লাগে।
কখনো কখনো তুমি ছাড়া পৃথিবীর সমস্ত কিছুকে অসুন্দর লাগে।
পৃথিবীর সৌন্দর্যের কাছে তোমার সৌন্দর্য গোলাপের পাপড়ির মতো লাগে।
আবার কখনো কখনো পৃথিবীর সমস্ত বালি কণাও বুকে জড়িয়ে বাঁচতে ইচ্ছে করে।
কখনো এই মেদিনীর সমস্ত সৌন্দর্য একা উপভোগ করার ইচ্ছে জাগে।
কখনো কখনো তুমি ছাড়া মেদিনীর সমস্ত সৌন্দর্য অপ্রয়োজনীয়, হাস্যকর লাগে।
০২
প্রেম
ইয়াছিন আরাফাত
তোমারে দেখতে আমার বড্ড ভালো লাগে,
কাউকে দেখে এমন তো হয়নি কখনো আগে।
দূরে থাকলে কেমন যেন কষ্ট এবং হারানোর ভয় লাগে,
শুনেছি প্রেমে পড়লেই নাকি এমন অনুভূতি জাগে।
প্রেম? এতো প্রেম কিসের লাগি?
না ঘুমিয়ে কার জন্য রয়েছ রাত জাগি?
হালাল ভালোবাসা, মায়া, প্রেমে অভ্যস্ত হও
মরণের পরে কেউ হবে না গুণাহের ভাগী।
হারামের প্রেমে রাত না জেগে, হালালের প্রেমেই যেন রাত জাগি।
০৩
শান্তি নেই
ইয়াছিন আরাফাত
অনুভূতির চাকা ঘুরে,
ফাঁকা মাঠ, তবুও কোথাও কোনো কিছু দেখছি না দূরে।
ডাকছি কত মধুর সুরে,
সন্ধ্যা হয়ে এলো, আসার কথা ছিল ভোরে।
আলো আধারের নির্মল,শীতল বাতাস, হাতে তোমার হাত পাগল করেছে মোরে,
তুমি ছাড়া কোথাও কোনো শান্তি নেই,
তাই’তো বারবার তোমার কাছে’ই ফিরি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ঘুরে।
০৪
ফিরে পেতে চাই
ইয়াছিন আরাফাত
আমার সবকিছুই অজানা, অচেনা, কল্পনায় বিচরণ করা সেই অমায়িক,
অবিশ্বাস্য,রহস্যময়ী নারীকে ঘিরে,
মনে যারে ধরেছে, তাঁকে যেন পাই ফিরে।
তাঁর জন্য ভালোবাসার কমতি নেই, বৃদ্ধি পাই আরো ধীরে ধীরে।
হারিয়ে ফেলার ভয় হয় সাড়ে সাতশত কোটি মানুষের ভীড়ে।
কেউ যেন নিতে না পারে আমার এই জীবন ছিড়ে।
তাই তো সারাক্ষণ রাখি তোমায় আমার হৃদয়ের নীড়ে।
ইচ্ছে করে একবার নয়, দুবার নয়, যেন বারবার পাই ফিরে।
০৫
দৃষ্টি
ইয়াছিন আরাফাত
মেয়েদের চোখ আল্লাহর কি অপরূপ সৃষ্টি
দেখলে ফেরানো যায় না যে দৃষ্টি
আসুক যত বাধা – বিপত্তি, আসুক যত আছে ঝড় – বৃষ্টি
দেখলে ফেরানো যায় না যে দৃষ্টি
চেহারাই ভেসে ওঠে, আছে যত মেদিনীর কৃষ্টি
টুটের কোণায় জমা হয়ে আছে, পৃথিবীর আছে যত মিষ্টি
দেখলে ফেরানো যায় না যে দৃষ্টি
মেয়েদের চোখ আল্লাহর কি অপরূপ সৃষ্টি
তাই হেফাজতে রাখতে হবে, আমাদের আছে যত অস্তি
তা না হলে পরপারে পেতে হবে শাস্তি
সকলের জানা আল্লাহর প্রতি আছে যাদের বিশ্বাস তারা যেমন আস্তিক,
আর যারা করে না বিশ্বাস তারা হলেন নাস্তিক
তারা জানে না কোনটা হালাল কোনটা হারাম, বুঝে না ঠিক বেঠিক
তারা শয়তানের শিক্ষায় শিক্ষিত মহা জ্ঞানী
যখন কবরে প্রশ্ন করবে তখন তারা বলবে আই কিছু নজানি
তাই পরকালের বিশ্বাস রেখে ইসলামের বিধান অনুযায়ী কাজ করতে হবে, আপনি হন গরিব কিংবা ধনী।।