মাঝে মাঝে মনে হয় নির্জন,
নিঃস্তব্দ, উত্ত্যক্ত এক মরুর বুকে দাড়িয়ে আছি!
কেবল হাহাকার আর আর্তনাদ ব্যতিত এই জলন্ত হৃদয়ের অনলে আর কিছুই উপলব্ধি হয়না!
এতোটা-নির্জন, নিঃস্তব্ধ এই মরুর বুক!
যেন আকাশের পানে এক ঝলক আশা নিয়ে তাকিয়ে থাকা এ হৃদয়ের –
প্রতিটি স্পন্দনের টিক টিক শব্দ
শোনা যায় সুদূর দূর থেকে!
অথচ-কেও শোনার নেই সেই শব্দ!
উত্ত্যক্ত এই মরুর বুকে দাড়িয়ে -কেবল মনে হয়!
আকাশ ব্যতিত কেও শোনার নেই আমায়।
না আমায় কেও চেনে?
অশ্রুসিক্ত এ হৃদয় কেবল-
সেই শিশুর ন্যায় তাকিয়ে থাকে আকাশ পানে,
যার কাছে কান্না ব্যতিত আর কোন শব্দ নেই।
ব্যস্তময় এই পৃথিবীর মাঝে!
থমকে থাকা সে মুহূর্তে আকাশ পানে তাকিয়ে
গভীর দীর্ঘশ্বাসে কেবল উপলব্ধি হয়-
“কেও নেই আমার!”
অদৃশ্য অনিল পানে তাকিয়ে-বলি!!
শুনছো?
শ্বাসত এ হদয়ের গোটা’কথেক চিঠি পৌছে দেও-
ঐ মেঘ আড়ালে লুকিয়ে থাকা আকাশ পানে!!
কেও অন্তত শুনুক আমায়!!
নেই!! নেই!! নেই!!
কেবল-নিস্তব্ধ এই মরুর বুকে আমি ব্যতিত –
আকাশ ছাড়া আমার আর্তনাদ শোনার
” আর কেও নেই।”
ধূসর মরুর উসর বুকে-
আমি ছাড়া আমার কেও নেই!