লেখকঃ মোজাম্মেল হক
স্কুবা ডাইভিং করার স্বপ্ন সকলের জীবনেই থাকে। স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে ভিন্ন কিছু আবার ললাটেও অবস্থান করে। সমুদ্রকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ এখানে থেকেই পাওয়া যায়। আবার সমুদ্রের উদ্ভিদ ও প্রাণীকে পুস্তকের বিপরীতে একেবারে সম্মুখে দর্শনের স্বর্ণময় সুযোগ ব্যক্তির জীবনকালে প্রাপ্ত ঐশ্বর্য হয়। সায়রের অভ্যন্তরে লুকিয়ে আছে অদ্ভুত দর্শন সকল অজানারা। যেখানে বিলীন হয়ে যাওয়া সভ্যতা উঁকি দিচ্ছে ও ধ্বংসপ্রাপ্ত নগরী প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতার ইঙ্গিত প্রদান করছে এবং অন্যান্য বারীন্দ্রিক যানবাহন সেখানে এককালে ডুবে গিয়ে বহুকাল যাবৎ অনাদরে থাকার বিশেষ এক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। সায়রের উপরিভাগে প্রবল ঝড় সংঘটিত হওয়ার ইতিহাস প্রাচীনকাল থেকেই। বারীন্দ্রের বুকের উপর দিয়ে চলা যানবাহনের জন্য যেটি অশনি সংকেত। অন্যদিকে বিখ্যাত সকল বারীন্দ্রেই দেখা মেলে ত্বকী নামের বালকসহ বিভিন্ন স্কুবা ডাইভারের। এক স্কুবা ডাইভার কবিতা বলে,
“বিভিন্ন শতকে শান্তি বিরাজ করছিল পৃথ্বীর বুকে,
কতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব পরিণত হয়েছিলেন নায়কে,
একসময় কেউ চিনতোনা এই ধ্বংসযজ্ঞের অসিকে,
সম্পূর্ণ খতম করে দিতো, বাঁচতে দিত না কাউকে,
প্রকৃতিতে নিত্য ডাকাডাকি করা সেই পাখিকে,
সকলে চিনতো, মনোরম হয়ে কর্ণে প্রবেশ করাকে,
কেউ অবজ্ঞার দৃষ্টিতে আলোকপাতে, ভিন্ন রচনাকে,
নিত্যকর্মে তীব্র মনোযোগে অতি কোমল নেত্রকে,
কৃষি বিচরণ করছিল তৎকালীন সময়ে খাদ্যকে,
মনুষ্যজনের জীবনধারণের অন্যতম উপাদানকে,
বিভিন্ন গবাদি পশু সমন্বয়ে গঠিত চাকার গাড়িকে,
ইনসানের নিকট দ্রুত পণ্য প্রেরণ করার মাধ্যমকে।
জরাজীর্ণ গৃহে সেসময়ে থাকতো বহু ইনসান,
কৃষিই ছিল মূল কাজ, গৃহে সেলাই পোশাক যেন,
চারু দিকনির্দেশে সেসময়ের অর্থনীতি কেমন,
এই গ্রামীণ প্রকৃতিই রিকশার আবিস্কারে যেমন।
পার্শ্বে বহু ভিন্ন রোগী অপেক্ষায়, না খেয়ে ভাত,
চিকিৎসক কর্তৃক জোড়া লাগিয়ে হাড়, খন্ড সাত,
বিশাল জনসংখ্যার চাপে অনেকটাই বেসামাল চিকিৎসা খাত,
অনেক পচে যাওয়া অঙ্গ কর্তন করতে ব্যবহারে করাত।”