কবি আরিফুজ্জামান সোহাগ ২০০২ সালের ১৪ জুন দিনাজপুর জেলার কাহারোল থানার অন্তর্গত দ্বীপনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মো: জিল্লুর রহমান, মাতার নাম মোছা. আনজু আরা বেগম। তার বাবা পেশায় একজন সরকারী চাকুরীজীবী। তারা দুই ভাই। বর্তমানে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট তাজহাট রংপুর এ সপ্তম পর্বে অধ্যায়নরত। তিনি ছোট বেলা থেকেই ছিলেন বাংলার প্রতি অনুরাগী। সেখান থেকেই তার কবিতা লিখার আগ্রহ জন্মায়।তার প্রথম প্রকাশিত বই নব সাহিত্য প্রকাশনি কর্তৃক কবি ও কবিতার বই। উডীয়মান কবি হিসেবে বইটিতে তার লিখা প্রথম কবিতাটি স্থান পায়। তিনি ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের একজন সক্রিয় সদস্য। ইচ্ছাশক্তি আইডি নং- ০০২০২২০৯৩২
০১
বন্যায় ভাসি
মানুষ ডোবাও মানুষ মারো
কেমন তোমার নীতি?
মানুষ মারতে তোমার কোন
ভয় করে না ভীতি।
কতো মানুষ অনাহারে আজ
করছে জীবন পার,
তাদের দেখে বুকখানা কী?
কাপছেনা একটি বার।
বাড়িভিটা জায়গা জমি
সবিই গেছে ভেসে,
বানভাসি সেই মানুষগুলোর
কথা কী মনে আছে?
পশুপাখির দোষ কী ছিল?
পেল না কোন ছাড়,
মানুষ হয়ে কেমনে বলো
আমি শ্রেষ্ঠ দাবিদার।
মানুষ হয়ে মানুষের পাশে
বাড়াও দুটি হাত,
তবেই তোমার মানবতার
প্রসার হবে আজ।
দেশের তরে সবাই মিলে
করবো মোরা কাজ,
তবেই দেশে আসবে ফিরে
ভ্রাতৃত্বের স্বাদ।
অবশেষে বলবো আমি
চলো সবাই মিলে,
বানভাসিদের পাশে দ্বারাই
সকল বিভেদ ভুলে।
০২
কৃষক ও কৃষি
কৃষক আমি কৃষি আমার
ভেবে না পাই কূল,
কেমন করে করবো চাষ?
বারোমাসি ফুল।
পকেট আমার ফাকা লাগে
টাকা যে নাই সাথে,
সরকার যদি প্রণোদনা দেয়
তবেই আশা জাগে।
কৃষক আমি মাঠে থাকি
সকাল দুপুর সাঝে,
ঝড় বৃষ্টি রোদে পুড়ে
ফসল ফলাই আগে।
বন্যা আর বৃষ্টি হলে
লাগে অনেক ভয়,
আগাম কিছু করলে চাষ
ক্ষতি পূরণ হয়।
কীট আর আগাছাতে
ফলন গেছে কমে,
সঠিক সময় সঠিক স্প্রে
সফল বয়ে আনে।
কৃষকের সাথে মাঠে থাকে
আরো একটি দল,
যাদের কথা না বললে
কৃষি হয় অচল।
বারোমাসে ছয়টি ঋতু
ঘুরে ঘুরে আসে,
তিনটি মৌসুম তখন তাদের
সমান ভাগে ফেলে।
ধান থেকে চাল আসে
গম থেকে রুটি,
কৃষি প্রধান বাংলাদেশে
কৃষকের নাই ছুটি।
দেশের তরে তারাই আজ
রাখছে অবদান,
কৃষি প্রধান বাংলাদেশে
কৃষককে সম্মান।
০৩
বয়কট
ইসরাইলী পণ্য সব করবো মোরা বয়কট
তবেই মোরা শান্তি পাব মুসলিম ও উম্মত,
শেষ যামানা এসে গেছে যদি একটু ভাবি
ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের জন্য দোয়া করি।
কাল কিয়ামতের মাঠে যখন করবে আল্লাহ প্রশ্ন?
কি জবাব দিবে তখন ফিলিস্তিনদের জন্য?
যুদ্ধ করতে না পারলেও পাশে যদি দাড়াও
মানবতার হাত বাড়িয়ে তাদের শক্তি বাড়াও।
মুসলিমদের জয় হবে ইতিহাসে লেখা রবে
শেষ হাসিটা হাসতে গেলে, লাগবে একটু সময়
মুসলিম তুমি ধৈর্য ধরো জয় হবেই হবেই।
আজ থেকে করলাম আমি
ইসরাইলী পণ্য বয়কট,
দেশে এখন চলবে শুধু
ফিলিস্তিনি সম্পদ।
০৪
জাগ্রত বিজয়
যাচ্ছি মাগো তোমায় ছেড়ে
করিস একটু দোয়া,
তোমার ছেলে রাখবে মাগো
তোমায় দেয়া কথা।
পাক সেনাদের করবে ঘায়েল
তোমার ছোট্ট খোকা,
তোমার কোলেই মাথা রেখে
শুনবে তোমার কথা।
দেশ আমি করবো স্বাধীন
তাজা রক্ত দিয়ে,
শহীদ হলে হবো মাগো
ভয় পেয়ো না পড়ে।
ফিরে যদি আসি মাগো
আনবো সাথে জয়!
লাল সবুজের পতাকাতে
হবে মোদের বিজয়।
ভাবিনি মাগো আমি কখনো
আমার একার কথা,
ভেবেছি আমি শহীদ হওয়া
সব বাঙালির কথা।
যাদের আত্নার বিনিময়ে
পেলাম আমার দেশ,
তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই
প্রিয় বাংলাদেশ।
সবশেষে বলব আমি
বিজয় দিবস নিয়ে,
বাঙালির মনে জাগ্রত আনুক
বিজয় দিবস ঘিরে।
০৫
ছাত্র কোটা
সময় যাচ্ছে চলে
মেধাবী যাচ্ছে ঝরে,
দেশ হতে কোটাধারীর
সংখ্যা যাচ্ছে বেড়ে।
মাথায় বাড়ছে চাপ আমার
চাকরি পাওয়া টাব,
মামা খালু নাইযে আমার
জীবনটা মহাপাপ।
সময় আর বাস্তবতা
মিলাতে যখন যাই,
ছাত্র কোটা মাথায় এসে
আঘাত করে ভাই।
সারাদিনে কতো পড়া
মনে রাখি মোড়া,
চাকরি দিতে গেলেই যেন
খালি হাতে ফেরা।
মোদের মতো কতো ছাত্র
ঘুরে পথে পথে,
দিন শেষে ক্লান্ত হয়ে
আবার ফিরে আসে।
অবশেষে বলবো আমি
জড়ালো কণ্ঠ নিয়ে,
ছাত্র কোটা বাতিল হলে
মেধাবী ফিরবে ঘরে।
Website: www.ichchashakti.com E-mail: ichchashaktipublication@gmail.com