1. admin@ichchashakti.com : admin :
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

আদর্শ সন্তান গঠনে ১৬টি জরুরী নির্দেশনা

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৬৯ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

সন্তান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিরাট নেয়ামত ও আমানত। যার কারণে সন্তানকে সৎ, আদর্শবান ও উত্তম চরিত্রে চরিত্রবান করে গড়ে তোলার দায়িত্ব সর্বপ্রথম পিতা ও মাতার ওপর।
যারা এই দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে বা আমানতের খেয়ানত করলে মহান আল্লাহর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।
আজকের যারা শিশু তারাই আগামী দিনের সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল এবং দেশের নাগরিক।
সুতরাং তাদেরকে যথাযথভাবে গড়ে তোলার ওপর নির্ভর করছে আমাদের ভবিষ্যৎ। তাই আদর্শ সন্তান গঠনে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ-
১. আদর্শ সন্তানের জন্য পিতা -মাতার সৎ ও আদর্শবান হওয়া অপরিহার্য।
২. সন্তানদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
৩. সাত বছর বয়স পূর্ণ হলে নামাজের আদেশ দেওয়া।
৪.  দশ বছর বয়স থেকে নামাজ না পড়লে হালকাভাবে প্রহার করা।
৫. শিশুদেরকে অন্যদের সামনে অপমান বা হেয় প্রতিপন্ন না করা।
৬. খারাপ বা অপ্রীতিকর শব্দ ব্যবহার করে তাকে সম্বোধন না করা। যেমন, নির্বোধ, অপদার্থ, গাধা, গরু, ছাগল ইত্যাদি।
৭. কোনো ক্ষেত্রে ভুল হলে নম্র ও ভদ্রভাবে ভুল সংশোধন করা (বিশেষ করে প্রথমবার)।
৮. সন্তানদের সঙ্গে সমতা রক্ষা করা (স্নেহ, ভালোবাসা বা কোনো কিছু দেওয়া- ইত্যাদি ক্ষেত্রে)।
৯. তাদের নিকট দাম্পত্য জীবনের বিষয়াদি গোপন রাখা (সন্তান ছোটো হলেও)।
১০ . শিশুদেরকে অশ্লীল, নোংরা ছবি বা ফিল্ম দেখা কিংবা খারাপ গল্প, উপন্যাস ম্যাগাজিন ইত্যাদি পড়ার সুযোগ না দেওয়া।
১১.সত্যবাদিতা, আমানতদারিতা, অন্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া, অসহায়কে সাহায্য করা, মেহমানকে সম্মান করা ইত্যাদি উত্তম চরিত্রের প্রশিক্ষণ দেওয়া।
১২. মিথ্যা, গালাগালি, নোংরা ও নিচু মানের শব্দ ব্যবহার না করতে অভ্যস্ত করা।
১৩. বাল্য বয়সে ইসলামের মৌলিক বিষয় সম্পর্কে জ্ঞানদান করা। যেমন- ঈমান ও ইসলামের রোকনগুলো, আল্লাহর ভয়, পাঁচ ওয়াক্ত সলাত, কোরআন পড়া, প্রয়োজনীয় দোয়া ও জিকির ইত্যাদি এবং বিশুদ্ধ আকিদা নির্ভর দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির মাধ্যমে ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা।
১৪. অন্যের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা। যেমন, পিতা -মাত, ভাইবোন, প্রতিবেশী, শিক্ষক, ক্লাসমেট, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন ইত্যাদি।
১৫. সামাজিকতা শিক্ষা দেওয়া। যেমন- সালাম দেওয়া, বৈঠকে বসার ভদ্রতা, মানুষের সঙ্গে কথা বলার ভদ্রতা, কারও বাড়িতে প্রবেশের আগে অনুমতি ইত্যাদি।
১৬. সর্বদা ভয়-ভীতি প্রদর্শন না করে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তোলা, যাতে তারা তাদের যে কোনো সমস্যা পিতা ও মাতাকে বলতে পারে।
মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন প্রত্যেক পিতা -মাতাকে সঠিকভাবে তাদের সন্তান-সন্ততি প্রতিপালনের তৌফিক দান করেন। যারা হবে পিতা -মাতার জন্য চক্ষু শীতলকারী, দেশ ও সমাজের সেবক ,উম্মাহের খাদেম , আল্লাহ আমাদের সকলের সন্তানকে মাকবুল করুন । আমিন ।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park