ইসলাম ধর্মে বিদয়াত/ নব আবিষ্কৃত হল এমন বিষয় যা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হারাম ঘোষণা করেছে। নবআবিষ্কৃত বিদয়াত সমূহ হতে অন্যতম হল, “ঈদে মিলাদুন্নবী”। যা চতুর্থ শতাব্দীতে কিছু লোক পালন করেছিল, অবশ্যই এর পূর্বে ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের কোন ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পূর্ববর্তী এবং বর্তমান হকপন্থী বিজ্ঞ উলামায়ে কেরাম, “ঈদে মিলাদুন্নবীকে” শরীয়ত বিরোধী কাজ বলে বর্ণনা করেছেন। নিম্নে কতিপয় কারণ উল্লেখ করা হল :
১) ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আদেশ করেছেন বা তিনি উদযাপন করেছেন অথবা সম্মতি প্রকাশ করেছেন বলে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ মর্মে আল্লাহ তায়ালা বলেন ( রাসূল তোমাদেরকে যা দেয়, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক। আল হাশর – ৭)
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন ( যে ব্যক্তি আমাদের এ দ্বীনে নতুন কিছু উদ্ভাবন করে যা এতে নেই, তা প্রত্যাখ্যান । বুখারী, মুসলিম)
২) খোলাফায়ে রাশেদীন এবং অন্যসব সাহাবায়ে কেরাম রা. ঈদে মিলাদুন্নবি উদযাপন করেনি এবং তা করতে আহ্বানও করেনি। অথচ তারা ছিল নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পর সর্বোত্তম সম্মত। এ মর্মে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে ( তোমাদের আবশ্যক হল: আমার পথ আঁকড়ে ধরা এবং আমার পর খোলাফায়ে রাশেদীন এর পথ আঁকড়ে ধরা)।
৩) জন্ম তারিখ উদযাপন এটা ইয়াহুদি- খ্রিষ্টানদের কাজ। অথচ তাদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ কাজ এবং তাদের অনুসরণ করতে আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে।
৪) ঈদে মিলাদুন্নবি উদযাপনে বিভিন্ন শরীয়ত গর্হিত কাজ- কর্ম হয়ে থাকে, যা নিষিদ্ধ।
৫) ঈদে মিলাদুন্নবি অনুষ্ঠানে অধিকাংশ সময় পুরুষ – মহিলা একত্রিত হয়ে থাকে, গানবাজনা, নেশা ও মদ্যপানের আসর হয়ে থাকে। এমনকি শিরকে আকবরের মত জঘন্যতম কাজ হয়ে থাকে, অর্থাৎ অলি আউলিয়াদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা হয়ে থাকে। যা নিতান্তই কুফরি কাজ।
সুতরাং আল্লাহ তায়ালা যতটুকু শরীয়ত সম্মত করেছে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য ততটুকুই যথেষ্ট।
আরবি থেকে অনুদিত
আব্দুল্লাহ নাজির