1. admin@ichchashakti.com : admin :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

আয়না ঘর — এস এ বিপ্লব

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৭৩ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

জীবনে অনেক ঘরের নাম শুনেছি। কিন্তু আয়নাঘর এমন নাম এই প্রথম শুনলাম সেটাও আবার সরকার পতন হওয়ার মধ্যে দিয়ে। তার মানে বোঝা যায় যে, সরকার পতন না হলে হয়তো আমি আপনি কখনো জানতাম না এই আয়নাঘরের বিষয় টি। এখন যদি  প্রশ্ন করে বলি কিন্তু কেন? এটা কিন্তু অনলি ওয়ান ঘর না, পুরো একটা বিল্ডিং এর নিচতলা। কোন ছোটখাটো দালান সেটাও নয়।একটা মস্ত বড় দালান। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন তো এতো বড় একটা দালান গড়ে তুলতে কি আর একটু সময় লেগেছে।আমরা তো দেখি যে, একটা বিল্ডিং এর কাজ যত ছোট হোক না কেন কম করে হলেও ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় লাগে।তাই যদি হয় তবে আয়নাঘরের মত এতোবড় একটা বিল্ডিং গড়ে উঠেছে অথচ কারো চোখে পড়ল না।

 

একটা দালান বানাতে ইট,বালু,সিমেন্ট, রড সহ আরো কত কিছু লাগে। এতো কিছু লাগার পরেও সেখানে যারা কাজ করেছে তারাও খেয়াল রাখেনি। ধরে নিলাম বানানোর সময় হয়তো বুঝতে পারেনি কিংবা গ্রামের সহজ – সরল আর অশিক্ষিত মানুষ গুলো কে যা করতে বলেছে তাই করেছে।তারা বুঝতে পারেনি যে, এটা আয়নাঘর হবে। তারা লেবার, অশিক্ষিত মানুষ তাই তাদের কে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়েছে।কিন্তু এদেশের এতো শিক্ষিত মানুষ আর এতো সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী,এই বাহিনী – সেই বাহিনী, আইনের একটা বিষয় আছে এতো চোখে ধুলো দিল কি করে।সেটা আমাদের বোধগম্য নয়।

 

এখন দিন কে দিন একটা করে আয়না ঘর বের হচ্ছেই।মনে হয় সরকারের প্রতিটি ঘরই আয়নাঘর।এখন সে বলে আমি আয়নাঘরে ছিলাম,ও বলে আমি আয়নাঘরে ছিলাম।তাহলে এর আগে কেন একটা মানুষ কে বের হতে পারল না, ধরে নিলাম সরকারের অধীনে ছিল তাই বের হতে পারে নি।কিন্তু প্রশাসন কি করেছে। কি করেছে পুলিশ থেকে শুরু করে এই বাহিনী, সেই বাহিনী থেকেও। এটা এমন এক দেশ যে সারাবছর কোন খোজ খবর নেই।ঘটনা ঘটার পরে সবাই ছুটে ঘটনার দিকে।আয়নাঘর তার জ্বলন্ত প্রমাণ।আয়নাঘর ধরা পরেনি সরকার পনের বছর ক্ষমতায় থাকার পরও।অথচ এক মাসও হয়নি সরকার নেমেছে এখন খুব শোনা যাচ্ছে যে, অমুকে আয়নাঘরে ছিল।সে আয়নাঘর থেকে বের হয়েছে।

 

ঠিক আছে মেনে নিলাম যে, তমুকে আয়নাঘরে ছিল, আরেকজন আয়নাঘর থেকে বের হয়েছে। সবই মেনে নিলাম।কিন্তু মেনে নিতে পারি না শুধু এই পনের বছরে কেন কোন বাহিনী আয়নাঘর কি, কেন, কোথায় ইত্যাদি এসব রহস্য খুজে বের করতে পারেনি। এর কারন অন্য কোন কিছু নয় শুধু টাকা। মানে বলতে পারি একদল ঘুষ খেয়েছে আরেক দল ঘুষ দিয়েছে। বুঝিয়ে দিল যে, টাকা দিয়ে সত্য – মিথ্যা যেমন ঢেকে রাখা যায়। তেমনি বড় বড় বিল্ডিং ও ঢেকে রাখা যায়। এতো বড় বিল্ডিং যদি টাকা দিয়ে ঢেকে রাখা যায়। তবে সেই বিল্ডিং ডাকতে কত টাকা দিয়ে গেছে হায়।অন্যদিকে ধন্যবাদ এদেশের ছাত্র দের কারন তারা যদি সরকার পতন না করত তবে হয়তো কোনদিন জানতে পারতে না আয়নাঘর নামে যে একটি ঘর আছে।কত মানুষ সেখানে অবস্হান করেছে।এভাবে সমাজ সচেতন হলে দেখবেন আরো অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে।

 

আয়না ঘর

এস এ বিপ্লব  (নারায়ণগঞ্জ) 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park