আমার উস্তাদ, আমার মুরুব্বি, আমার জীবনের প্রভাত তারা যাঁর আভায় আমি প্রভাময়,
মাওলানা এরশাদ আলী সাহেব দা:বা:
এইচ,এম শাহেদুল ইসলাম তানভীর
আমার উস্তাদ, আমার মুরুব্বি, আমার অন্যতম রুহানি পিতা, আমার হাফেজ হওয়ার পিছনের কারিগর! দারুল উলুম পীর সাহেব বাড়ি মাদ্রাসার মুহতারাম মুহতামিম,মাও: এরশাদ আলী সাহেব দাঃবা:
_সেদিন ফোনে আপনার সাথে কথা বলার পর হুজুরের শরীরে কম্পন ধরে গিয়েছিলো, ফয়সাল কথাটা জানালো।
_স্বাধীনতা উত্তর বিজয় নিয়ে গাঁয়ে ফিরে প্রিয় শিক্ষা নীড়ে প্রিয় উস্তাদে মুহতারাম ও প্রিয় মানুষ গুলোকে দেখতে ছুটে গেলাম আমার শিকড় প্রাঙ্গনে। হুজুর দেখা মাত্রই জড়িয়ে ধরলেন। উষ্ণ অনুভূতি এখনো প্রশমিত করে মন। আলাদা শক্তি- সাহস- প্রেরণা যোগায়। ঘটনার আদ্যোপান্ত শুনুন- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমরা শুরু থেকেই পাশে ছিলাম, খাবার পানি,নামাজের ব্যবস্হা,শরবত ইত্যাদির মাধ্যমে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন ফ্যাসিবাদের পতন আন্দোলনের রূপ নিলো তখন অন্য অনেকের ন্যায় রাজপথে নেমে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে বারিধারার বীর সন্তানেরা, আমি তাদের মাঝে সামনের সারিতে থাকা গর্বিত এক সৈনিক। আলহামদুলিল্লাহ।
_লাস্ট যেদিন স্বৈরাচারের পদত্যাগ হলো-
ফজরের নামায চলাকালীন ও নামাযের পর জঘন্য কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটায় সেনবাহিনীর কিছু সদস্য (ধারণা অনুযায়ী কলকাতার ছিল তারা) ১১ টার সময় উস্তাদে মুহতারাম কল দিয়ে হাল হাকীকত জানতে চাইলেন, বললাম আমরা প্রস্তুত,যে কোন সময় নামতে পারি, তবে এখনো কড়া কারফিউ চলমান।
মিনিট পাঁচেক পরেই আবার কল দিয়ে হুজুরকে জানালাম যে- হুজুর দোয়া চাই, আমরা নামতেছি, শুনে হুজুরের শরীরে কম্পন ধরে গেলো। (পিতৃ সুলভ স্নেহ ও দয়া পরবশতার দরুন) সংক্ষেপিত। বিস্তারিত অন্য লেখায় ইনশাআল্লাহ। আরো কত সৃতি!!
_মনে পড়ছে ২০১৫ সালের কথা-
২০১৫ সালের কোন একদিন মাগরিবের পর কাছে টেনে চকচকে দুই ফিতা বিশিষ্ট নতুন একটি কুরআন শরীফ হাদিয়া দিয়ে বললেন কয় পারা হয়েছে.? বললাম ৯ পারা, তিনি বললেন - তোমার মামা নয় মাসে হিফয শেষ করেছে তুমি কয়মাসে পারবে.? (উল্লেখ্য তখন হিফয শুরু করার প্রায় আড়াই মাস শেষ) আমি বললাম ইনশাআল্লাহ, তারপর থেকে খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তে লাগলাম, এবং সর্বমোট ৫ মাস ২০ দিনের মাথায় হুজুরের কাছেই শেষ সবক পড়লাম।
_হিফয খানায় পড়া অবস্থায় নিয়মিত পাগড়ী লাগানো অপরিহার্য ছিলো,প্রথম প্রথম পারতাম না হুজুর ই আমাদের কে বেঁধে দিতেন
কিছু দিন আগে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আমি এবং Akhter Hossen Sojib হুজুরের নিকট পাগড়ী পরিয়ে দেওয়ার আবদার করে বসলাম, প্রথমে না বললেও নাছোড়বান্দাদের আবদার রাখতেই হলো। সেই ফাঁকে Shah HM Rahamat Ullah Faysul ক্যামরাবন্দী করে ফেললো। পরবর্তী তে ফটো গুলো যখন দেখলাম খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়লাম।
জাযাকাল্লাহু আহসানাল জাযা।
Website: www.ichchashakti.com E-mail: ichchashaktipublication@gmail.com