অপেক্ষার শেষ প্রান্তে
অথই মিষ্টি
আমার বিয়ের ৩ দিন পূর্বে আমাদের বিয়ে রেজিস্ট্রার হয়েছিল তো রেজিস্ট্রার এর পর আমার ছোট ননদ এসে আমার ফোন নম্বর নিয়ে যায়, আমি অধীর আগ্রহে শুধু অপেক্ষা করতে থাকি আর যখনই ফোন বেজে উঠত তখন যেন আমার হৃৎস্পন্দন বেড়ে যেতো হাত-পা কাঁপতে শুরু করতো কোন ক্রমেই আমি নিজেকে শান্ত রাখতে পারতাম না বুকের ভিতরে কোন এক জায়গায় সেই অচেনা মানুষটার জন্য কিছুটা সংকোচ কাজ করতো অনেকখানি।
সেই সময়ের এক একটা মুহূর্তের অপেক্ষারত উত্তেজিত আমার এ বেকুল হৃদয়ের অবস্থার কথা বলতে আমি এখনো অক্ষম শুধু মাত্র ভিতর থেকে আমি অনুভব করেছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় এটাই যে নিরলস ভাবে আমি যার ফোন কলের অপেক্ষা করতাম বাসর রাত পর্যন্ত সে আমাকে একটা বারের জন্য হলেও ফোন করেনি। তারপর সেই সে অনুক্ষণে বন্ধ দরজার এক প্রান্তে যখন দুজনে এলোমেলো অগোছালো আনমনা আর আবেগে উচ্ছাসিত ঠিক তখনই আমি প্রশ্ন করে বসলাম, “একটাবারও কি ফোন করতে ইচ্ছে হয়নি?” আমার প্রশ্নের জবাবে সে বলল, “আম্মাজান নিষেধ করেছিল ” বুঝতে পারলাম আমার মতো তারও মন ছটফট করেছিল শুধু না শব্দের বেড়াজালে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলো…