আবদুল কাদের বিন হাবিব উল্লাহ
রাজাধিরাজ আল্লাহ তাআলার প্রতি হামদ।রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি সালাম ﷺ। সাহাবায়ে কিরামের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও জান্নাতুল ফেরদৌস কামনা করি।
এইতো সেদিনের কথা!
হাঁটতে ছিলাম শহরের গলির পথে, আর ভাবতেছিলাম আল্লাহ মানুষকে খুব সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন। অভিমান করতেছি নিজেকে নিয়ে প্রিয়জনের সাথে। তুমি অনেককে স্বাস্থ্যবান করেছ কিন্তু আমাকে সব দিলে আর একটু স্বাস্থ্য দিলে কী আর তোমার ক্ষতি হতো!(আউজুবিল্লাহ)
কথাটি বার বার মাথায় কেন যেন ঘুর পাক খাচ্ছিল।
একটু পরে সামনের দিকে তাকিয়ে দেখি, কতই-না! সুন্দর চেহারার ও সুঠাম দেহবিশিষ্ট একটা যুবক হেঁটে আসতেছে কিন্তু পায়ে সমস্যার কারণে একটু অন্য রকম দেখাচ্ছে, হঠাৎ তাকালাম নিজের পায়ের দিকে হ্যা এটাতো খুব সুন্দরভাবে আল্লাহ বানিয়েছেন, যাতে কোন ত্রুটি নেই। তাহলে আমি এতক্ষণ যে স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবতেছি আর আপসোস ও অভিমান করতেছি সেটা মোটেও ঠিক হয়নি অথচ উনাকে আল্লাহ অনেক কিছু দিয়েছেন পায়ে না হয় একটু সমস্যা দিয়েছেন পরীক্ষা করার জন্য।আমি ভাবলাম তিনি যে আমাকে অন্য সবকিছু দিয়েছেন তার শুকরিয়া কি আদায় করেছি।সাথে সাথে মনে পড়ে গেল আল্লাহর বাণী:
واشكروالى ولا تكفرن.
অর্থাৎ কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর,অকৃতজ্ঞ হয়ো না।
অন্য আয়াতে এসেছে:-
واشۡکُرُوۡا نِعۡمَتَ اللّٰه اِنۡ کُنۡتُمۡ اِیَّاہُ تَعۡبُدُوۡنَ.
অর্থাৎ তোমরা যদি শুধু আল্লাহরই ইবাদাত কর তাহলে তাঁর অনুগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
আল্লাহ তাআলা বলেন
لَئِنْ شَكَرْتُمْ لَأَزِيْدَنَّكُمْ وَلَئِنْ كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذابِيْ لَشَدِيْدٌ.
তোমরা যদি কৃতজ্ঞতা আদায় কর তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদেরকে আরও বাড়িয়ে দেব, আর যদি তোমরা অস্বীকার কর তাহলে আমার আজাব অবশ্যই কঠিন। -(সূরা ইবরাহীম ১৪ : ৭)
আল্লাহ তাআলা বলেন
– وَإِنْ تَعُدُّوْا نِعْمَتَ اللهِ لا َتُحْصُوْهَا
তোমরা যদি আল্লাহর নিআমত গুনতে চাও তাহলে তা গুনে শেষ করতে পারবে না। (সূরা ইবরাহীম ১৪: ৩৪)
আহ আমরা কতটাই অকৃতজ্ঞ মহান রব আমাদের ভালোবেসে অনেক কিছু দিয়েছেন কিন্তু আমরা শুকরিয়া আদায় করি না।আবার তিনি বলেও দিলেন কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলে তিনি আরো বাড়িয়ে দিবেন।হে আরশে আজিমের মালিক ও সবচেয়ে ভালোবাসার মালিক আল্লাহ আমাদেরকে কৃতজ্ঞতাসম্পূর্ণ বান্দা হিসেবে কবুল করে নাও।আমিন