ইসলাম ও জবরদস্তি
আব্দুল্লাহ নাজির
ইসলাম পৃথীবির শ্রেষ্ঠ ধর্ম , এবং আল্লাহর মনোনীত ধর্ম। পৃথিবীর শুরু লগ্ন থেকেই এ ধর্ম চলে আসছে। আল্লাহ সুবহানাল্লাহু ওয়া তা’য়ালা যুগে যুগে নবী-রাসূল প্রেরণ করে ইহা মানুষের নিকট পৌঁছিয়েছে। আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার পূর্বে পৃথিবী যখন অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, মানুষ রূপি হায়েনা গুলো আকারে ইনসান হলেও প্রকারে ছিল শয়তান । ঠিক সেই মুহূর্তে মানুষ কে সঠিক পথের দিশা দেওয়ার জন্য, পৃথিবীর বুকে আবারো শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য, আল্লাহ তায়ালা সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে পৃথিবীর বুকে প্রেরণ করেন।
তিনি মানুষকে উত্তম আখলাক ও সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে সত্যের পথে আহ্বান করতে থাকেন, তার আহ্বানে মানুষ দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করে। উনার সুমিষ্ট বাসায় সকলে মুগ্ধ হন। আফসোসের বিষয় হচ্ছে: আজকাল ইসলাম ও মানবতার দুশমনেরা মুখে ও কলমের দ্বারা ঢাক বাজিয়ে বেড়াচ্ছে যে, তরবারি দ্বারাই ইসলাম বিস্তৃত লাভ করেছে। অথচ, এ মানবতার দুশমনেরাই মুসলমানদের ভূখণ্ড সন্ত্রাসের দ্বারা দখল করে নিয়েছে, ওরা মিথ্যা বলে ইসলামকে বিকৃত করে মিডিয়ায় প্রচার করছে।
নিম্নে কতিপয় কারণগুলোর প্রতি লক্ষ্য করলে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়।
১. সাহাবায়ে কেরাম তের বছর মক্কায় কাফেরদের হাতে নির্যাতিত হয়েছে, কিন্তু উনারা ইসলামের মাধুর্য ও মিষ্টতা দেখে আন্তীয় ও আপনজন পরিত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করে ছিল।
২. ইসলামের নির্দেশ হল, মানুষ স্বেচ্ছায় সত্য গ্রহণ করবে, কাউকে জোর-জবরদস্তি করা হবে না।
৩. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন তাওহীদের দাওয়াত দেওয়া শুরু করলেন, তখন তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ একা, কোন রাজত্ব-বাদশাহী ছিল না। ছিল না কোন তরবারি। উল্টো কাফেরেরা উনাকে ভয় দেখাত।
৪. তিনি সা. মক্কায় অবস্থানকালে শত শত মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছে। হযরত আবু তর গিফারী রা. ইসলাম গ্রহণ করে, উনার গোত্রেকে আহ্বান জানালে গোত্রের অর্ধেক মানুষ মুসলমান হয়ে যায়। অথচ এ সময় জি/হ/দের আয়াত-ই অবতীর্ণ হয়নি।
৫.ইসলামী হুকুম যদি লোকজনকে জবরদস্তি করে মুসলমান বানাতে বলত, যা খৃষ্টান ধর্ম করে থাকে, তা হলে তো মুসলিম দেশে ভিন্নধর্মাবলম্বীদের অস্তিত্বও থাকত না। অথচ ইসলামী রাষ্ট্রে কাফেরেরা সব থেকে বেশি নিরাপদে থাকে।
ইসলাম জবরদস্তি বা তরবারির দ্বারা বিস্তৃত হয় নি, সন্ত্রাসীদের দমন করার জন্য ইসলামে জি/হা/দ ফরয করা হয়েছে, ইসলাম বিস্তৃত হয়েছে উত্তম আদব-আখলাকের মাধ্যমে, সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে।