1. admin@ichchashakti.com : admin :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

আধুনিক সভ্যতার তথাকথিত ‘জেনারেশন জেড’ বা ‘জেড প্রজন্ম’

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫
  • ২৯০ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

মোঃ ইসমাঈল আহমেদ 

 

বর্তমানে স্কুল-কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের হতাশার একটি প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে—‘অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া’ এবং ‘ফোনের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি’।এই আসক্তি পূর্ববর্তী যুগের মানুষের মধ্যে ছিল না।তারা ‘হতাশা’ কিংবা ‘ডিপ্রেশন’ শব্দগুলোর সঙ্গে পরিচিতই ছিল না।তারা যেন পার করে গেছে এক বর্ণাঢ্য সোনালি জীবনের সময়কাল।

 

আজকের দিনে ‘ডিপ্রেশন’, ‘অ্যাংজাইটি’, ‘বোরিং’—এই শব্দগুলো যেন জীবনের স্বাভাবিক অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য একটা সময় কাটে টিকটক, গেমস, রিলস, চ্যাট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অকারণে স্ক্রল করে।যার ফলে তারা ধীরে ধীরে মানসিক অবসাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

 

তাছাড়া,এই হতাশার আরেকটি বড় কারণ হলো, পাঠ্য বই-পুস্তক থেকে ক্রমাগত দূরে সরে যাওয়া।আগে যে বইগুলো মানুষের মনে আনন্দের হরমোন—‘ডোপামিন’ নিঃসরণ ঘটিয়ে মনে প্রশান্তি এনে দিত,আজ সেগুলো বিস্মৃতির গহ্বরে হারিয়ে গেছে।বই পড়ার মাধ্যমে মানুষ যেমন জীবনকে উপলব্ধি করতে শিখত,তেমনি নিজেকে খুঁজে পেত জীবনের উদ্দেশ্যের মাঝে—যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা এই পৃথিবীতে এসেছি।

 

একসময় মানুষ ছিল মানুষের জন্য।তারা সমাজ ও মানবতার কল্যাণে নিজেকে নিবেদন করত।অতি সংকীর্ণ ও সাদামাটা জীবনযাপন করেও রেখে যেত অজস্র স্মৃতি, মায়া ও অনবদ্য অবদান—যা ভোগ করত পরবর্তী প্রজন্ম।যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য হয়ে উঠত ‘আশীর্বাদস্বরূপ’।অথচ, আজ আমরা এমন কিছুই করে যেতে পারছি না,যা এসে ভোগ করবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম।বরং আমরা রেখে যাচ্ছি একটি বিভ্রান্ত ও হতাশায় নিমজ্জিত আধুনিক সভ্যতার তথাকথিত ‘জেড প্রজন্ম’,যারা বইয়ের চেয়ে বেশি ভালোবাসে স্ক্রিনের নীল আলো।আমরা আরও রেখে যাচ্ছি, ‘ডিপ্রেশন’, ‘অ্যাংজাইটি’, ‘বোরিং’ নামক কতকগুলো বিশেষ শব্দ আর ‘হতাশা’।যা এসে ভোগ করবে পরবর্তী প্রজন্ম, যারা হবে আমাদেরই উত্তরসূরী।আর আমরা তখন অন্ধকার কবরে থেকে করব তীব্র আকাঙ্ক্ষা আর আফসোস—যে আফসোসটা ফুরাবে না আর আমাদের পরের জন্ম ও!

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park